রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়া খুব শিগগির তুমেন নদীর ওপর একটি সড়ক সেতু নির্মাণ শুরু করবে। 

বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আরআইএ’র বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের উত্তর কোরিয়া সফরের সময় এই সেতুটি নির্মাণে একমত হয়েছিল। সেসময় উভয় দেশ একটি বিস্তৃত কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তি স্বাক্ষর করে।

আরো পড়ুন:

ইউক্রেন ইস্যুতে সৌদি আরবে বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া

যুদ্ধবিরতি নিয়ে পুতিনের সঙ্গে মঙ্গলবার কথা বলবেন ট্রাম্প

রাশিয়ান মিডিয়া বলছে, কোরিয়ান যুদ্ধের পর ১৯৫৯ সালে চালু হওয়া ‘ফ্রেন্ডশিপ ব্রিজ’ রেল সেতুর কাছে এই সড়ক সেতুটি তৈরি করা হবে। বিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে সীমান্ত অতিক্রম করার জন্য একটি প্রাচীন কাঠের সেতু ব্যবহার করা হতো কিন্তু এটি ধ্বংস হয়ে যায়।

উত্তর কোরিয়ায় রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মাতসেগোরা আরআইএকে বলেছেন, “সেতুটির নির্মাণ এখনও শুরু হয়নি। পক্ষগুলো প্রস্তুতিমূলক কাজ করছে, নকশার ডকুমেন্টেশন চূড়ান্ত করছে, নির্মাণ কর্মী এবং সরঞ্জামের কলাম তৈরি করছে।”

অনেক বছর ধরে আলোচনায় থাকা সড়ক সেতুটি ৮৫০ মিটার (২৭৮৯ ফুট) লম্বা হবে এবং রাশিয়ান হাইওয়ে সিস্টেমের সঙ্গে সংযুক্ত হবে।

দক্ষিণ কোরিয়ার স্যাটেলাইট চিত্র বিশ্লেষণ সংস্থা এসআই অ্যানালিটিক্স গত ৫ মার্চের এক প্রতিবেদনে জানায়, সেতুর ভিত্তি এবং সড়ক যোগাযোগের কাজ শুরু হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “উত্তর কোরিয়া এবং রাশিয়ার মধ্যে একমাত্র পথ, বিদ্যমান রেল সংযোগের পরে এই সেতুটির দ্রুত নির্মাণের ফলে অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং সামরিক বিনিময়ে তীব্র বৃদ্ধি আশা করা হচ্ছে। এর ফলে উত্তর কোরিয়া এবং রাশিয়ার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার কার্যকারিতা ধীরে ধীরে হ্রাস পেতে পারে।”

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ময়মনসিংহে ঈদগাহ মাঠে সংঘর্ষের আশঙ্কায় ১৪৪ ধারা জারি

ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের পাগলা থানা এলাকায় সংঘর্ষের আশঙ্কায় ঈদগাহ মাঠে ১৪৪ ধারা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। উপজেলার ৯নং পাঁচবাগ ইউনিয়নের লামকাইন ঈদগাহ মাঠে ঈদুল ফিতরের দিন ১৪৪ ধারা জারি থাকবে বলে জানানো হয়েছে। 

আজ রোববার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এন এম আব্দুল্লাহ আল মামুন স্বাক্ষরিত ‘ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৪ ধারা জারির আদেশে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

আদেশে বলা হয়, ঈদুল ফিতরের দিন একাধিক পক্ষ থেকে নামাজ আদায় করাকে কেন্দ্র করে ঈদগাহ মাঠে চরম উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ফলে আইন শৃঙ্খলার মারাত্মক অবনতিসহ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের সমূহ সম্ভাবনা থাকায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ক্ষমতা বলে ১৪৪ ধারা জারি করা হলো। 

এতে আরও বলা হয়, রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরদিন সোমবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে। সময় কোনো প্রকার আগ্নেয়াস্ত্র বহন, প্রদর্শন, লাঠি বা অন্য কোনো দেশীয় অস্ত্র বহন, আতশবাজি, পটকা ও মাইকিং করা যাবে না। 

ইউএনও আরও উল্লেখ করেন, ১৪৪ ধারা চলাকালীন সময়ে লামকাইন ঈদগাহ মাঠের আশেপাশে পাঁচজনের একত্রে চলাফেরা, সভা সমাবেশ ও মিছিল মিটিং নিষিদ্ধ থাকবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ