ঈদ সামনে রেখে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে যানবাহনের চাপ অন্তত দ্বিগুণ বেড়েছে। তবে যানবাহনের চাপ বাড়লেও তেমন যানজট দেখা যায়নি। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা পর্যন্ত স্বচ্ছন্দেই যাতায়াত করতে পারছিলেন ঘরমুখী যাত্রীরা।

যমুনা সেতু টোল প্লাজা সূত্রে জানা যায়, স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন প্রায় ১৮ হাজার যানবাহন সেতু পারাপার হয়। গত কয়েক দিনে যানবাহনের চাপ বাড়ছে। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে গতকাল বুধবার রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৩৩ হাজার ৭৬৬টি যানবাহন সেতু পারাপার হয়েছে, যা আগের ২৪ ঘণ্টার তুলনায় ৪ হাজার ৫৩৩টি বেশি। এতে ২ কোটি ৭৮ লাখ ৯৯ হাজার ৯০০ টাকা টোল আদায় হয়েছে।

এর মধ্যে পূর্ব প্রান্ত থেকে উত্তরবঙ্গের দিকে ১৮ হাজার ২৩৯টি যানবাহন পার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৩৮ লাখ ৪৮ হাজার ৪৫০ টাকা। অপর দিকে পশ্চিম প্রান্ত থেকে (ঢাকার দিকে) ১৫ হাজার ৫২৭টি যানবাহন পার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৪০ লাখ ৫১ হাজার ৪৫০ টাকা।

আজ সকাল ১০টার দিকে মহাসড়কের টাঙ্গাইল শহর বাইপাস ও কালিহাতীর এলেঙ্গা এলাকায় দেখা যায়, স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে অনেক বেশি যানবাহন চলাচল করছে। তবে কোথাও যানজট নেই।

এলেঙ্গা সিএনজি স্টেশনে কথা হয় রাজশাহীগামী ব্যক্তিগত গাড়ির চালক জাহাঙ্গীর হোসেনের সঙ্গে। তিনি জানান, ঢাকা থেকে সকাল সাড়ে সাতটায় রওনা হয়ে পৌনে তিন ঘণ্টায় এলেঙ্গা পৌঁছেছেন। কোথাও যানজটে পড়তে হয়নি।

যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল বলেন, যমুনা সেতু পার হতে গিয়ে যাতে যানজটের সৃষ্টি না হয়, সে জন্য পূর্ব ও পশ্চিম উভয় প্রান্তে ৯টি করে ১৮টি লেনে টোল নেওয়া হচ্ছে। মোটরসাইকেল জন্য টোল প্লাজায় পৃথক লেন করা হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প র হয় য নজট

এছাড়াও পড়ুন:

মিয়ানমারে ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ১৭০০

মিয়ানমারের ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বাড়ছে। সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, রবিবার এক হাজার ৭০০ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। 

বিবিসি জানিয়েছে, বিদেশী উদ্ধারকারী দল এবং ত্রাণ সংস্থাগুলো মিয়ানমারে ছুটে যেতে শুরু করেছে। ভারত, চীন এবং থাইল্যান্ড ত্রাণ সামগ্রী ও উদ্ধারকারী দল পাঠিয়েছে। পাশাপাশি মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও রাশিয়া থেকেও  ত্রাণ ও উদ্ধারকর্মী কর্মী এসে পৌঁছেছে।

সামরিক সরকার জানিয়েছে, গত এক শতাব্দির মধ্যে মিয়ানমারের সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্পে এক হাজার ৭০০ জন নিহত, তিন হাজার ৪০০ জন আহত এবং ৩০০ জনেরও বেশি নিখোঁজ রয়েছে।

আন্তর্জাতিক সহায়তার জন্য বিরল আহ্বান জানানোর তিন দিন পর জান্তা প্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে এবং তার প্রশাসন একটি চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতির মুখোমুখি হবে। 

ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অফ রেড ক্রস অ্যান্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিজ এক বিবৃতিতে বলেছে, “ব্যাপক ধ্বংস হয়েছে এবং মানবিক চাহিদা প্রতি ঘণ্টায় বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বর্ষাকাল ঘনিয়ে আসার মতো দ্বিতীয় সংকট দেখা দেওয়ার আগে ক্ষতিগ্রস্ত সম্প্রদায়গুলোকে স্থিতিশীল করার জরুরি প্রয়োজন।”

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ