গাজার কিছু এলাকা দখল করতে পারে ইসরায়েল: নেতানিয়াহু
Published: 27th, March 2025 GMT
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ও যুদ্ধবিধ্বস্ত ভূখণ্ড গাজার আরো অঞ্চল দখল করে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “হামাস যদি বাকি ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দিতে গড়িমসি করে তাহলে গাজা উপত্যকার অঞ্চল দখল করে নেওয়া হবে।”
বুধবার (২৬ মার্চ) পার্লামেন্টে দেওয়া ভাষণে নেতানিয়াহু এ ঘোষণা দিয়েছেন। খবর রয়টার্সের।
নেতানিয়াহু এমন এক সময়ে এই হুমকি দিলেন, যার মাত্র সপ্তাহ খানেক আগে তার দেশ গাজায় নতুন করে হামলা চালানো শুরু করেছে। এই হামলায় এখন পর্যন্ত ৭ শতাধিক ফিলিস্তিনি নতুন করে নিহত হয়েছেন আর সর্বমোট নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫০ হাজার।
আরো পড়ুন:
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৭ শিশুসহ নিহত ২৩
গাজায় রাতভর ইসরায়েলি হামলা, নিহত ২১
নেতানিয়াহু বলেছেন, “হামাস যত বেশি আমাদের জিম্মিদের মুক্তি দিতে অস্বীকৃতি জানাবে, আমাদের দমন-পীড়ন তত বেশি শক্তিশালী হবে। এর অঞ্চল দখল করা এবং অন্যান্য বিষয়ও অন্তর্ভুক্ত।”
গাজায় এখনো ইসরায়েলের ৫৯ জন বন্দি রয়েছে। এদের মধ্যে মাত্র ২৫ জন এখনো জীবিত বলে ইসরায়েল মনে করে।
জানুয়ারিতে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে সম্মত যুদ্ধবিরতি কাঠামোর দ্বিতীয় পর্যায়ে জীবিত সব বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে বলে আশা করা হয়েছিল। তবে, চুক্তির প্রথম ধাপের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর পরবর্তী ধাপে কোনো চুক্তি ছাড়াই ইসরায়েল গাজায় পুনরায় আক্রমণ শুরু করে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ গত সপ্তাহে একই ধরনের হুমকি দিয়েছিলেন। গত শুক্রবার এক বিবৃতিতে কাটজ বলেছিলেন, ‘আমি (সেনাবাহিনীকে) গাজায় আরো বেশি অঞ্চল দখলের নির্দেশ দিয়েছি.
তবে হুমকির পর পালটা জবাব দিয়েছে হামাসও।
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠনটি বলছে, ইসরায়েল যদি বন্দিদের উদ্ধারের জন্য ‘বল প্রয়োগ করে’, তাহলে তাদের ‘কফিনে’ ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
এছাড়াও হামাসের দাবি, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করা এবং পুনরায় যুদ্ধ করা নেতানিয়াহুর একটি ‘পূর্বপরিকল্পিত সিদ্ধান্ত’ ছিল।
হামাস আরো জানায়, চুক্তির ব্যর্থতার জন্য সম্পূর্ণ দায় নেতানিয়াহুর। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং মধ্যস্থতাকারীদের অবশ্যই তাকে আগ্রাসন বন্ধ করতে এবং আলোচনার পথে ফিরে আসার জন্য চাপ দিতে হবে।
ঢাকা/ফিরোজ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসর য় ল ইসর য় ল ইসর য
এছাড়াও পড়ুন:
লঞ্চে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক ও পলিথিন নিরুৎসাহিত করতে মোবাইল কোর্ট
লঞ্চে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক ও পলিথিনের ব্যবহার নিরুৎসাহিত করতে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা অব্যাহত রয়েছে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের মনিটরিং অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট শাখার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রিজওয়ান উল ইসলামের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে সদরঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া লঞ্চগুলোর সুপারভাইজার ও স্টাফদের জানানো হয়, যাত্রীরা যেন একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক নিয়ে লঞ্চে না ওঠেন। এ ছাড়া, ব্যবহৃত পলিথিন, প্লাস্টিক, খাবারের অবশিষ্টাংশ ও আবর্জনা লঞ্চের বিনে ফেলেন। নদীতে এসব ফেলা নিষিদ্ধ।
প্রতিটি লঞ্চে আবর্জনা ফেলার বিন আছে কিনা, তা নৌপুলিশের মাধ্যমে এ সময় যাচাই করা হয়। যেসব লঞ্চে বিন পর্যাপ্ত ছিল না, তাদের বিন সরবরাহের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নৌপুলিশকে এসব বিষয়ে নিয়মিত মনিটরিং করার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
অভিযান চলাকালে হ্যান্ড মাইকের মাধ্যমে যাত্রীদের সচেতন করতে দেখা যায়।
এএএম//