ভারতের দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা পবন কল্যাণ। অভিনয়ের পাশাপাশি রাজনীতিতেও সক্রিয়। জনসেনা পার্টির প্রধান তিনি। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে অন্ধ্রপ্রদেশে তার দল দুটো আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে দুটোতেই জয় লাভ করে। বর্তমানে অন্ধ্রপ্রদেশের উপ-মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন এই তারকা।
প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে দারুণ ব্যস্ত সময় পার করছেন পবন কল্যাণ। গত বছর তার অভিনীত কোনো সিনেমা মুক্তি পায়নি। ফলে, কিছুদিন ধরে জোর গুঞ্জন উড়ছে, অভিনয় ছেড়ে দিচ্ছেন পবন। ব্যাপারটি নিয়ে নানা চর্চা হলেও নীরবতা পালন করেন এই ‘গব্বর সিং’।
তামিল ভাষার তানদি টিভিকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন পবন কল্যাণ। এ আলাপচারিতায় অভিনয় ছাড়া নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, “অনেক নেতার ব্যবসা আছে। তারা যদি ব্যবসা করেও রাজনীতিতে ভালো করতে পারেন, তাহলে আমিও পারব। আপনাকে আগ্রহী অভিনেতা এবং আগ্রহী রাজনৈতিক নেতা হতে হবে।”
অভিনয় ছাড়ার গুঞ্জন উড়িয়ে পবন কল্যাণ বলেন, “নব্বই দশকের মাঝামাঝি সময়ে অভিনয় করতাম, তখন প্রশাসনিক কাজ শিখেছিলাম, জননীতি নিয়ে পড়াশোনা করেছিলাম। যতক্ষণ আমার টাকার প্রয়োজন, ততক্ষণ আমি অভিনয় করতে চাই। তবে প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ঠিক রেখে।”
পবন কল্যাণ কখনো টাকা জমাননি। তা স্মরণ করে এই অভিনেতা বলেন, “আমি হেনরি ডেভিড থোরিওর কাছ থেকে অনেক অনুপ্রেরণা নিয়েছি। তোমরা নিঃস্বার্থভাবে কিছু করো, মানুষের জন্য কাজ করো। আমি এটাই ভেবেছিলাম। আমি কখনো টাকাকড়ি জমাইনি। আমি কখনো কোনো ব্যবসা শুরু করিনি, চলচ্চিত্র প্রযোজনা করিনি। আমার একমাত্র আয়ের উৎস সিনেমা। যেহেতু আমি চলচ্চিত্রের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, তাই এখন আমাকে ন্যায়বিচার করতে হবে।”
সিনেমায় অভিনয় করে মোটা অঙ্কের অর্থ আয় করে থাকেন পবন কল্যাণ। ২০২৩ সালে এক কর্মী সমাবেশে বক্তৃতা দিতে গিয়ে পবন কল্যাণ বলেন— “আমি দেশের বড় অভিনেতাদের একজন। একজন সাধারণ নায়ক হিসেবে অন্য সেরা নায়কদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করি না। প্রতি বছর ২০০ দিন কাজ করি এবং ৪০০ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫২৮ কোটি টাকার বেশি) আয় করি। কিন্তু আমি যদি প্রতিযোগিতা করতে চাই, তবে বছরে এক থেকে দেড় হাজার কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৩০০ থেকে ১৯০০ কোটি টাকার বেশি) আয় করতে পারি। এটাই আমার সামর্থ্য। কিন্তু আমি অন্ধ্রপ্রদেশের মানুষের জন্য কল্যাণমূলক কাজ করতে চাই।”
পবন কল্যাণ অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘ব্রো’। ২০২৩ সালের ২৮ জুলাই মুক্তি পায় এটি। বর্তমানে পবন কল্যাণের হাতে চারটি সিনেমার কাজ রয়েছে। ‘হরি হারা বীরা মালু’ পরিচালনা করছেন কৃষ। এতে ২৮ বছর বয়সী অভিনেত্রী নিধি আগরওয়াল জুটি বেঁধে অভিনয় করছেন। সিনেমাটির সিক্যুয়েল নির্মাণের কাজও চলমান। তা ছাড়াও ‘ওস্তান ভগত সিং’, ‘ওজি’ সিনেমার কাজ তার হাতে রয়েছে।
তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়া টুডে
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন ত করছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
হাতপাখার প্রার্থী ফয়জুল করীমকে বরিশালের মেয়র ঘোষণার দাবিতে মানববন্ধন
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীমকে বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) মেয়র ঘোষণার দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে বরিশাল নগরের অশ্বিনীকুমার হলের সামনে ‘সর্বস্তরের জনগণ’ ব্যানারে এ কর্মসূচি হয়। ২০২৩ সালের সিটি নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী ফয়জুল করীমকে মেয়র ঘোষণার দাবি জানানো হয় মানববন্ধন থেকে।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন মহানগর ইসলামী আন্দোলনের উপদেষ্টা নাসির আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আবুল খায়ের, সাবেক আইনবিষয়ক সম্পাদক শেখ আবদুল্লাহ আল নাসির, শ্রমিক আন্দোলনের নেতা ফজলুর রহমান ও মহানগর ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি গাজী রেদওয়ান। আগামীকাল শনিবার বেলা ১১টায় একই দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনেরও ঘোষণা দেওয়া হয়।
আরও পড়ুনবরিশাল সিটির মেয়র পদে বিজয়ী ঘোষণা করতে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে আবেদন ফয়জুল করীমের১৭ এপ্রিল ২০২৫মানববন্ধনে নাসির আহমেদ বলেন, ২০২৩ সালের জুনে বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে হাতপাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনী হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থীর ওপর ন্যক্কারজনক হামলা চালায়। ওই নির্বাচনে দলীয়করণ করে নৌকার পক্ষে কাজ করে নির্বাচন কমিশন।
২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত বরিশাল সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে বিজয়ী ঘোষণা করতে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলার আবেদন করেছেন সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি বরিশাল সিটি নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও সদর জ্যেষ্ঠ সহকারী জজ আদালতে এ আবেদন করেন। ওই নির্বাচনের ঘোষিত ফলাফলে তিনি দ্বিতীয় হয়েছিলেন।
আরও পড়ুনহাতপাখা প্রতীকের মেয়রপ্রার্থী হামলায় আহত, কর্মীদের বিক্ষোভ১২ জুন ২০২৩আরও পড়ুনবরিশাল–খুলনায় ফলাফল প্রত্যাখ্যান, সিলেট–রাজশাহীতে ভোট বর্জনের ঘোষণা ইসলামী আন্দোলনের১২ জুন ২০২৩