ঈদে এক রঙের পোশাক পরবেন লিপি খন্দকার
Published: 27th, March 2025 GMT
খ্যাতিমান ডিজাইনার ও ফ্যাশন হাউস বিবিয়ানার স্বত্বাধিকারী লিপি খন্দকার। দেশের ফ্যাশন ইন্ড্রাস্ট্রিকে মৌলিকতা ও নিজস্বতার পথে এগিয়ে নিয়েছেন অনেক দূর। নিজস্ব সাজ-পোশাকেও রয়েছে মৌলিক নান্দনিকতার প্রকাশ। পোশাক আর সাজ অনুসঙ্গের মধ্যে গয়নার প্রতি বিশেষ ভালোবাসা রয়েছে লিপি খন্দকারের। বিশেষ করে মালা খুব পছন্দ করেন এই ডিজাইনার। আর বেশিরভাগ সময় বেছে নেন এক রঙের পোশাক। দীর্ঘদিনের পর্যবেক্ষণ থেকে লিপি খন্দকার এবারের ঈদ ফ্যাশন আর বিগত ঈদ ফ্যাশনের মধ্যে তুলনামূলক পার্থক্যের কথা রাইজিংবিডিকে জানিয়েছেন। একইসঙ্গে ঈদের দিন নিজে কি পরবেন তাও জানিয়েছেন তিনি। রাইজিংবিডির পাঠকদের জন্য দিয়েছেন ফ্যাশন টিপস।
লিপি খন্দকারের তিন লুক
লিপি খন্দকার বলেন, ‘‘গত তিন চার বছর ধরে একেবারে ‘স্পেসিফিক ফ্যাশন ট্রেন্ড’ ধরে ঈদ করছে না। দেখা যেতো যে, একটা, দুইটা ড্রেস খুব পপুলার, সেই ড্রেসটাই সবাই পরছে এখন ওই জায়গাটা একেবারে ভেঙে গেছে। এখন ওই চিন্তাভাবনা মানুষের মধ্যে এখন নেই। এটা খুবই ইতিবাচক। আমি মনে করি, প্রত্যেকে নিজস্বতা বজায় রেখে যে পোশাকটা পরবে সেটাই আসলে ফ্যাশন। আমার কাছে মনে হয় যে, এখন মানুষ সিপ্লিসিটিকে প্রাধান্য দিচ্ছে। মানুষ জমকালো পোশাকও কিনছে কিন্তু ওইটা হয়তো স্পেশালি ঈদের পার্টির জন্য কিনছে। কিন্তু নরমালি দেখা যাচ্ছে যে, মানুষ একটু প্যাটার্ন বেইজ, একটু ভালো ম্যাটেরিয়াল, ভালো কাটের প্রাধান্য দিচ্ছে। পাশাপাশ কালারও। এবার ঈদটা সামারে পড়ছে। মানুষ একটু আর্দি টোনটা পছন্দ করছে। অফ হোয়াইট, লাইট ব্রাউন, লাইট ব্লু; এই ধরনের কালার পছন্দ করছে। আমাদের ক্লায়েন্টেদের কাছে এই রেসপন্স পেয়েছি।’’
লিপি খন্দকার আরও বলেন, ‘‘এবার ঈদে লম্বা ছুটি থাকছে। লম্বা ছুটিতে অনেক জায়গায় ঘোরাফেরা করা যায়। অনেক রকম আনুষ্ঠান থাকে। অনুষ্ঠান বা পার্টিতে যোগ দেওয়ার জন্য মানুষ একাধিক পোশাক কেনে। সেক্ষেত্রে একটু ফিউশন প্যাটার্নের পোশাকগুলো বেছে নিচ্ছে। কেউ হয়তো একটু আউটডোরে যাবে, রিসোর্টে যাবে, কেউ দেশের বাইরে যাবে আবার অনেকে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে যাবে। দেখা গেছে যে তারা একটু আরামদায়ক পোশাকগুলো কিনেছে। মোট কথা এবার ভালো রেসপন্স হচ্ছে আরামদায়ক কাপড় আর প্যাটার্ন বেইজ পোশাক। স্পেশাল পার্টির জন্য বা বড় কোনো গ্যাদারিংয়ে যোগ দেওয়ার জন্য ।’’
ঈদের দিন আপনি কেমন পোশাক পরবেন? এই প্রশ্নের জবাবে লিপি খন্দকার বলেন, ‘‘আমি সারাজীবন ঈদের সময় খুব সিম্পল কাপড় পরতে পছন্দ করি। ছোটবেলা থেকে এই পর্যন্ত আমি অলওয়েজ একটা খুব সুন্দর প্যাটার্নের একটা প্লেইন ড্রেস পরবো। সাথে সুন্দর গয়না পরবো। গয়না আমার কাছে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। গলায় মালা, হাতে চুড়ি পরবো। কানে কোনো সময় গয়না পরি আবার কোনো সময় পরি না। ঈদের সময় আমার স্পেশাল গয়না থাকতেই হবে। স্যালোয়ার কামিজ বানিয়েছি একটা প্লেইন ব্লু কালারের। আর এর সঙ্গে রয়েছে একটা দোপাট্টা। এইটা আমি সারাদিনের জন্য পরবো।’’
একরঙা পোশাক এতবেশি পছন্দের কারণও জানালেন লিপি খন্দকার। তিনি বললেন, অনেক ব্যস্ত জীবনতো। আর নিজে যখন কোথাও বেড়াতে যাবো, তখন নিজের পোশাক নিয়ে ভাবতে যে সময়টা নষ্ট হয়, আমার কাছে মনে হয় যে, একটা সলিড কালারের পোশাক পরলে তেমন কিছু ভাবতে হয় না। সলিড কালারের সঙ্গে ব্যাগ, জুতা ম্যাচিং করতে সুবিধা হয়। আর গয়নাটা সলিড রংয়ের পোশাকের সঙ্গে অনেক বেশি ফুটে ওঠে। এভাবেই পরতে পরতে অভ্যাস হয়ে গেছে। এর বাইরে গেলে মনে হয় যে আমি ক্যারি করতে পারছি না।
রাইজিংবিডির পাঠকদের জন্য লিপি খন্দকারের পরামর্শ— যে পোশাকই বেছে নেন না কেন প্রথমত বুঝতে হবে আপনি কমফরটেবল ফিল করছেন কিনা। কমফরটেবল ফিল না করলে সেই পোশাকে আপনাকে আত্মবিশ্বাসী লাগবে না। ভালোও লাগবে না। অনেকে যেটা করে একজন নায়িকার পোশাক দেখে হুবহু একই রকম পোশাক কিনে ফেলে। এরপর দেখা যাচ্ছে , সে ওই পোশাকটি ক্যারি করতে পারছে না। যে পোশাকে নিজেকে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে প্রেজেন্ট করতে পারবেন, অস্বস্তি বোধ হবে না, পোশাকটি ক্যারি করতে পারবেন; এমন পোশাক পরলে ভালো লাগবে।
এই ডিজাইনার আরও জানান, পোশাক কেনার আগে আয়নায় দেখে পোশাক নির্বাচন করা উচিত।
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কোন ভাষার মানুষ কীভাবে ‘ঈদের শুভেচ্ছা’ জানান
দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর এসেছে ঈদুল ফিতর। পবিত্র রমজান মাস শেষে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা সাপেক্ষে বিশ্বজুড়ে ঈদুল ফিতর উদ্যাপিত হয়। মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবের একটি এই ঈদ।
বিশ্বজুড়ে ১৯০ কোটি মুসলিম ঈদ উৎসব উদ্যাপন করেন, যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় ২৫ শতাংশ।
সৌদি আরবে আজ রোববার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদ্যাপিত হচ্ছে। বাংলাদেশসহ বেশ কয়েকটি দেশে রোববার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ঈদুল ফিতর উদ্যাপিত হবে।
ঈদের দিন মুসলিমরা ঈদের নামাজ পড়েন এবং পরস্পরের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় ‘ঈদ মোবারক’। আবার ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ে ‘ঈদ সা’ইদ’ (খুশির ঈদ) শব্দযুগলও ব্যবহার করা হয়।
তবে দেশে দেশে বিভিন্ন ভাষায় ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ে আরও বেশ কিছু শব্দের ব্যবহার হয়।
নিচে ১৩টি ভিন্ন ভাষায় যেভাবে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করা হয়, তা তুলে ধরা হলো—
আরবি ভাষায় ‘ইঈদ মোবারক’
অসমিয়া ভাষায় ‘ঈদ মোবারক’
বাংলা ভাষায় ‘ঈদ মোবারক’
বসনীয় ভাষায় ‘বাইরাম শরিফ মোবারক অলসুন’
ইংরেজি ভাষায় ‘ঈদ মুবারাক’
ফারসি ভাষায় ‘ঈদে খোদাসেফেরৎ মোবারক বসারা’
ফরাসি ভাষায় ‘জে ভ্যু সুইত আঁ জইউস এইদ’
হিন্দি ভাষায় ‘ঈদ মুবারক’
বাহাসা মালয়েশিয়া ‘সালামত হারি রায়া আইদিল ফিতর’
মান্দারিন ভাষায় ‘কাই জা জেয়া কোয়া গোয়া’
পশতু ভাষায় ‘আখতারদে মোবারকশাহ’
তুর্কি ভাষায় ‘ই বারামোর’
উর্দু ভাষায় ‘ঈদ মোবারক’