তামিম ইকবালকে সাভারের কেপিজে থেকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে আনা হয়েছে মঙ্গলবার। এই হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে আছেন জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক। করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) বিশেষ পরিচর্যায় রাখা হয়েছে তাঁকে। 

বিসিবির চিকিৎসক মঞ্জুরুল হোসেন জানান, আগের চেয়ে ভালো আছেন তামিম। হাসপাতালে আরও এক সপ্তাহ রাখা হতে পারে বলে জানান তিনি। তামিমের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, শরীর স্বাভাবিক হলে থাইল্যান্ডে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে যেতে পারেন ৩৬ বছর বয়সী এ ব্যাটার। উন্নত চিকিৎসার পর তামিম জানতে পারবেন আবার খেলায় ফিরতে পারবেন কিনা।

বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের হৃদরোগ বিভাগের অধ্যাপক মোস্তাফা জামান জানান, হার্টের ভেইনে স্টেন্ট বসালে নিয়ম মেনে চলতে হয় রোগীকে। 

তিনি বলেন, ‘খেলা পরিশ্রমের কাজ। শারীরিক কন্ডিশন এবং লিগের ধরনের ওপর নির্ভর করে খেলায় ফেরার বিষয়টি। তামিম খেলতে পারবেন কিনা, তা নির্ভর করবে শারীরিক সক্ষমতার ওপর। সে খেলতে চায় কিনা, সেটাও ব্যাপার। এ রকম কেসে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক কিছু দেখা হয়। কয়েক মাস পরে বোঝা যাবে সে খেলার মতো অবস্থায় আছে কিনা।’  

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ত ম ম ইকব ল

এছাড়াও পড়ুন:

মিয়ানমারে ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ১৭০০

মিয়ানমারের ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বাড়ছে। সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, রবিবার এক হাজার ৭০০ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। 

বিবিসি জানিয়েছে, বিদেশী উদ্ধারকারী দল এবং ত্রাণ সংস্থাগুলো মিয়ানমারে ছুটে যেতে শুরু করেছে। ভারত, চীন এবং থাইল্যান্ড ত্রাণ সামগ্রী ও উদ্ধারকারী দল পাঠিয়েছে। পাশাপাশি মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও রাশিয়া থেকেও  ত্রাণ ও উদ্ধারকর্মী কর্মী এসে পৌঁছেছে।

সামরিক সরকার জানিয়েছে, গত এক শতাব্দির মধ্যে মিয়ানমারের সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্পে এক হাজার ৭০০ জন নিহত, তিন হাজার ৪০০ জন আহত এবং ৩০০ জনেরও বেশি নিখোঁজ রয়েছে।

আন্তর্জাতিক সহায়তার জন্য বিরল আহ্বান জানানোর তিন দিন পর জান্তা প্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে এবং তার প্রশাসন একটি চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতির মুখোমুখি হবে। 

ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অফ রেড ক্রস অ্যান্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিজ এক বিবৃতিতে বলেছে, “ব্যাপক ধ্বংস হয়েছে এবং মানবিক চাহিদা প্রতি ঘণ্টায় বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বর্ষাকাল ঘনিয়ে আসার মতো দ্বিতীয় সংকট দেখা দেওয়ার আগে ক্ষতিগ্রস্ত সম্প্রদায়গুলোকে স্থিতিশীল করার জরুরি প্রয়োজন।”

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ