প্রাথমিকের ৩১ লাখের বেশি শিক্ষার্থী স্কুল ফিডিংয়ের আওতায় আসছে এপ্রিলেই
Published: 27th, March 2025 GMT
আগামী এপ্রিলেই চালু হচ্ছে দীর্ঘদিনের প্রত্যাশিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ফিডিং কর্মসূচি। দেশের ২০ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩১ লাখ ৩০ হাজার শিক্ষার্থী এ কর্মসূচির আওতায় আসছে। শিক্ষার্থীদের পুষ্টি নিশ্চিত করতে ও ঝরে পড়া রোধে সপ্তাহের পাঁচ দিন দুপুরের খাবার দিতে সরকার এ কর্মসূচি চালুর উদ্যোগ নিয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো.
সরকার এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বাচ্চাদের পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রান্তিক পর্যায়ের সব উপজেলার স্কুলগুলোকে পর্যায়ক্রমে স্কুল ফিডিং কর্মসূচির আওতায় নিয়ে আসার পরিকল্পনা করেছে।
স্কুল ফিডিং কর্মসূচি সময়োপযোগী একটি সিদ্ধান্ত। একটি দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে শিক্ষার্থীদের পুষ্টির দিকটি বিবেচনায় রেখে এ ধরনের উদ্যোগে সুদূরপ্রসারী উন্নয়ন পরিলক্ষিত হবেঅধ্যাপক মো. আবদুস সালাম, শিক্ষা ও গবেষণা অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, তিন বছর মেয়াদি প্রকল্পটি শিক্ষার্থীদের শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে এ লক্ষ্যে গ্রহণ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সারা দেশে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে। দেশের ৬২ জেলার ১৫০ উপজেলার ১৯ হাজার ৪১৯ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্কুল ফিডিং কর্মসূচি চলবে। এ উপজেলার মধ্যে ৯১ শতাংশ অর্থাৎ ১৩৫ উপজেলা অতি উচ্চ ও উচ্চ দারিদ্র্যপ্রবণ। বাকি ১৪টি অর্থাৎ ৯ শতাংশ উপজেলা নিম্ন দারিদ্র্যপ্রবণ এলাকা। খাদ্যসামগ্রীর মধ্যে থাকবে দুধ, ডিম, রুটি (বান) ও মৌসুমি ফল। তিন ধাপে পর্যায়ক্রমে শুকনা পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার বিতরণের জন্য একটি রোডম্যাপ তৈরি করা হয়েছে।
চলতি বছরের এপ্রিলে শুরু হয়ে এ প্রকল্প চলবে ২০২৭ সাল পর্যন্ত। চলতি অর্থবছর প্রকল্পে ৩৮ কোটি টাকা ব্যয় প্রস্তাব করা হয়েছে। আগামী অর্থবছরে যা ২ হাজার ১৬৪ কোটি টাকা হতে পারে।প্রকল্পটি বিবিএসের দারিদ্র্য ম্যাপ দেখে ১৫০ উপজেলার প্রায় ১৮ থেকে ১৯ হাজার স্কুলকে নির্বাচন করা হয়েছে। উপজেলার সব স্কুলের শিক্ষার্থীরাই খাবার পাবে। খাবার এমনভাবে পরিবেশন করা হবে, যাতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে লিডারশিপ তৈরি হয়। তিন ধাপে পর্যায়ক্রমে পুষ্টিসমৃদ্ধ এ খাবার পরিবেশন করা হবে। এর মধ্যে স্কুল খোলার প্রথম তিন দিন শিক্ষার্থীরা একটি করে ডিম ও বানরুটি (ছোট গোল পাউরুটি), পরের দুই দিন পর্যায়ক্রমে ইউএসটি দুধ ও বানরুটি এবং অন্যদিন পাবে পুষ্টিসমৃদ্ধ বিস্কুট ও যেকোনো মৌসুমি ফল। খাবারের পেছনে শিক্ষার্থীপ্রতি খরচ হবে গড়ে ৩৯ থেকে ৪০ টাকা। কার্যক্রমের শৃঙ্খলা রক্ষায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে স্থানীয় লোকজন নিয়ে একটি কমিটি কাজ করবে।
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়েছে।
প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফিরছে শিক্ষার্থীরা। জিন্দাবাজার, সিলেট।উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রকল প উপজ ল র পর য য় সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
বাগেরহাটে বাস-ইজিবাইক মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৩
বাগেরহাটে বাস ও ইজিবাইক মুখোমুখি সংঘর্ষে সিয়াম গাজী (২০) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। শনিবার সকালে বাগেরহাট-পিরোজপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের বলভদ্রপুর বালিয়াডাঙ্গা নামক স্থানে এই দুর্ঘটনায় ইজিবাইকের চালকসহ আরও তিনজন আহত হয়।
নিহত সিয়াম গাজী মোরেলগঞ্জ উপজেলার তেলিগাতী গ্রামের মজিবর গাজীর ছেলে। আহতরা হলেন- নিহতের বাবা মজিবর গাজী (৫০), তাদের প্রতিবেশী রশিদ খান (৭৫) ও ইজিবাইক চালক বাপ্পি (৩০)।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে মহেষপুরা পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক মো. তোমেজ উদ্দীন বলেন, সিয়াম ও তার বাবা তাদের একজন প্রতিবেশিকে নিয়ে ইজিবাইকে করে পিরোজপুর সদরে তাদের নিকট আত্মীয়ের মরদেহ দেখতে যাচ্ছিলেন। বলভদ্রপুর বালিয়াডাঙ্গা নামক স্থানে পৌঁছালে বিপরীত দিক অর্থাৎ পিরোজপুর থেকে বাগেরহাটের দিকে আশা একটি যাত্রীবাহী বাসের ইজিবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ইজিবাইকের চালকসহ চারজন গুরুতর আহত হয়। এর মধ্যে সিয়াম গাজী নামের একজনকে হাসপাতালে নেওয়ার পরে মারা যান। অন্যরা বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, রাস্তার পাশে একটি ট্রাক রাখা ছিল। যার ফলে ইজিবাইক এবং যাত্রীবাহী বাস কেউ কাউকে দেখতে পায়নি। যানবাহন দুটি ট্রাকটিকে পাশ কাটিয়ে সড়ক অতিক্রম করার সময় মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।