Prothomalo:
2025-03-30@09:02:17 GMT

ভিনদেশি নতুন দুই ফুলের হাসি

Published: 27th, March 2025 GMT

সকালবেলায় চৈত্র মাসের বাতাস বইছে। মনু নদের ওপর আপনমনে উড়ছে কিছু ধূসর ডানার চিল। নদের হাঁটুজলে টানা হাতা জাল দিয়ে মাছ ধরছেন এক শৌখিন মাছশিকারি। বর্ষায় প্রাণকাঁপানো মনু নদের অবস্থা এখন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘আমাদের ছোট নদী’র মতো। জল শুকিয়ে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। নদের বুকের ভেতর বালুর চর জেগেছে। দেখে মনে তো পড়তেই পারে ‘আমাদের ছোট নদী চলে আঁকেবাঁকে/ বৈশাখ মাসে তার হাঁটুজল থাকে.

..।’ এই ছোট নদ দিয়ে গাড়ি পার না হোক, হাঁটুজল পার হয়ে ঠিকই গরুর দল নিয়ে একজন তরুণ অপর পারের দিকে ছুটে চলেছেন।

মৌলভীবাজার শহরসংলগ্ন নদটির পাড়ে এই বসন্তের কালে অনেকগুলো চেনা-অচেনা ফুল ফুটেছে। যার কিছু এই অঞ্চলেই শুধু নয়, দেশেও নতুন। যেসব ফুল এদিকে এর আগে কোথাও ফুটেছে কি না, বলা মুশকিল। ফুটন্ত ফুলগুলো সকালবেলার মৃদু বাতাস ও আলোয় আরও উজ্জ্বল, ফোটার আনন্দে যেন আরও চনমনে হয়ে আছে। ফোটা ফুলকে ঘিরে গুনগুন করছে, উড়ছে কালো ভোমরার দল।

মৌলভীবাজার শহরের শান্তিবাগ ওয়াকওয়ে ধরে হাঁটতে গেলে একটু পরপরই কোনো না কোনো ফুলের দেখা মিলেছে। ফুটেছে চিরল সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে হলুদ কল্কে ফুল। পাতাঝরা ডালের কোথাও সাদা, কোথাও সাদা-গোলাপি কাঠগোলাপ ফুটে আছে। কোথাও হলুদ সোনার মতো ফুটে আছে অশোকমঞ্জরী। ওতে কালো ভোমরার দল টানা গুনগুন করছে। কোথাও ফুটেছে রক্তকাঞ্চন, ফুটেছে অর্কিড কাঞ্চন। আর আছে একাধিক রঙের রাধাচূড়া, তারাও হাসছে। সবাই যার যার মতো ফুটে আছে এই বসন্তের কালে।

শাখা-প্রশাখায় ফুটেছে গ্লিরিসিডিয়া। মৌলভীবাজারের শান্তিবাগ ওয়াকওয়েতে

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

‘পৃথিবীতে এক চাঁদ এক সূর্য’ বিশ্বাসে সুরেশ্বরী (রহ.) ভক্তদের ঈদ 

পৃথিবীর যে কোনো দেশে চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে শরীয়তপুরের অন্তত ৩০টি গ্রামে সুরেশ্বরীর (রহ.) ভক্ত-অনুসারীরা আজ ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন। 

রবিবার (৩০ মার্চ) সকালে নড়িয়া উপজেলার সুরেশ্বর দরবার শরীফের মাঠে হাজারো মুসল্লি ঈদের নামাজ আদায় করেন।

জানা যায়, জান শরীফ শাহ সুরেশ্বরী নামে এক সুফি সাধকের ভক্ত ও অনুরাগীরা শত বছর ধরে চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে রোজা ও ঈদ পালন করে আসছেন। জেলায় সুরেশ্বর, কেদারপুর, চাকধসহ অন্তত ৩০ গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ জান শরীফ শাহ সুরেশ্বরীর অনুসারী রয়েছে। রবিবার সকালে সুরেশ্বর দরবার শরীফের মাঠে তারা ঈদের নামাজ আদায় করেন। প্রতি বছরের মতো এ বছরও সুরেশ্বর দরবার শরীফে নির্দিষ্ট সময়ে পৃথক মাঠে ঈদুল ফিতরের নামাজের দুইটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। ইমামতি করেন শাহ সুফি সৈয়দ বেলাল নূরী আল সুরেশ্বরী ও মাওলানা মো. জুলহাস উদ্দিন।

শাহ সুফি সৈয়দ বেলাল নূরী বলেন, ‘‘আমরা বিশ্বাস করি পৃথিবীতে এক চাঁদ এক সূর্য। তাই বিশ্বের যে কোনো প্রান্তে চাঁদ দেখা গেলে আমরা তার উপর নির্ভর করে রোজা ও ঈদ উদযাপন করি। এতে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশের সঙ্গে মিলে যায়।’’ 

সাইফুল//

সম্পর্কিত নিবন্ধ