মহাকাশ মানেই যেন চমক। বিশাল মহাকাশজুড়ে প্রতিনিয়ত দেখা যায় নানা ধরনের মহাজাগতিক ঘটনা। কোনো কোনো ঘটনা স্বাভাবিক, প্রায় সব সময় দেখা যায়। আবার কিছু ঘটনা অনেক বছর পরপর দেখা যায়। আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের আকাশ থেকে বিরল এক মহাজাগতিক ঘটনা দেখা যেতে পারে। মহাকাশের নর্দান ক্রাউন নক্ষত্রমণ্ডলের টি করোনা বোরিয়ালিস বাইনারি স্টার সিস্টেমে থাকা একটি নক্ষত্র বিস্ফোরণের বিরল দৃশ্য খালি চোখেই দেখার সুযোগ মিলতে পারে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এর ফলে ১৯৪৬ সালের পর প্রথমবারের মতো বিশাল এক নক্ষত্র বিস্ফোরণের দৃশ্য দেখা যাবে আকাশে।

বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, টি করোনা বোরিয়ালিস বাইনারি স্টার সিস্টেমে থাকা নক্ষত্রটি নোভা বিস্ফোরণের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। এ বিষয়ে এসইটিআই ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানী ফ্রাঙ্ক মার্চিস জানিয়েছেন, নক্ষত্রটিতে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত বিস্ফোরণ ঘটবে। এই নক্ষত্র পৃথিবী থেকে প্রায় ৩ হাজার আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। এতে দুটি তারা রয়েছে, যেগুলো লাল দৈত্য ও সাদা বামন তারা নামে পরিচিত।

লাল দৈত্য তারাটি বয়সের সঙ্গে সঙ্গে শীতল ও প্রসারিত হচ্ছে। সময়ের সঙ্গে বিভিন্ন উপাদান নির্গত হচ্ছে। আর সাদা বামন তারার জ্বালানি ফুরিয়ে গেছে ও ধীরে ধীরে শীতল হচ্ছে। এর ফলে সাদা বামন তারা ধীরে ধীরে লাল দৈত্য তারা থেকে উপাদান সংগ্রহ করছে। এরপর সাদা বামন তারায় একটি থার্মোনিউক্লিয়ার বিস্ফোরণ ঘটবে। এই বিস্ফোরণের দৃশ্য পৃথিবী থেকে খালি চোখে দৃশ্যমান হবে। বিস্ফোরণের দৃশ্য কয়েক দিন রাতের আকাশে দেখা যেতে পারে।

আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন অব ভ্যারিয়েবল স্টার অবজারভার্সের তথ্যমতে, ২০২৩ সালের মার্চ ও এপ্রিল মাসে নক্ষত্রটির উজ্জ্বলতা কমে গেছে। তখন বলা হয়েছিল, ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে নক্ষত্রটির বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। এর আগে ১৭৮৭, ১৮৬৬ ও ১৯৪৬ সালে নক্ষত্র বিস্ফোরণের দৃশ্য দেখা গিয়েছিল পৃথিবী থেকে। এ বিষয়ে নাসার গডার্ড স্পেস ফ্লাইট সেন্টারের নোভা ইভেন্টের বিশেষজ্ঞ হাউন্সেল বলেন, অনেক উচ্চাকাঙ্ক্ষী বিজ্ঞানী এসব ঘটনা দেখেছেন। জীবনে দেখার মতো দৃশ্য এটি।

সূত্র: এনডিটিভি

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব মন ত র

এছাড়াও পড়ুন:

গুলশানে ব্যাটারিচালিত রিকশা চালানোর দাবিতে সমাবেশ

রাজধানীর গুলশান এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চালানোর দাবিতে মিছিল–সমাবেশ করেছেন রিকশাচালকেরা। আজ শনিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত গুলশানের কালাচাঁদপুর ও বনানী ১১ নম্বর সড়কে সমাবেশ করেন তাঁরা।

সমাবেশে অংশ নেওয়া রিকশাচালকেরা অভিযোগ করেন, গুলশান সোসাইটির নিবন্ধিত রিকশা ছাড়া অন্য কোনো ব্যাটারিচালিত রিকশা গুলশান এলাকায় ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এতে তাঁরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। রিকশাচালক কাইয়ুম প্রথম আলোকে বলেন, গুলশান সোসাইটির নিবন্ধন নেই, এমন অটোরিকশা গুলশান এলাকায় গেলে রিকশার ক্ষতি করা হচ্ছে। গুলশান এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চলার অনুমতি দেওয়ার দাবি জানান তিনি।

প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা জানান, কালাচাঁদপুরে সমাবেশের সময় রিকশাচালকদের কেউ কেউ সড়কে শুয়ে পড়েন। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে সড়কে যান চলাচল বন্ধ না করতে তাঁদের অনুরোধ করে। তবে পুলিশের অনুরোধে সাড়া না দিয়ে বেশ কয়েকজন রিকশাচালক সড়কে শুয়েই থাকেন। পরে পুলিশ সদস্যরা তাঁদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেন।

ব্যাটারিচালিত রিকশা চালানোর দাবিতে গুলশান এলাকার সড়কে শুয়ে পড়েন রিকশাচালকেরা। পরে পুলিশ তাঁদের সেখান থেকে উঠিয়ে দেয়। ঢাকা, ১৯ এপ্রিল

সম্পর্কিত নিবন্ধ