যমুনা সেতু দিয়ে ২৪ ঘণ্টায় ৩৩ হাজার যানবাহন পারাপার
Published: 27th, March 2025 GMT
ঈদের বাকি আর কয়েকদিন। ঈদের আনন্দ পরিবারের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিতে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছেন ঘরমুখো মানুষ। এতে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। যানবাহনের চাপ বাড়লেও নেই যানজট। এদিকে বাড়ছে যমুনা সেতুতে টোল আদায়ের পরিমাণ।
গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা সেতু থেকে দুই কোটি ৭৮ লাখ ৯৯ হাজার ৯০০ টাকা টোল আদায় করেছে সেতু কর্তৃপক্ষ এবং এর বিপরীত ৩৩ হাজার ৭৬৬ টি যানবাহন পারাপার হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
যমুনা সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে বুধবার রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৩৩ হাজার ৭৬৬টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এর মধ্যে উত্তরবঙ্গগামী ১৮ হাজার ২৩৯টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৩৮ লাখ ৪৮ হাজার ৪৫০টাকা। অপরদিকে ঢাকাগামী ১৫ হাজার ৫২৭ টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এর বিপরীতে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৪০ লাখ ৫১ হাজার ৪৫০ টাকা।
সেতু কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, মঙ্গলবারের চেয়ে বুধবার যমুনা সেতু দিয়ে ৪ হাজার ৫৩৩টি যানবাহন বেশি পারাপার হয়েছে। গত ৩ দিনে সেতুর ওপর দিয়ে মোট ৮৭ হাজার ৯৬টি যানবাহন পারাপার হয়েছে৷ এতে টোল আদায় হয়েছে ৭ কোটি ৬২ লাখ ৯৮ হাজার টাকা৷
যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল বলেন, মহাসড়কে যানজট নিরসনে যমুনা সেতু পূর্ব ও পশ্চিম উভয় অংশে ৯টি করে ১৮টি টোল বুথ স্থাপনসহ মোটরসাইকেলের জন্য ৪টি বুথ স্থাপন করা হয়েছে। মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়লেও নেই যানজট। আশা করছি ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ঈদয ত র
এছাড়াও পড়ুন:
লঞ্চে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক ও পলিথিন নিরুৎসাহিত করতে মোবাইল কোর্ট
লঞ্চে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক ও পলিথিনের ব্যবহার নিরুৎসাহিত করতে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা অব্যাহত রয়েছে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের মনিটরিং অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট শাখার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রিজওয়ান উল ইসলামের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে সদরঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া লঞ্চগুলোর সুপারভাইজার ও স্টাফদের জানানো হয়, যাত্রীরা যেন একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক নিয়ে লঞ্চে না ওঠেন। এ ছাড়া, ব্যবহৃত পলিথিন, প্লাস্টিক, খাবারের অবশিষ্টাংশ ও আবর্জনা লঞ্চের বিনে ফেলেন। নদীতে এসব ফেলা নিষিদ্ধ।
প্রতিটি লঞ্চে আবর্জনা ফেলার বিন আছে কিনা, তা নৌপুলিশের মাধ্যমে এ সময় যাচাই করা হয়। যেসব লঞ্চে বিন পর্যাপ্ত ছিল না, তাদের বিন সরবরাহের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নৌপুলিশকে এসব বিষয়ে নিয়মিত মনিটরিং করার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
অভিযান চলাকালে হ্যান্ড মাইকের মাধ্যমে যাত্রীদের সচেতন করতে দেখা যায়।
এএএম//