চট্টগ্রামের পতেঙ্গার উত্তর মুসলিমাবাদ সৈকত আবাসিক এলাকায় বুধবার দুপুরে অস্ত্র হাতে একটি বাসার তালা ভাঙার চেষ্টা করেছে দুই যুবক। তবে আশপাশের লোকজনের বাধায় তারা পালিয়ে যায়। সেখানকার লোকজন তাদের ধাওয়া দিলে গুলি ছুড়তে ছুড়তে চলে যায় ওই দুই যুবক। ওই আবাসিক এলাকার ‘জসিমের বিল্ডিং’ নামের একটি ভবনে ঘটনাটি ঘটেছে।

স্থানীয়রা জানান, সৈকত আবাসিক এলাকায় ‘জসিমের বিল্ডিং’ নামের একটি ভবনের তালা ভেঙে বাসায় ঢোকার চেষ্টা করে তারা। এ সময় ওই বাসায় কেউ ছিলেন না। পাশের বাসার লোকজন ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার শুরু করলে দুই যুবক গুলি ছুড়তে ছুড়তে পালিয়ে যায়। 

ডাকাতি করতে, নাকি অন্য কোনো কারণে বাসাটিতে তারা ঢোকার চেষ্টা করেছিল তা তদন্ত করা হচ্ছে জানিয়ে পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, বাসাটিতে পোশাককর্মী স্বামী-স্ত্রী থাকেন। তাঁরা গ্রামের বাড়ি রাউজান গেছেন। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: দ ই য বক

এছাড়াও পড়ুন:

ছোট্ট শিশুর লাশ নেওয়ার কেউ নেই

দুই মাস সাত দিন বয়স। শ্বাসকষ্ট ছিল। হাসপাতালে ভর্তিও ছিল। শেষ পর্যন্ত বাঁচানো যায়নি। লাপাত্তা বাবা। মৃত্যুর ৩৬ ঘণ্টা পার হলেও গতকাল শনিবার রাত ৮টা পর্যন্ত শিশুটির লাশ নিতে কেউ আসেনি।

ভর্তির তথ্য অনুযায়ী, শিশুটির নাম সুমাইয়া। বাবার নাম কামাল হোসেন। ঠিকানা মাগুরার শালিখা। ঢাকার কাঁটাবনের হোম কেয়ার হাসপাতালে গত শুক্রবার সকালে শিশুটির মৃত্যু হয়। লাশ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যায় স্বজন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হওয়ায় বিপাকে পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পুলিশকে খবর দেন তারা। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায় পুলিশ।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে হোম কেয়ার হাসপাতালের এক কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, ২৩ মার্চ শ্বাসকষ্টের কারণে শিশুটিকে তার বাবা ভর্তি করান। শিশুটির অবস্থা বেশি খারাপ হওয়ায় তাকে পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (পিআইসিইউ) বা শিশু নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। এর পর থেকে স্বজনের খুঁজে পাওয়া যায়নি। একটি মোবাইল নম্বর দিলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। শিশুটি চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সকালে মারা যায়। লাশ নিয়ে বিপাকে পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। স্বজনের খুঁজে না পেয়ে থানায় বিষয়টি জানানো হয়।

তিনি আরও বলেন, শিশুটির চিকিৎসায় প্রায় ৯০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। সেই টাকা দেওয়ার কেউ নেই। ধারণা করা হচ্ছে, শ্বাসকষ্টের কারণে শিশুটি মারা গেছে।

নিউমার্কেট থানার ওসি মোহসিন উদ্দিন সমকালকে বলেন, ময়নাতদন্ত হওয়ার পর মরদেহ মর্গের হিমঘরে রাখা হয়েছে। শিশুটির স্বজনের দেওয়া মোবাইল ফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। অন্য কোনো উপায়ে এখন পর্যন্ত তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। কিছুদিনের মধ্যে তাদের পাওয়া গেলে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। নইলে আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের মাধ্যমে লাশ দাফন করা হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ