চীনে বোয়াও সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
Published: 27th, March 2025 GMT
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস চীনে বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়া (বিএফএ) সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার চীন সফররত মুহাম্মদ ইউনূসের বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়া বার্ষিক সম্মেলন ২০২৫-এর উদ্বোধনী অধিবেশনে বক্তব্য দেওয়ার কথা রয়েছে।
লাওসের প্রধানমন্ত্রী সোনেক্সাই সিফানডোন, চীনের স্টেট কাউন্সিলের নির্বাহী উপপ্রধানমন্ত্রী ডিং শুয়েশিয়াং, বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়ার চেয়ারম্যান বান কি-মুন এবং এর মহাসচিব ঝাং জুন চীনের হাইনানে সম্মেলনের উদ্বোধনী প্লেনারি সেশনে বক্তৃতা দেবেন। সূত্র: বাসস
মুহাম্মদ ইউনূস গতকাল বুধবার চার দিনের সরকারি সফরে চীনে পৌঁছান। এ সফরে বোয়াও ফোরামের পাশাপাশি তিনি বিশ্বখ্যাত ও চীনের বড় বড় কোম্পানির প্রধান নির্বাহীদের (সিইও) সঙ্গে বৈঠক করবেন।
আগামীকাল বেইজিংয়ে মুহাম্মদ ইউনূস ও চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের মধ্যে প্রথম দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে। বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হবে। প্রধান উপদেষ্টার ২৯ মার্চ দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
কাঁদতে কাঁদতে গাজার বাসিন্দা বললেন, ‘আমরা তো সব হারিয়েছি, ঈদটা কষ্টের’
ফিলিস্তিনের গাজায় রোববার পালিত হয়েছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। তবে ইসরায়েলের নৃশংস হামলায় বিধ্বস্ত উপত্যকাটিতে এ দিন ছিল না উৎসবের আমেজ। ঈদের দিনও সেখানে নির্বিচারে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। মুসলিমদের কাছে খুশির এ দিনটিতেও গাজায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৩৫ ফিলিস্তিনি।
দীর্ঘ ১৭ মাস ধরে চলা হামলায় গাজায় আর কোনো মসজিদ অবশিষ্ট নেই বললেই চলে। রোববার তাই উপত্যকাটির বাসিন্দাদের ঈদের নামাজ আদায় করতে হয়েছে ধ্বংস হয়ে যাওয়া মসজিদের বাইরে। আগের দিনে গাজার যেসব শিশু নতুন পোশাক পরে আনন্দ করত, তারা এখন ক্ষুধায়-আতঙ্কে কাতর। ঈদ উপলক্ষে নেই তেমন রান্নার আয়োজন।
ইসরায়েলের হামলা শুরুর আগে গাজার ফিলিস্তিনিরা ঈদের সকালে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে উদ্যাপন করতেন। তবে এখনকার চিত্র ভিন্ন। বহু গাজাবাসী তাঁদের পরিবারের সদস্যকে হারিয়েছেন। রোববার অনেককে দেখা যায় প্রিয়জনের কবরের পাশে। অনেকে হাজির হন হাসপাতালের মর্গে—শেষবারের মতো কাছের মানুষের মরদেহটি দেখতে।
ইসরায়েলের হামলায় গাজার বাসিন্দা আদেল আল-শায়ের তাঁর পরিবারের ২০ সদস্যকে হারিয়েছেন। মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ এলাকায় ঈদের নামাজ শেষে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। বলেন, ‘এই ঈদটা কষ্টের। আমরা আমাদের ভালোবাসার মানুষগুলোকে হারিয়েছি। আমাদের সন্তান, আমাদের জীবন, আমাদের ভবিষ্যৎ—সবকিছু... আমরা তো সব হারিয়েছি।’
ঈদের দিন স্বজনের কবরের পাশে গাজা নগরীর এক নারী