লিওনেল মেসি কি ২০২৬ বিশ্বকাপেও খেলবেন?

আর্জেন্টিনা ২০২২ সালে বিশ্বকাপ জয়ের পর থেকেই প্রশ্নটা ভেসে বেড়াচ্ছে।

পুরোনো সেই প্রশ্নই আবার নতুন করে উঠেছে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে আর্জেন্টিনা ব্রাজিলকে বিধ্বস্ত করার পর। গতকাল ব্রাজিলের বিপক্ষে ম্যাচটি খেলেননি মেসি। আর্জেন্টিনা অধিনায়ক ছিলেন না উরুগুয়ের বিপক্ষে আগের ম্যাচেও। ‘মেসিকে ছাড়াও আমরা জিততে পারি’—উরুগুয়ের পর ব্রাজিলকেও হারিয়ে এমন বার্তাই দিয়ে রেখেছে আর্জেন্টিনার অপেক্ষাকৃত তরুণ দলটি।

ব্রাজিলকে ৪-১ গোলে হারানোর আগেই নিশ্চিত হয়ে যায় ২০২৬ বিশ্বকাপেও থাকছে আর্জেন্টিনা। বাছাইপর্বের ঝামেলা চোকানোর পর আর্জেন্টিনার সামনে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন এখন ৩৭ বছর বয়সী মেসির ষষ্ঠ বিশ্বকাপ খেলা না–খেলা নিয়ে।

না থেকেও মেসি ছিলেন আর্জেন্টিনা–ব্রাজিল ম্যাচে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আর জ ন ট ন ব শ বক প

এছাড়াও পড়ুন:

ট্রাম্পের শুল্কঝড়ে কমবে জ্বালানি তেলের চাহিদা: ওপেক

বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া বাণিজ্যযুদ্ধের চাপে চলতি ও আগামী বছর সারা বিশ্বে অপরিশোধিত তেলের চাহিদা কমে যেতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর জোট ওপেক। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ) তথ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত বাণিজ্য শুল্কের প্রভাব বিবেচনা করে আগের পূর্বাভাস সংশোধন করেছে সংস্থাটি।

রয়টার্সের সংবাদে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের দৈনিক চাহিদা ১৩ লাখ ব্যারেল এবং ২০২৬ সালে ১২ লাখ ৮০ হাজার ব্যারেল বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে ওপেক। দুই বছরের জন্য দেওয়া এ পূর্বাভাস আগের পূর্বাভাসের তুলনায় দৈনিক গড়ে ১ লাখ ৫০ হাজার ব্যারেল কম।

একই সঙ্গে চলতি বছরের জন্য বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৩ দশমিক ১ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশে নামিয়ে এনেছে ওপেক। এ ছাড়া ২০২৬ সালে প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৩ দশমিক ১ শতাংশ; আগের পূর্বাভাসে যা ছিল ৩ দশমিক ২ শতাংশ। মূলত প্রবৃদ্ধির গতি কমে যাবে বলেই তেলের চাহিদা কমবে বলে জানিয়েছে ওপেক। ব্যবসা-বাণিজ্য ব্যাহত হলে স্বাভাবিকভাবেই তেলের চাহিদা কমবে বা প্রবৃদ্ধির গতি কমবে।

ওপেকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক নীতি ও ওপেক প্লাসের (ওপেক ও রাশিয়াসহ অন্যান্য সহযোগী দেশ নিয়ে গঠিত) সম্ভাব্য উত্তোলন বৃদ্ধি—এ দুই কারণে চলতি মাসে জ্বালানি তেলের দাম পড়ছে। বিশেষ করে ডোনাল্ড ট্রাম্প ২ এপ্রিল পাল্টা শুল্ক আরোপের পর জ্বালানি তেলের দাম চার বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে বা ব্যারেলপ্রতি ৬০ ডলারে নেমে আসে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিয়েও উদ্বেগ বাড়ছে।

পেট্রোলিয়াম রপ্তানিকারক দেশগুলোর জোট ওপেক বলেছে, বছরের শুরুতে বৈশ্বিক অর্থনীতি একরকম স্থিতিশীল ছিল। বিশ্ববাণিজ্যে সম্প্রতি যা ঘটেছে, অর্থাৎ যেভাবে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশ পরস্পরের পণ্যে শুল্ক আরোপ করছে, তার জেরে স্বল্প মেয়াদে হলেও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাসে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে বলে মনে করছে ওপেক।

এদিকে ওপেকের পর এবার ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সিও (আইইএ) চলতি বছরের বৈশ্বিক জ্বালানি তেলের চাহিদা বৃদ্ধির পূর্বাভাস উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়েছে। মঙ্গলবার প্রকাশিত মাসিক প্রতিবেদনে সংস্থাটি বলছে, বৈশ্বিক বাণিজ্য উত্তেজনা ও যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক নীতির কারণে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আইইএ জানায়, চলতি বছর বিশ্বজুড়ে জ্বালানি তেলের দৈনিক চাহিদা ৭ লাখ ৩০ হাজার ব্যারেল বাড়তে পারে। আগের মাসে তারা বলেছিল, প্রবৃদ্ধি হতে পারে দৈনিক গড়ে ১০ লাখ ৩০ হাজার ব্যারেল।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, এপ্রিলের শুরুতে বাণিজ্য উত্তেজনা হঠাৎ তীব্র আকার ধারণ করেছে। ফলে অনিবার্যভাবেই বিশ্ব অর্থনীতিতে তার প্রভাব পড়বে। এমন প্রেক্ষাপটে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের চাহিদা ভবিষ্যতে আরও কমতে পারে। বিশ্বের বৃহত্তম দুই অর্থনীতি যুক্তরাষ্ট্র ও চীন বাণিজ্যযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ায় চাহিদাও সবচেয়ে বেশি কমবে এই দুই দেশে। এ ছাড়া উদীয়মান বা উন্নয়নশীল দেশগুলোতেও চাহিদা কমবে।

সাম্প্রতিক অতীতে তেলের দামে সবচেয়ে বড় উল্লম্ফন ঘটে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ দিকে, অর্থাৎ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর। ওই বছর তেলের গড় দাম ১০০ ডলার ছাড়িয়ে যায়, সর্বোচ্চ দাম ওঠে ১৩৯ ডলার। ফলে বিশ্বজুড়ে মূল্যস্ফীতি বাড়তে শুরু করে। তবে পরের বছর তেলের দাম কমে ৮০ ডলারে নেমে আসে। ২০২৪ সালেও দাম ৭০ ডলারের ঘরে ছিল। আজ বৃহস্পতিবার সকালে ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম ছিল ব্যারেলপ্রতি ৬৬ ডলার।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ২০২৬ বিশ্বকাপ খেলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানালেন মেসি
  • নিজের প্রতি সৎ থেকে ২০২৬ বিশ্বকাপ খেলতে চাই: মেসি 
  • ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে নিজের সঙ্গে ‘সৎ’ থাকতে চান মেসি
  • ট্রাম্পের শুল্কঝড়ে কমবে জ্বালানি তেলের চাহিদা: ওপেক