Samakal:
2025-03-30@11:08:41 GMT

ঈদ উৎসবে ছেলেদের ফেসিয়াল

Published: 27th, March 2025 GMT

ঈদ উৎসবে ছেলেদের ফেসিয়াল

এক সময় ফেসিয়াল বলতে শুধু নারীর স্কিন কেয়ারকেই বোঝানো হতো। এখন সময় বদলেছে। ছেলেরাও সমানভাবে ত্বকের যত্ন নিচ্ছে। এর অন্যতম জনপ্রিয় উপায় হলো ফেসিয়াল।

কর্মব্যস্ত জীবনে ধুলোবালি, রোদ আর স্ট্রেসের কারণে ছেলেদের ত্বক অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাছাড়া ছেলেদের ত্বক সাধারণত মোটা ও তৈলাক্ত হওয়ায় ব্রণ, ব্ল্যাকহেডস এবং রুক্ষতার সমস্যাও বেশি হয়। সুস্থ ও সতেজ ত্বক পেতে ফেসিয়াল এখন আর বিলাসিতা নয়, বরং প্রয়োজন। ছেলেদের জনপ্রিয় ফেসিয়ালগুলো হচ্ছে ক্লিনজিং ফেসিয়াল, অয়েল কন্ট্রোল ফেসিয়াল, অ্যান্টি-এজিং ফেসিয়াল, হাইড্রেটিং ফেসিয়াল, ডি-ট্যান ফেসিয়াল।

ফেসিয়াল করার সঠিক নিয়ম: অনেকেই সঠিক নিয়ম না জেনে ফেসিয়াল করে, যা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এজন্য ফেসিয়ালের আগে এবং পরে কিছু বিষয় খেয়াল রাখা দরকার প্রয়োজন। যেমন– ত্বকের ধরন অনুযায়ী ফেসিয়াল নির্বাচন, স্ক্রাবিং ও ক্লিনজিং ভালোভাবে করা। স্টিম নেওয়ার পর ব্ল্যাকহেডস পরিষ্কার করা। ফেসিয়ালের পর সরাসরি রোদে যাওয়া যাবে না। হেভি কেমিক্যাল ব্যবহার এড়িয়ে চলতে হবে।

ছেলেদের ফেসিয়াল নিয়ে শোভন’স মেকওভারের স্বত্বাধিকারী শোভন সাহা বলেন, ‘ঈদে নিজেকে একটু ফ্রেশ, উজ্জ্বল দেখানোর জন্য ছেলেদের ফেসিয়াল করাটা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। কারণ ত্বকে দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা ময়লা ও মৃত কোষ দূর হয়, ত্বক উজ্জ্বল ও মসৃণ হয়, ব্ল্যাকহেডস ও হোয়াইটহেডস কমে, ব্রণের প্রবণতা কমে যায়, ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখা সহজ হয় এবং শেভিং-এর পর ত্বককে নরম ও আরামদায়ক করে। এছাড়াও দীর্ঘদিন ধরে যাদের ত্বকে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা যেমন– ব্রণ, মেস্তা, ড্রাইনেস, স্কুইস হয়ে যাওয়া স্কিন থাকে তাদের ঈদের ৩ থেকে ৪ দিন আগে থেকেই বিশেষজ্ঞের পরামর্শে ট্রিটমেন্ট করে ত্বক ঠিক করে বা এ ধরনের ত্বকের জন্য যে ফেসিয়াল কার্যকর হবে তা করার পরামর্শ দেন। কারণ, অথেনটিক ফেসিয়ালের গ্লোটাকে স্কিনে আনতে দুই থেকে তিন দিন সময় লাগে। তাছাড়া ঘরে বসে ত্বকের যত্ন সম্পর্কে শোভন জানান, ‘আপনার স্কিন বুঝে ফেসওয়াশ ব্যবহার করে টোনার ব্যবহার করতে হবে। যদি আপনার স্কিনের সঙ্গে মানানসই টোনার খুঁজে না পান তাহলে রোজজল ব্যবহার করতে পারেন। এটি সব ধরনের ত্বকের জন্যই সহনীয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘আপনার ত্বকের ধরন অনুযায়ী সপ্তাহে দুই থেকে তিন বার স্ক্রাব করতে পারেন, সপ্তাহে এক দিন ফেইস প্যাক লাগাতে পারেন। ফেইস ম্যাসাজটা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ছাড়া বাড়িতে চেষ্টা না করাই ভালো।’ ঈদের দিনে ছেলেদের ত্বকের যত্ন প্রসঙ্গে ‘সুপারকাট স্পা স্যালুন’-এর কর্ণধার সাইফুল ইসলাম রচি জানান, ‘ঈদের সকালে ত্বকের যত্নে একটি ভালো মানের ফেসওয়াশ ব্যবহার করে, মুখে অ‍্যান্টি অক্সিডেন্ট সিরাম বা ময়েশ্চরাইজার ক্রিম ব্যবহার করতে হবে। তারপর সানস্ক্রিন দিয়ে টপ-আপ করে দেবেন। সারাদিন আপনার ত্বক দেখাবে ঝকঝকে উজ্জ্বল এবং প্রাণবন্ত।’

এছাড়াও বাড়িতে বসে যেভাবে ফেসিয়াল করতে পারেন– 
ক্লিনজিং: দুধ বা অ্যালোভেরা জেল দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন। স্ক্রাবিং: চালের গুঁড়া ও মধু মিশিয়ে স্ক্রাব করুন। মাস্ক: দই ও হলুদের মিশ্রণ লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। ময়েশ্চারাইজিং: অ্যালোভেরা জেল বা লাইট ক্রিম ব্যবহার করুন।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব যবহ র কর ফ স য় ল কর র ত বক র দ র ত বক র জন য আপন র

এছাড়াও পড়ুন:

বিভেদের প্রাচীর ভেঙে যাক

ঈদুল ফিতর মুসলমানদের জীবনে একটি অনন্য দিন। টানা এক মাস রোজা পালনের পর আসে এই ঈদ। পবিত্র রমজান মাসে রোজা রাখার মাধ্যমে নিজেদের পাপ ও পাশবিক প্রবৃত্তি দমন করে উৎসব হিসেবে পালিত হয় পবিত্র ঈদুল ফিতর।

ইসলামী সংস্কৃতির অনন্য উৎসব ঈদ। মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ইবাদত হিসেবে পালিত হয় এই উৎসব। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে  ধনী-দরিদ্র, উঁচু-নিচু, সাদা-কালো সব ভেদাভেদ ভুলে এক কাতারে দাঁড়িয়ে মহান আল্লাহর দরবারে প্রার্থনার মাধ্যমে মুসলিম ভ্রাতৃত্বকে সুদৃঢ় করা।  

ইসলামে দুটি ঈদের কথা বলা হয়েছে। একটি ঈদুল ফিতর; যা রমজানের রোজা পূর্ণ করে পালন করা হয়। অন্যটি ঈদুল আজহা, যা হজ বা কোরবানি উপলক্ষে পালন করা হয়। ঈদ মানে আনন্দ, খুশি। তবে ঈদের সঠিক অর্থ বারবার আসা। ঈদ যেহেতু সময়ের ব্যবধানে পৃথিবীতে বারবার আসে সেহেতু ঈদকে এরূপ নামকরণ করা হয়েছে। ঈদ পর্বটি নিয়ে একটি ঐতিহাসিক ঘটনা রয়েছে। 
মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে সরাসরি রহমত ও বরকতময় দিন হিসেবে ঈদ উৎসব মুসলমানদের প্রতি নির্দেশিত হয়েছে। মানুষে মানুষে যে বিভেদের প্রাচীর তৈরি হয়, এ উৎসব তাকে ভেঙে চুরমার করে দেয়। ধনী-গরিব, আশরাফ-আতরাফ, রাজা-প্রজা, মালিক-শ্রমিকের ভেদাভেদ ভুলে মানুষ সেদিন একাকার হয়ে যায়। ঈদের দিনটি একজন মুমিনের জন্য বড় আনন্দের দিন। পরম প্রাপ্তির দিন।

হজরত সাদ বিন আওস আনসারী (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ঈদুল ফিতরের দিন ফেরেশতারা রাস্তার প্রতিটি গেটে দাঁড়িয়ে যায় এবং মুসলমানদের ডেকে বলে, ‘হে মুসলমানগণ! তোমরা তোমাদের সেই পরম দাতা প্রভুর দিকে চলো, যিনি নিজ কৃপায় তোমাদের শান্তি ও মঙ্গলের শিক্ষা দেন, তার ওপর আমল করার শক্তি দেন, অতঃপর এর ওপরই তোমাদের পুরস্কৃত করেন। ঈদ উৎসব শুরু হয় মহান আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণার মধ্য দিয়ে। তা সালাতুল ঈদ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত ঘোষিত হতে থাকে। হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ঈদের চাঁদ দেখবে তার উচিত পরের দিন ইমাম ঈদগাহে উপস্থিত না হওয়া পর্যন্ত তাকবির পড়া।’ মুসলিম সমাজের প্রত্যেক মানুষ–গরিব দুঃখী অসহায়–সবাই সমানভাবে এতে অংশ নিতে পারে। সুতরাং ঈদের এ উৎসব শুধু আনন্দ উৎসব নয়, বরং এটি একটি তাৎপর্যপূর্ণ উৎসব; যা ইবাদতের শামিল।

সাধারণত আমাদের দেশে ঈদ উৎসবে ঈদের জামাত ছাড়া ভিন্ন কোনো কর্মসূচি খুব একটা চোখে পড়ে না। তাই এবারের ঈদকে নগরবাসীর জন্য আরও সুন্দর ও উপভোগ্য করতে সরকার নতুন কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ঈদ মিছিলের বিষয়ে আমরা কমবেশি সবাই অবগত আছি। সুলতানি আমল-পরবর্তী ব্রিটিশ আমলেও ঈদ মিছিলের আয়োজন করা হতো। এই সংস্কৃতিকে এবার রিভাইভ করার উদ্যোগ নিচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। এ উদ্যোগের অংশ হিসেবে চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রের পাশের মাঠে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। গ্রামের ঈদগাহের পাশে যেমন ছোট করে মেলা বসে, ঠিক তেমনি মেলা থাকবে দিনব্যাপী। ঈদের জামাতের পরই হবে ঈদ আনন্দ মিছিল। মিছিলটি জামাতের স্থান থেকে শুরু হয়ে সংসদ ভবনের সামনে এসে শেষ হবে।
আমরা সারাদেশের প্রতিটি বিভাগীয় শহর, জেলা শহর ও উপজেলা সদর থেকেও এ ধরনের ঈদ আনন্দ শোভাযাত্রা ও অন্যান্য কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে উপভোগ্য করতে পারি। সমাজের মানুষের মধ্যে ঈদ একটি পবিত্র সম্পর্ক গড়ে তোলে। পারস্পরিক ঐক্য ও সংহতির শিক্ষা দেয়। তাই আসুন, নতুন বাংলাদেশে নতুনভাবে আমাদের ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করে নিই। আল্লাহ আমাদের তৌফিক দান করুন। আমিন।

ড. মো. শাহজাহান কবীর: বিভাগীয় প্রধান, ইসলামিক স্টাডিজ, ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ঢাকা
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও চাঁদরাতে বাংলাভিশনের ‘উৎসবে আনন্দে’
  • কোন ভাষার মানুষ কীভাবে ‘ঈদের শুভেচ্ছা’ জানান
  • দক্ষিণ চট্টগ্রামের শতাধিক গ্রামে ঈদ উদযাপন
  • পটুয়াখালীতে ২২ গ্রামের ২৫ হাজার মানুষের ঈদ উদযাপন
  • ঈদ কেন পালন করা হয়
  • সবার জন্য নিয়ে আসুক সুখ ও সমৃদ্ধি
  • যেভাবে ঈদ উৎসব উদ্‌যাপন শুরু হয়েছিল
  • সর্বজনীন আনন্দের উৎসব
  • রোজা আর ঈদ: চেতনায়, স্মৃতিতে, ভালোবাসায়
  • বিভেদের প্রাচীর ভেঙে যাক