ফিলিস্তিনিদের সমর্থন: যুক্তরাষ্ট্রে তুর্কি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার, ভিসা বাতিল
Published: 27th, March 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের এক তুর্কি ডক্টরেট শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার ও ভিসা বাতিল করেছে দেশটির অভিবাসন কর্তৃপক্ষ। গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে সোচ্চার হওয়ার কারণে তাঁর বিরুদ্ধে এ শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের টাফটস বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষার্থীর নাম রুমেসা ওজতুর্ক (৩০)। বোস্টনের কাছ থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
দেশজুড়ে যে প্রবণতা আমরা লক্ষ করছি, তাতে তাঁর (রুমেসা) বাক্স্বাধীনতার অধিকারচর্চাই তাঁকে আটক করার পেছনে ভূমিকা রেখেছে।মাশাখানবাবাই, আইনজীবীরুমেসাকে গ্রেপ্তার ও ভিসা বাতিল করায় বোস্টনের ফেডারেল আদালতে একটি পিটিশন দাখিল করেছেন তাঁর আইনজীবী মাশা খানবাবাই।
পিটিশনে আইনজীবী বলেন, বন্ধুদের সঙ্গে ইফতার করতে রুমেসা গত মঙ্গলবার তাঁর সমারভিলের বাসা থেকে বাইরে যান। সে সময় হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের কর্মকর্তারা তাঁকে গ্রেপ্তার করেন।
আরও পড়ুনযুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষোভকারী ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার১০ মার্চ ২০২৫রুমেসার সমর্থকেরা বলছেন, ফিলিস্তিনিদের পক্ষে সোচ্চার হওয়ায় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেয়াদে বোস্টন থেকে এই প্রথম কোনো অভিবাসী শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হলো।
ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভে সংশ্লিষ্ট থাকায় ট্রাম্প প্রশাসন এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত বিদেশি বংশোদ্ভূত কিছু শিক্ষার্থীকে আটক করেছে বা আটক করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
বন্ধুদের সঙ্গে ইফতার করতে রুমেসা গত মঙ্গলবার তাঁর সমারভিলের বাসা থেকে বাইরে যান। সে সময় হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের কর্মকর্তারা তাঁকে গ্রেপ্তার করেন।ট্রাম্প প্রশাসনের এমন পদক্ষেপকে বাক্স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ বলে নিন্দা জানিয়েছেন অনেকে। তবে এই প্রশাসনের যুক্তি, ফিলিস্তিনপন্থী কিছু বিক্ষোভ ইহুদিবিরোধী ও তা মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি লঙ্ঘন করে থাকতে পারে।
মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের মুখপাত্র ট্রিসিয়া ম্যাকলাফলিন এক্সে এক পোস্টে বলেন, কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছে যে ওজতুর্ক হামাসকে সমর্থন করে এমন কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন। এটি একটি বিদেশি ‘সন্ত্রাসী’ সংগঠন, যারা মার্কিনদের মেরে ফেলাকে সমর্থন করে।
আরও পড়ুনইহুদি শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল প্রত্যাহার ট্রাম্পের০৭ মার্চ ২০২৫তুর্কি শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করা প্রসঙ্গে মুখপাত্র বলেন, ‘ভিসা একটি বিশেষ সুবিধা, কোনো অধিকার নয়।’
ওই সব কর্মকাণ্ড কী, সেটি নির্দিষ্ট করে উল্লেখ করেননি ট্রিসিয়া ম্যাকলাফলিন। টাফটস বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রকাশনা টাফটস ডেইলিতে প্রকাশিত একটি মতামতের সহরচয়িতা ছিলেন রুমেসা।
ওয়াশিংটন ডিসির জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটিতে ফিলিস্তিনি পতাকা হাতে নাড়ছেন এক ব্যক্তি। ব্যারিকেডের চারপাশে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর
এছাড়াও পড়ুন:
পুলিশের কোনো কর্মকর্তা অপরাধে জড়ালে ব্যবস্থা নেওয়া হয়
বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন বলেছে, পুলিশ বাহিনীতে কোনো কর্মকর্তা কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত হলে যথাযথ অনুসন্ধান করে বিধি মোতাবেক বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সম্প্রতি অনেকগুলো জেলার পুলিশ সুপারসহ একাধিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান করে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
বৃহস্পতিবার পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মো. মতিউর রহমান শেখ ও সাধারণ সম্পাদক ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. আনিসুজ্জামান এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাগেরহাটের পুলিশ সুপার মো. তৌহিদুল আরিফের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম সারোয়ার হোসেনের একটি বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। বিষয়টি বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। ভিডিও পর্যালোচনায় দেখা যায়, এম সারোয়ার হোসেন ১৬ এপ্রিল পুলিশ সুপার তৌহিদুল আরিফ সম্পর্কে কম-বেশি ১০ কোটি টাকার দুর্নীতি উল্লেখ করেন। এমনকি পুলিশ মহাপরিদর্শক পুলিশে কর্মরত কর্মকর্তাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেন না বলে তিনি (এম সারোয়ার হোসেন) বক্তব্যে উল্লেখ করেন।
পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আইন অনুযায়ী সাক্ষ্য–প্রমাণ ছাড়া কারও বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে এ রকম বক্তব্য উপস্থাপন করা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মানহানির শামিল। একজন স্বনামধন্য আইনজীবী ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা হিসেবে পুলিশ বাহিনীতে কর্মরত একজন কর্মকর্তাকে যথাযথ অনুসন্ধান ব্যতিরেকে দুর্নীতিগ্রস্ত অফিসার বলায় আমাদের হতাশ করেছে। পুলিশ বাহিনীর প্রধানকে জড়িয়ে এ ধরনের অসত্য বক্তব্য প্রদান কোনোভাবেই কাম্য নয়। এ ধরনের বক্তব্য পুলিশ বাহিনীর মনোবলকে দুর্বল করা ও সুনাম জনসমক্ষে হেয় করার শামিল।’
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন এ ধরনের বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করছে। বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা সব সময় দেশের আইনশৃঙ্খলা সুরক্ষায় এবং উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে ইতিবাচক ভূমিকা রাখার ক্ষেত্রে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা ব্যক্ত করছেন।