Samakal:
2025-04-19@15:15:22 GMT

ভিন্ন স্বাদের মজার খাবার 

Published: 27th, March 2025 GMT

ভিন্ন স্বাদের মজার খাবার 


ঈদ মানেই নতুন জামাকাপড় পরার সঙ্গে সঙ্গে ভরপুর খাওয়াদাওয়া। ঈদের দিন বাড়িতে রান্না করা যায় এমন মজার স্বাদের তিন পদের রেসিপি দিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা 

কাজুবাদাম দিয়ে মাটন ভুনা

উপকরণ: মাটন ১ কেজি, টকদই ২ কাপ, আদা ও রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ, জিরা গুঁড়া ১ চা চামচ, শাহি জিরা গুঁড়া আধা চা চামচ, মরিচ গুঁড়া আধা চা চামচ, গরম মসলা গুঁড়া ১ চা চামচ, কাঁচামরিচ ১০-১২টা, কাজু বাদাম বাটা ২ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, সয়াবিন তেল আধা কাপ, ঘি ১ টেবিল চামচ।
প্রস্তুত প্রণালি: মাটন, টক দই, সব গুঁড়া মসলা দিয়ে মাখিয়ে ঢেকে রাখুন ২-৩ ঘণ্টা। কড়াইতে তেল গরম করে পেঁয়াজ কুচি হালকা বাদামি করে ভেজে মাখানো মাংস দিয়ে ভালোভাবে নেড়ে ঢাকনা খুলে অল্প আঁচে রান্না করুন ১০-১৫ মিনিট। এবার কষানো হলে যদি মাংস সেদ্ধ না হয় তবে সামান্য পানি দিয়ে ঢেকে রান্না করুন মাংস সেদ্ধ হওয়া পর্যন্ত। মাংসের ওপর তেল ভেসে উঠলে কাঁচামরিচ, ঘি দিয়ে দমে রাখুন ১০ মিনিট। এভাবে তৈরি করুন কাজুবাদাম দিয়ে মাটন ভুনা।


ফুলেল পোলাও
উপকরণ: পোলাও চাল ৫০০ গ্রাম, ডিম ২টা, ফুলকপি ২ কাপ, গাজর ১ কাপ, পেঁয়াজ কুচি ২ টেবিল চামচ, ক্যাপসিকাম কুচি আধা কাপ, চিনি ও লবণ স্বাদমতো,  সয়াসস ২ টেবিল চামচ, টেস্টিং সল্ট ১ চা চামচ, সাদা গোলমরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ, ঘি ২ টেবিল চামচ, সয়াবিন তেল আধা কাপ। 
প্রস্তুত প্রণালি: গাজর ও ফুলকপি ফুটন্ত পানিতে বেকিং পাউডার দিয়ে ৫ মিনিট সেদ্ধ করে নিন। চাল ১ ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে ফুটন্ত পানিতে হাফ সেদ্ধ করে নিন। কড়াইতে সয়াবিন তেল গরম হলে পেঁয়াজ কুচি সামান্য ভেজে ডিম দিয়ে ঝুরি করে ভেজে গাজর-ফুলকপি দিয়ে সয়াসস, চিনি, টেস্টিং সল্ট, লবণ দিয়ে নেড়ে সেদ্ধ করা চাল দিয়ে ঢাকনাসহ ৫-৭ মিনিট রান্না করে ঘি, গোল মরিচ গুঁড়া, ক্যাপসিকাম দিয়ে নেড়ে আবারও ৫ মিনিট রান্না করে নামিয়ে নিন। তৈরি হয়ে গেল ফুলেল পোলাও।

টমেটো দিয়ে বিফ কড়াই ভুনা
উপকরণ: গরুর মাংস ১ কেজি, টমেটো টুকরা করে কাটা ৩-৪টা, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদা ও রসুন বাটা ২ টেবিল চামচ, জিরা গুঁড়া ১ চা চামচ, গরম মসলা ১ চা চামচ, মরিচ গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, গোল মরিচ গুঁড়া আধা চা চামচ, গোটা শুকনা মরিচ ৭-৮টি, লবণ ও চিনি স্বাদমতো, সয়াবিন তেল আধা কাপ, ধনে গুঁড়া ১ চা চামচ, পাকা কাঁচামরিচ ৫-৬টি। 
প্রস্তুত প্রণালি: মাংস পরিষ্কার করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম করে পেঁয়াজ কুচি সামান্য ভেজে সব বাটা মসলা, মরিচের গুঁড়া, আস্ত মরিচ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষিয়ে মাংস দিন এবং রান্না করুন কিছুক্ষণ। মাংসের গায়ে মসলা লেগে এলে টমেটোর টুকরা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ রান্না করুন। এবার পরিমাণ মতো পানি দিয়ে ঢেকে রান্না করুন মাংস সেদ্ধ হওয়া পর্যন্ত। মাংস ভুনা ভুনা হলে গোল মরিচ গুঁড়া ও ভাজা জিরা গুঁড়া, পাকা-কাঁচা মরিচ দিয়ে দমে রাখুন ৫ মিনিট। চুলা থেকে নামিয়ে পরিবেশন করুন। তৈরি হয়ে গেল টমেটো দিয়ে বিফ কড়াই ভুনা।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

সলেমানের সোলার পাম্পে উপকৃত ১১০০ কৃষক, সাশ্রয় একরে ৪০০০ টাকা

কৃষির উপকরণ হচ্ছে বীজ, সেচ ও সার। তার মধ্যে অন্যতম উপকরণ সেচ। দেশের সেচ ব্যবস্থা ডিজেল ও বিদ্যুৎ নির্ভর। কিন্তু এই দুই ব্যবস্থার থেকে কম খরচ ও পরিবেশবান্ধব সোলার প্যানেল দিয়ে তৈরি করা সেচ পাম্প দিয়ে সেচ সুবিধা নিয়ে উপকৃত হচ্ছেন ঠাকুরগাঁওয়ে ১১০০ বোরো ধান চাষি। এতে কৃষকের একরপ্রতি সাশ্রয় হচ্চে ৪ হাজার টাকা। শুধু টাকায় নয়, সোলার সেচ পাম্পে নেই কোনো শব্দ, নেই জ্বালানি খরচসহ কোনো রকম ঝামেলা। আর এটি সম্ভব করেছেন সলেমান আলী নামে এক কৃষি উদ্যোক্তা।

সদর উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের মোলানী গ্রামের মো. সলেমান আলী। ব্যাটারিবিহীন সোলার সেচ পাম্প তৈরি করে এলাকায় সাড়া ফেলার পাশাপাশি অর্জন করেছেন সুনাম। তিনি ১৯৯৬ সাল থেকে শুরু করেন সোলার নিয়ে সেচ। দীর্ঘ বছরের পরিশ্রম ও চেষ্টার ফলে ২০১৪ সালে তৈরি করেন ব্যাটারিবিহীন সোলার সেচ পাম্প। ২০১৫ সাল থেকে সোলার দিয়ে তিনি স্থানীয় কৃষকদের সেচ সুবিধা দিয়ে  আসছেন। বর্তমানে তার ২৫০০, ২৬০০, ৩৩০০ ওয়ার্ডসহ মোট ২৬টি সোলার প্যানেল ও পাম্প রয়েছে। যার মধ্যে ৬টি পাম্প দিয়ে তিনি নিজে কৃষকদের সেচ সুবিধা দেন। বাকি পাম্পগুলো তিনি মৌসুমভিত্তিক ৩৬ হাজার টাকায় ভাড়া দিয়েছেন।

বর্তমানে তার তৈরি করা সোলার সেচ পাম্প দিয়ে সেচ সুবিধা নিয়ে উপকৃত হচ্ছেন ১১০০ কৃষক। এতে এবার প্রায় ৮ লাখ টাকা আয় করার আশা করছেন সলেমান আলী। গত বছর আয় করেছিলেন ৭ লাখ ২৮ হাজার টাকা। একেকটি সোলার প্যানেলসহ পাম্প তৈরি করতে খরচ হয় প্রায় ১ লাখ থেকে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত বলে জানান সোলার সেচ পাম্প উদ্ভাবনকারী উদ্যোক্তা সলেমান আলী।

আরো পড়ুন:

গাজীপুরে বজ্রপাতে প্রাণ গেল ২ কৃষকের

কৃষি জমিতে ‘বোমা বিস্ফোণ’, কৃষক আহত

স্থানীয় কৃষকরা বলছেন, শ্যালোমেশিন ও বৈদ্যুতিক পাম্প দিয়ে সেচ দিতে অনেক বেশি খরচ হয় ও প্রয়োজনের সময় বিদ্যুৎও থাকে না। শ্যালোমেশিন দিয়ে সেচ দিতে একর প্রতি খরচ ১০ হাজার আর সোলারে খরচ হয় ৬ হাজার টাকা। এতে খরচ কম ও ঝামেলামুক্ত। এছাড়াও মাটির অভ্যন্তরীণ পাইপ স্থাপন করায় ড্রেনের ঝামেলা নেই এবং ড্রেনের সেই জায়গায় তারা আবাদ করতে পারছেন। এতে ফসল ভালো ও বেশি হচ্ছে। সলেমানের সোলার সেচ ব্যবস্থার মাধ্যমে অনেক উপকৃত হচ্ছেন তারা।

বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার লালাপুর শুকানি গ্রামের কৃষক আব্দুর রশিদ বলেন, ‘‘আমি সলেমান আলীর সোলার সেচ পাম্প দিয়ে গত চার বছর ধরে ফসলে পানি নেই। এতে বিশেষ করে মানুষ থাকার কোনো প্রয়োজন হয় না। আর শ্যালোমেশিন দিয়ে পানি নিলে তেল কিনতে হয় ও মেশিন আনা নেওয়া করতে কমপক্ষে দুইজন মানুষ লাগে ও পরিশ্রম হয় বেশি। আর আগে একর প্রতি মেশিনের পানি নিতে বর্তমানে লাগে ১০ হাজার টাকা। আর সোলার সেচ দিতে লাগে ৬ হাজার টাকা। এতে আমাদের অনেক খরচ ও পরিশ্রম কম হয়।’’

একই উপজেলার কালমেঘ বাজার এলাকার কৃষক মো. নূর ইসলাম বলেন, ‘‘আমাদের এইদিকে সোলার পাম্প দেওয়ার পর থেকে কৃষকদের খুবই উপকার হয়েছে। আগে ডিজেলচালিত মেশিনের মাধ্যমে আমাদের পানি নিতে কষ্ট হতো ও খরচ বেশি হতো। সলেমান ভাই সোলার নিয়ে আসাতে আমরা খুব সহজেই বোরো ধান ক্ষেতে পানি দিতে পারছি। পানি দিতে আমাদের ক্ষেতে আসতেও হয় না। শুধু সকালে সোলার পাম্প একবার চালু করে দিলে সারা দিন এমনিতে পানি হয়ে যায়। আর বিকাল ৫-৬টার দিকে সেটি অটোমেটিক বন্ধ হয়ে যায়।’’

সদর উপজেলার মোলানি গ্রামের কৃষক মো. মমিনুল ইসলাম বলেন, ‘‘সোলারের মাধ্যমে এক ঘণ্টায় বোরো ধানের এক বিঘা জমিতে পানি হয়ে যায়। শ্যালোমেশিন ও ডিপ-টিউবওয়েলের মাধ্যমে আমাদের পানি নিতে ড্রেন করতে হতো। এতে পানির চাপে অনেক সময় মাটির ড্রেন ভেঙে যেত। এখন সলেমান চাচা মাটির নিচ দিয়ে পাইপ পুতে দিয়েছে। যার ফলে আমাদের আর ড্রেন করতে হয় না ও ড্রেনের যে জায়গাটি পড়ে থাকতো সেটিতে ধান করতে পারছি। এতে আমাদের ধানের ফলনও বেশি হচ্ছে।’’

আরো অনেক কৃষক সলেমানের মাধ্যমে উপকৃত হতে পেরে তাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।

সলেমান আলী জানান, তিনি তার বাড়িতে লাইট, ফ্যান, টিভি, ফ্রিজসহ মাছের ও মুরগির খামারে বিদ্যুতের যাবতীয় কাজ সৌর বিদ্যুৎ দিয়ে চালান। তার এই প্রযুক্তি দেশে তিনি ছড়িয়ে দিতে চান। তাহলে বিদ্যুৎ ও ডিজেল সাশ্রয়, পরিবেশ দুষণ রোধ ও দেশ অর্থনৈতিকভাবে উপকৃত হবে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মো. মাজেদুল ইসলাম বলেন, সলেমান আলীর এই উদ্ভাবন কৃষিক্ষেত্রে আর্শীবাদ স্বরূপ। শুধু এই জেলায় নয়, দেশের বিভিন্ন জেলাসহ সুনামগঞ্জ পর্যন্ত ছড়িয়ে গেছে তার এই উদ্ভাবন প্রযুক্তি। সোলার সেচ পাম্প দিয়ে জেলার প্রায় ৭ হাজার হেক্টর জমিতে সেচের ব্যবস্থা করেছেন। তার এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে এখানকার কৃষকরা সাশ্রয় মূল্যে, প্রয়োজন ও সাধ্যমতো সেচ দিতে পেরে লাভবান হচ্ছেন। ফলে তাদের ফসল উৎপাদন খরচ কম হচ্ছে।

সলেমানের এই প্রযুক্তি সারা দেশে ছড়িয়ে যাবে বলে আশা করেন এবং কৃষি অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে তাকে যথাসাধ্য সহযোগিতা করা হবে জানান উপপরিচালক মো. মাজেদুল ইসলাম।

ঢাকা/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সলেমানের সোলার পাম্পে উপকৃত ১১০০ কৃষক, সাশ্রয় একরে ৪০০০ টাকা
  • রাবিতে ভর্তিচ্ছুদের পাশে শিবির-ছাত্রদল
  • মুচমুচে কলমির রেসিপি
  • ৩ উপকরণে মাত্র ১ মিনিটে চকো স্মুদি বানানোর রেসিপি