চট্টগ্রামের পতেঙ্গার উত্তর মুসলিমাবাদ সৈকত আবাসিক এলাকায় বুধবার দুপুরে অস্ত্র হাতে একটি বাসার তালা ভাঙার চেষ্টা করেছে দুই যুবক। তবে আশপাশের লোকজনের বাধায় তারা পালিয়ে যায়। সেখানকার লোকজন তাদের ধাওয়া দিলে গুলি ছুড়তে ছুড়তে চলে যায় ওই দুই যুবক। ওই আবাসিক এলাকার ‘জসিমের বিল্ডিং’ নামের একটি ভবনে ঘটনাটি ঘটেছে।

স্থানীয়রা জানান, সৈকত আবাসিক এলাকায় ‘জসিমের বিল্ডিং’ নামের একটি ভবনের তালা ভেঙে বাসায় ঢোকার চেষ্টা করে তারা। এ সময় ওই বাসায় কেউ ছিলেন না। পাশের বাসার লোকজন ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার শুরু করলে দুই যুবক গুলি ছুড়তে ছুড়তে পালিয়ে যায়। 

ডাকাতি করতে, নাকি অন্য কোনো কারণে বাসাটিতে তারা ঢোকার চেষ্টা করেছিল তা তদন্ত করা হচ্ছে জানিয়ে পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, বাসাটিতে পোশাককর্মী স্বামী-স্ত্রী থাকেন। তাঁরা গ্রামের বাড়ি রাউজান গেছেন। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: দ ই য বক

এছাড়াও পড়ুন:

ছোট্ট শিশুকে জিম্মি করে গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনায় যুবক গ্রেপ্তার

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় কোলের ছোট্ট শিশুকে জিম্মি করে গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনায় জাকারিয়া প্রকাশ নয়ন (৩০) নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১১ ও র‌্যাব-৮। বৃহস্পতিবার রাতে বরিশাল জেলার কোতয়ালী থানাধীন নাজির মহল্লা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

শুক্রবার বিকেলে র‌্যাব-১১ সিপিসি-১ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর অনাবিল ইমাম এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

গ্রেপ্তার জাকারিয়া প্রকাশ নয়ন মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান থানার মধ্যপাড়ার মো. ফারুকের ছেলে। র‌্যাব জানায়, ভিকটিমের বিয়ের পূর্বে মামলায় অভিযুক্ত মাহিমের সঙ্গে ভিকটিমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ভিকটিমের অন্যত্র বিয়ের পর বিভিন্ন সময় রাস্তা ঘাটে অভিযুক্ত মাহিম বিভিন্ন ভাবে উত্যক্ত করতেন ও কু-প্রস্তাব দিতেন। এরই ধারাবাহিকাতায় গত ৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সদর উপজেলার গাবতলী এলাকায় কোলের শিশুকে জিম্মি করে ভিকটিমকে দফায় দফায় ধর্ষণ করা হয়। ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে ও ভয়-ভীতি দেখিয়ে প্রায় এক মাস ধরে অভিযুক্ত মাহিম এজাহারনামীয় অন্যান্য আসামির সহায়তায় দফায় দফায় ভিকটিমকে ধর্ষণ করছিল। গত ৭ এপ্রিল সর্বশেষ ধর্ষণের পর ভিকটিম অসুস্থ হয়ে পড়েন।

ভিকটিমের স্বামী র‌্যাবকে জানান, রমজান শুরু হওয়ার আগে তার স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে ইসদাইর-গাবতলী লিংক রোড দিয়ে যাওয়ার সময় ইসদাইর বটতলা এলাকার সজিব ওরফে বদনা সজিব, গাবতলী মাজার এলাকার রাকিব ওরফে মাইন, জাকারিয়া প্রকাশ নয়ন ও নজরুলসহ অজ্ঞাত দুজন সহযোগী তার সন্তানকে জিম্মি করে স্ত্রীকে ধর্ষণ করে। এ সময় অভিযুক্তরা ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে। পরবর্তীতে ভিডিও ফাঁস করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে আরও কয়েক দফা ধর্ষণ করে। সর্বশেষ গত ৭ এপ্রিল তাকে পুনরায় ফতুল্লা মডেল থানাধীন গাবতলী প্রাইমারী স্কুলের পাশের পাঁচ তলা বাড়ির নিচ তলার রুমের ভেতরে ডেকে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় ভিকটিম বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ