স্তন বৃন্ত দিয়ে রস নিঃসরণ হওয়াকে ‘নিপল ডিসচার্জ’ বলে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিপল ডিসচার্জ বিভিন্ন স্তন রোগের কারণে হয়ে থাকে। এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে  ৫-১০%  রোগীর ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। বেশিরভাগের ক্ষেত্রে নিপল ডিসচার্জ স্তনের অন্যান্য রোগ বা সংক্রমণ থেকে হয়ে থাকে। অনেক সময় মানসিক রোগের কারণেও নিপল ডিসচার্জ হতে পারে। 

ডা.

আলী নাফিসা, সহযোগী অধ্যাপক, সার্জারি, অনকোপ্লাস্টিক, ল্যাবএইড ক্যান্সার ও সুপার স্পেসিয়ালিটি হাসপাতাল, ঢাকা একটি ভিডিও সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘নিপল ডিসচার্জ হলে অনেকেই ভয় পেয়ে যান। কারণ এটা ক্যান্সারের লক্ষণ। কিন্তু এটাও ঠিক, নিপলে ডিসচার্জ হওয়া মানেই ক্যান্সার নয়।’’

এই চিকিৎসক বলছেন আক্রান্ত ব্যক্তির বয়স যদি ৩০ থেকে ৩৫ এর মধ্যে হয়ে থাকে তাহলে এতো ভয় পাওয়ার কিছু নেই। যদি এই নিপল ডিসচার্জটা একদিক থেকে হয়, একটি ব্রেস্টে হয় এবং নিয়মিত হয় তাহলে ভয় পাওয়ার ব্যাপার আছে। কোনো ধরনের স্পর্শ ছাড়াই যদি পোশাক ভিজে যেতে থাকে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

আরো পড়ুন:

ঈদের আগে বাড়িতে হেয়ার স্পা করার দুইটি পদ্ধতি 

হাতে মেহেদি লাগানোর আগে-পরে করণীয়

আক্রান্ত ব্যক্তির বয়স ৩০ থেকে ৩৫ এর নিচে হলে আল্ট্রাসনোগ্রাম করা লাগতে পারে। এর ওপরে হলে মেমোগ্রাম করা লাগতে পারে। যদি নিপল ডিসচার্জের ক্ষেত্রে রক্ত বের হয় সেক্ষেত্রে অপারেশনের প্রয়োজন হতে পারে। 

ঢাকা/লিপি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ফেসবুকের বন্ধুতালিকা ‘রিসেট’ করার ভাবনা ছিল জাকারবার্গের

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিযোগিতা নস্যাৎ করে একচেটিয়া আধিপত্য বজায় রাখার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে চলছে মেটার বিরুদ্ধে বহুল আলোচিত মামলার বিচার। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মার্ক জাকারবার্গ সোমবার এই মামলায় সাক্ষ্য দেন। শুনানিতে আদালতে উপস্থাপন করা হয় মেটার অভ্যন্তরীণ কিছু ই–মেইল, যেখানে উঠে আসে এক সময় সবাইকে ফেসবুকে বন্ধু তালিকা ‘শূন্য’ থেকে শুরু করতে বাধ্য করার এক অভিনব প্রস্তাব।

২০২২ সালে পাঠানো একটি ই–মেইলে জাকারবার্গ লেখেন, বন্ধু তৈরিতে দ্বিগুণ জোর। সবাইকে তাঁদের বন্ধুতালিকা (গ্রাফ) মুছে দিয়ে নতুন করে শুরু করতে দেওয়ার কথা ভাবা যেতে পারে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, কিশোর-তরুণ ব্যবহারকারীদের মধ্যে ইনস্টাগ্রামের জনপ্রিয়তা দ্রুত বাড়ায় ফেসবুকের ব্যবহার কমছিল। এই প্রেক্ষাপটে ফেসবুকে ব্যবহারকারীদের সক্রিয়তা বাড়াতে নতুন কিছু ভাবনার অংশ হিসেবেই জাকারবার্গ ওই প্রস্তাব দেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তবে মেটার অভ্যন্তরেই প্রস্তাবটি নিয়ে আপত্তি ওঠে। ফেসবুক বিভাগের প্রধান টম অ্যালিসন ই–মেইলের জবাবে লেখেন, আপনার প্রস্তাবিত প্রথম বিকল্পটি (বন্ধু সংযোগে জোর) আমার কাছে বাস্তবসম্মত বলে মনে হচ্ছে না। ইনস্টাগ্রামে বন্ধু সুবিধাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সেটি অকার্যকর হলে ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতায় বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

জাকারবার্গ আরও একটি বিকল্প প্রস্তাব করেছিলেন। ফেসবুককে বন্ধুভিত্তিক মাধ্যমের বদলে অনুসরণভিত্তিক (ফলোয়ার) মাধ্যমে রূপান্তর করার চিন্তা ছিল তাঁর। যদিও এসব প্রস্তাব বাস্তবায়ন হয়নি, তবে অভ্যন্তরীণ যোগাযোগে উঠে আসা এসব ভাবনা থেকে প্রযুক্তি মাধ্যমটি ভবিষ্যতে কোন পথে হাঁটতে চায়, তার একটা ইঙ্গিত স্পষ্ট হয়।

মার্কিন ফেডারেল ট্রেড কমিশন (এফটিসি) ২০২০ সালে মেটার বিরুদ্ধে এই প্রতিযোগিতা-বিরোধী মামলা করে। মামলার অভিযোগে বলা হয়, ফেসবুক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বাজারে একচেটিয়া আধিপত্য বজায় রাখার জন্য পরিকল্পিতভাবে প্রতিযোগীদের ঠেকিয়ে দিয়েছে। এফটিসির ভাষ্য, সম্ভাবনাময় প্রতিযোগীরা যখন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল, তখন মেটা তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতার বদলে কিনে নিয়ে সেই ‘হুমকি’ দূর করেছে। এভাবে প্রতিষ্ঠানটি উদ্ভাবনশীল মাধ্যমগুলোকে হুমকিস্বরূপ মনে করে অধিগ্রহণের মাধ্যমে প্রতিযোগিতাবিরোধী একক আধিপত্য গড়ে তুলেছে।

সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

সম্পর্কিত নিবন্ধ