ছুটিতে যাওয়ার আগে বাড়ির বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির নিরাপত্তায় যা খেয়াল রাখবেন
Published: 27th, March 2025 GMT
ঈদের ছুটি মানেই গ্রামের বাড়ি কিংবা বাইরে ঘুরতে যাওয়া। আর এই ছুটি নেহাত সংক্ষিপ্ত নয়। তাই ছুটিতে যাওয়ার আগে বাসাবাড়ির বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি নিরাপদ রাখা অত্যন্ত জরুরি। দীর্ঘ ছুটিতে বাড়িতে না থাকলে অযথা বিদ্যুৎ খরচ রোধ করাসহ দুর্ঘটনা এড়ানোর দিকে খেয়াল রাখতে হবে। ঘরের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির স্থায়িত্ব নিশ্চিত করাও অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। অনলাইনে বিভিন্ন গৃহস্থালি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান সেবা এক্সওয়াইজেডের সহপ্রতিষ্ঠাতা ইলমুল হক বলেন, ‘দীর্ঘ সময়ের জন্য বাড়িতে না থাকলে বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির দিকে খেয়াল রাখা প্রয়োজন। এখন অগ্নিদুর্ঘটনার ঝুঁকি বেশি, তাই এটা খেয়াল রাখতে হবে। বাড়ির নিরাপত্তা ও যন্ত্রপাতির নিরাপত্তার জন্য আপনার সব দিকেই নজর দেওয়া প্রয়োজন।’
আরও পড়ুনঈদে দীর্ঘ যাত্রার আগে-পরে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন২৫ মার্চ ২০২৫ফ্রিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুনদীর্ঘ সময়ের জন্য বাড়ি খালি থাকলে ফ্রিজের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা উচিত। যদি কিছু খাবার সংরক্ষণ করতে হয়, তবে ফ্রিজের তাপমাত্রা সর্বনিম্ন রেখে যেতে পারেন। ফ্রিজ খালি থাকলে, এর দরজা সামান্য খোলা রেখে দিন, যাতে ভেতরে দুর্গন্ধ না জমে এবং ফ্রিজের অভ্যন্তরীণ পরিবেশ ভালো থাকে।
ওয়াই-ফাই রাউটার ও ইন্টারনেট ডিভাইস বন্ধ রাখুনঈদের ছুটিতে বাড়ির বাইরে থাকলে ওয়াই-ফাই রাউটার চালু রাখার কোনো প্রয়োজন নেই। এটি অপ্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ খরচ বাড়ায়। তাই নিরাপত্তা ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য রাউটার এবং অন্যান্য ইন্টারনেট ডিভাইস বন্ধ রাখুন।
এসি ও গিজার বন্ধ করুনঈদের ছুটিতে বাড়িতে না থাকলে এসি ও গিজার বন্ধ রাখুন। এসব যন্ত্র চালু থাকলে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ খরচ হয় এবং দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে।
আরও পড়ুনঈদে বাড়ি না থাকলেও গাছে পানি দেওয়া যাবে যেভাবে০৯ এপ্রিল ২০২৪ডিভাইসের প্লাগ খুলে রাখুনটেলিভিশন, মাইক্রোওয়েভ ওভেন, ওয়াশিং মেশিন, চার্জার এবং অন্যান্য ডিভাইসের প্লাগ খুলে রাখুন। এতে বিদ্যুতের অপচয় রোধ হবে এবং শর্টসার্কিটের ঝুঁকি কমবে।
অটোমেটিক লাইটিং ব্যবস্থা রাখুনবাড়ির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অটোমেটিক টাইমার সুইচ বা স্মার্ট লাইট ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে রাতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে লাইট জ্বলবে ও নিভে যাবে, যা চোরের উপদ্রব ঠেকাতে সহায়ক।
সিসিটিভি ক্যামেরা সচল রাখুনবাড়িতে সিসিটিভি ক্যামেরা থাকলে সেটি চালু তো রাখতেই হবে। এতে দূরে থাকলেও বাড়ির ভেতর–বাইরে নজরদারি করতে পারবেন। সিসিটিভির সঙ্গে ইন্টারনেটের সংযোগ থাকে, এর ফলে ওয়াই–ফাই সিস্টেমও সচল রাখতে হবে।
বৈদ্যুতিক সংযোগ পরীক্ষা করুনছুটিতে বের হওয়ার আগে বাড়ির বৈদ্যুতিক সংযোগ নিয়ে সন্দেহ থাকলে পরীক্ষা করুন। বাড়ির প্রধান সুইচ বন্ধ করা সম্ভব হলে তা বন্ধ করে দিতে পারেন। তবে ফ্রিজ বা নিরাপত্তা ডিভাইসের জন্য প্রয়োজনীয় লাইন চালু রাখুন। ত্রুটিপূর্ণ তার বা যন্ত্র থাকলে, ছুটির আগেই তা মেরামত করে ফেলুন।
আরও পড়ুন৯ দিনের ছুটিতে বাসা ছাড়ার আগে এই ৬টি কাজ করে যান২৫ মার্চ ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
গণতান্ত্রিক সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত বিজয়কে ভূলুণ্ঠিত করা হয়েছে: আলী রীয়াজ
গণতান্ত্রিক সংগ্রামের মধ্য দিয়ে অর্জিত বিজয়কে বিভিন্নভাবে ভূলুণ্ঠিত করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেছেন, এ দেশের ইতিহাসে গণতন্ত্রের আকাঙ্খা বারবার পর্যদুস্ত হয়ে একটি ব্যক্তিতান্ত্রিক শাসনে পরিণত হয়। গণতন্ত্রের সংগ্রামের মাধ্যমে যে বিজয় অর্জিত হয়েছে বিভিন্নভাবে সে বিজয়কে ভূলন্ঠিত করা হয়েছে।
শনিবার ঢাকায় সংসদ ভবনের এল ডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আলোচনার শুরুতে অধ্যাপক আলী রীয়াজ এসব কথা বলেন। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা পবন চৌধুরীর পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে। বৈঠকে কমিশনের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. ইফতেখারুজ্জামান এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতারা গত ১৫ বছরের ফ্যাসিবাদ শাসনকে পরাভূত করে বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি উজ্জ্বল অধ্যায় রচনা করতে অগ্রগণ্য ভূমিকা পালন করেছে দাবি করে দলটির উদ্দেশে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, দীর্ঘদিনের যে ফ্যাসিবাদী শাসন জগদ্দল পাথরের মতো আমাদের বুকের উপর বসে ছিল, তার বিরুদ্ধে জীবনবাজি রেখে লড়াই, অকুতোভয় সংগ্রাম এবং আপনাদের সাথীদের প্রাণ বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সে শাসনকে পরাস্ত করতে পেরেছেন। একটি ফ্যাসিবাদী শাসনকে পলায়ন করতে বাধ্য করেছেন যা বাংলাদেশকে রাষ্ট্র সংস্কারের দিকে অগ্রসর করেছে। তিনি বলেন, এখন সকলে মিলে নতুন বাংলাদেশ গড়ার সময় এসেছে। ফ্যাসিবাদ যেন আর কখনও এ দেশে ফিরে না আসে, রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো যেন স্থায়ী রূপ নেয়, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়, গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যা এবং সব রকমের নিপীড়ন যেন আমরা প্রতিহত করতে পারি।
আলোচনায় জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে ৮ সদস্যের প্রতিনিধি দলে দলটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন ছাড়াও ছিলেন সামান্তা শারমিন, হাসনাত আব্দুল্লাহ, নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী, সারোয়ার তুষার, জাভেদ রাসিন ও নাহিদা সারোয়ার নিভা।
উল্লেখ্য, প্রথম পর্যায়ে গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর মধ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে উল্লেখিত গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলোর ওপর রাজনৈতিক দলগুলোর সুনির্দিষ্ট মতামত জানাতে অনুরোধ করে সুপারিশগুলো স্প্রেডশিট আকারে ৩৯টি রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠানো হয়। এ পর্যন্ত সংস্কার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ৩৫টি দলের কাছ থেকে মতামত পেয়েছে। ২৩ মার্চ জাতীয় নাগরিক পার্টি কমিশন বরাবর তাদের মতামত জমা দেয়। সে প্রেক্ষিতে দলটির সঙ্গে আজ আলোচনায় বসে কমিশন। দিনব্যাপী এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।