রমজান বিষয়ক রাসুলের (সা.) আদর্শ ও যাপন পদ্ধতি গভীরভাবে পর্যালোচনা করলে এ বিষয়টি ফুটে উঠে যে, তিনি অত্যন্ত আগ্রহ নিয়ে শবে কদরের অনুসন্ধান করতেন, সারা রাত জেগে কাটাতেন। অন্য যে-কোনো রাতের তুলনায় অধিক ফজিলতের হওয়ার কারণে রাসুল (সা.) শবে কদরকে এতটা গুরুত্ব দিয়েছেন।
তিনি কদর অনুসন্ধান করার জন্য সাহাবিদের উৎসাহ দিতেন। যেমন তিনি বলেছেন, ‘রমজানের শেষ দশ দিনে তোমরা শবে কদর অনুসন্ধান কোরো।’ (বুখারি, হাদিস: ২,০২০)
আবার বলেছেন, ‘রমজানের শেষ দশ দিনের বেজোড় সংখ্যক রাতে তোমরা শবে করের খোঁজ করো।’ (বুখারি, হাদিস: ২,০১৭)
আরও পড়ুনজীবনজুড়ে রমজান২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫তবে যারা দুর্বল ও অসুস্থ, রাসুল (সা.
সাহাবিদের জীবনাচার পুঙ্খানুপুঙ্খ দৃষ্টিতে বিচার করলে দেখা যাবে, রাসুল (সা.) তাদেরকে যার মাধ্যমে শবে কদরের ব্যাপারে সর্বাধিক উৎসাহিত ও উদ্দীপিত করেছেন, তা হলো: কর্মের মাধ্যমে মূর্ত আদর্শ সকলের সামনে তুলে ধরা। রাসুল (সা.) যে রাতকে ভাবতেন শবে কদর হিসেবে, সে রাতের ইবাদতে তিনি কঠিন পরিশ্রম করতেন। সাহাবিগণ সরাসরি রাসুলের (সা.) সংস্পর্শে সে রাত যাপন করতে উৎসাহিত হতেন। সুতরাং নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবার কর্তব্য কদরের রাত্রি অনুসন্ধান করা এবং রাত জেগে এবাদত-বন্দেগি করা।
আরও পড়ুন শুক্রবারের আমল২৪ মার্চ ২০২৫উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: রমজ ন
এছাড়াও পড়ুন:
কোন ভাষার মানুষ কীভাবে ‘ঈদের শুভেচ্ছা’ জানান
দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর এসেছে ঈদুল ফিতর। পবিত্র রমজান মাস শেষে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা সাপেক্ষে বিশ্বজুড়ে ঈদুল ফিতর উদ্যাপিত হয়। মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবের একটি এই ঈদ।
বিশ্বজুড়ে ১৯০ কোটি মুসলিম ঈদ উৎসব উদ্যাপন করেন, যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় ২৫ শতাংশ।
সৌদি আরবে আজ রোববার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদ্যাপিত হচ্ছে। বাংলাদেশসহ বেশ কয়েকটি দেশে রোববার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ঈদুল ফিতর উদ্যাপিত হবে।
ঈদের দিন মুসলিমরা ঈদের নামাজ পড়েন এবং পরস্পরের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় ‘ঈদ মোবারক’। আবার ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ে ‘ঈদ সা’ইদ’ (খুশির ঈদ) শব্দযুগলও ব্যবহার করা হয়।
তবে দেশে দেশে বিভিন্ন ভাষায় ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ে আরও বেশ কিছু শব্দের ব্যবহার হয়।
নিচে ১৩টি ভিন্ন ভাষায় যেভাবে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করা হয়, তা তুলে ধরা হলো—
আরবি ভাষায় ‘ইঈদ মোবারক’
অসমিয়া ভাষায় ‘ঈদ মোবারক’
বাংলা ভাষায় ‘ঈদ মোবারক’
বসনীয় ভাষায় ‘বাইরাম শরিফ মোবারক অলসুন’
ইংরেজি ভাষায় ‘ঈদ মুবারাক’
ফারসি ভাষায় ‘ঈদে খোদাসেফেরৎ মোবারক বসারা’
ফরাসি ভাষায় ‘জে ভ্যু সুইত আঁ জইউস এইদ’
হিন্দি ভাষায় ‘ঈদ মুবারক’
বাহাসা মালয়েশিয়া ‘সালামত হারি রায়া আইদিল ফিতর’
মান্দারিন ভাষায় ‘কাই জা জেয়া কোয়া গোয়া’
পশতু ভাষায় ‘আখতারদে মোবারকশাহ’
তুর্কি ভাষায় ‘ই বারামোর’
উর্দু ভাষায় ‘ঈদ মোবারক’