৪৮ দলের বিশ্বকাপ। স্বাগতিক হিসেবে সরাসরি খেলবে তিন স্বাগতিক কানাডা, মেক্সিকো ও যুক্তরাষ্ট্র। অন্য ৪৫টি দল বেছে নেওয়া হবে বাছাইপর্ব থেকে। এর মধ্যে অনেকেই বাছাইপর্ব খেলে ২০২৬ বিশ্বকাপ নিশ্চিত করেছে। যেখানে সর্বশেষ সংযোজন আর্জেন্টিনা। দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের প্রথম দল হিসেবে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলার টিকিট পেয়েছে। লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনার মতো আর কোন কোন দল এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপ নিশ্চিত করেছে?কানাডা

তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপে খেলবে কানাডা। এবার স্বাগতিক দেশ হওয়ায় সরাসরি খেলার সুযোগ পেয়েছে। ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের পর এটি হতে যাচ্ছে তাদের টানা দ্বিতীয় বিশ্বকাপ। আলফন্সো ডেভিস, স্টিফেন ইউস্তাকিও এবং জোনাথন ডেভিডের মতো খেলোয়াড়দের নিয়ে কানাডা এবার ঘরের মাঠে গ্রুপ পর্ব পার হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে খেলবে।

মেক্সিকো

১৯৭০ ও ১৯৮৬ সালের পর ২০২৬ সালে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপ আয়োজন করছে মেক্সিকো। মেক্সিকো বিশ্বকাপে নিয়মিত। এটি তাদের ১৮তম বিশ্বকাপ। তবে দেশটি কখনো কোয়ার্টার ফাইনালের ওপরে উঠতে পারেনি, এবার সেটাই করতে চাইবে।

যুক্তরাষ্ট্র

মেক্সিকো ও কানাডার মতোই স্বাগতিক দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রও ২০২৬ বিশ্বকাপে সরাসরি জায়গা পেয়েছে। এটি হবে তাদের ১২তম বিশ্বকাপ। ক্রিস্টিয়ান পুলিসিক, ওয়েস্টন ম্যাকেনি এবং টেইলর অ্যাডামসের মতো তারকাদের নিয়ে তারা এবার আরও ভালো পারফর্ম করতে আত্মবিশ্বাসী দলটি।

জাপান

গত ২০ মার্চ প্রথম দল হিসেবে ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপে জায়গা করে নিয়েছে জাপান। এশিয়ান অঞ্চলের বাছাইয়ে বাহরাইনকে ২-০ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে পূর্ব এশিয়ার দেশটি। তিন স্বাগতিকের বাইরে জাপানই প্রথম দল, যারা বিশ্বকাপে জায়গা করে নেয়। টানা সপ্তমবারের মতো বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে জাপান।

বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিতের পর জাপানের খেলোয়াড়দের উচ্ছ্বাস.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আর জ ন ট ন ব শ বক প স ব গত ক

এছাড়াও পড়ুন:

নতুন পথনকশায় ১৪ মাসে ৬১ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে

গ্যাসের সিস্টেম লস (কারিগরি ত্রুটি) কমাতে পথনকশা তৈরি করেছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ। ৭টি গ্যাস কোম্পানিকে ২০২৬ সালের জুন মাস পর্যন্ত সিস্টেম লস কমানোর লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছে এ বিভাগ। বিভাগটি বলেছে, কোম্পানিগুলোকে এ সময়ের মধ্যে কমপক্ষে অর্ধেকের নিচে নামিয়ে আনতে হবে গ্যাসের সিস্টেম লস। কাজটি না পারলে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের ভোগ করতে হবে শাস্তি।

সচিবালয়ে আজ বুধবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ পথনকশা চূড়ান্ত করা হয়। জ্বালানিসচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামসহ কোম্পানিগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকেরা (এমডি) এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক সূত্র জানায়, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বর্তমানে যে পরিমাণ সিস্টেম লস হয়, তার আর্থিক মূল্য ১০০ কোটি মার্কিন ডলার। আগামী বছরের জুনের মধ্যে পথনকশা বাস্তবায়নের মাধ্যমে সিস্টেম লস অর্ধেকে নেমে এলে অন্তত ৫০ কোটি মার্কিন ডলার সাশ্রয় হবে। বর্তমান বাজার মূল্যে এর পরিমাণ ৬১ হাজার কোটি টাকা।

দেশীয় কোম্পানি, আন্তর্জাতিক কোম্পানি ও চট্টগ্রামের মহেশখালীতে থাকা দুই তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) টার্মিনাল থেকে মিটারিংয়ের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ করা হয় গ্যাস ট্রান্সমিশন পিএলসি লিমিটেডে (জিটিসিএল)।

জিটিসিএল পরে মিটারিংয়ের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ করে ছয় কোম্পানিকে। এগুলো হচ্ছে তিতাস, বাখরাবাদ, কর্ণফুলী, জালালাবাদ, সুন্দরবন ও পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি। এসব কোম্পানিই পরে গ্যাস সরবরাহ করে গ্রাহকদের। সিস্টেম লসের মধ্যে তিতাস ও বাখরাবাদ গ্যাসেরই বেশি, যা সুন্দরবন গ্যাস ও পশ্চিমাঞ্চল গ্যাসের নেই বললেই চলে।

এখন থেকে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে কোন কোম্পানি কোন মাসে সিস্টেম লস কতটা নামিয়ে আনবে, তা বেঁধে দেওয়া হয়েছে পথনকশায়। পথনকশা অনুযায়ী কাজ হচ্ছে কি না, তিন মাস পর তা আবার খতিয়ে দেখবেন উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান।

তিতাস গ্যাসের গত জানুয়ারি মাসে সিস্টেম লস ছিল ১০ দশমিক ৫৩ শতাংশ। ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে কোম্পানিটিকে এ হার ৫ দশমিক ৫ শতাংশে এবং ডিসেম্বরে ৫ শতাংশে নামিয়ে আনার কথা বলা হয়েছে। একইভাবে বাখরাবাদের জানুয়ারিতে ১৩ দশমিক ৬০ শতাংশ সিস্টেম লস থাকলেও আগামী বছরের জানুয়ারি ও ডিসেম্বরেও কোম্পানিটিকে এ হার ৫ শতাংশে নামিয়ে আনতে হবে।

পথনকশায় সিস্টেম লস কমিয়ে আনার ব্যাপারে তিতাসের ৩৯১ ও বাখরাবাদের ১৩৩ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া কর্ণফুলী গ্যাসে ২০০, জালালাবাদে ৬৪ এবং পশ্চিমাঞ্চল গ্যাসে ৩৬ জনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

সিস্টেম লস কমাতে সাতটি ভিজিল্যান্স দল গঠন করা হয়েছে। অবৈধ বিতরণ পাইপলাইন অপসারণ, অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা এবং বিচ্ছিন্ন করার পর এগুলো আবার পুনঃস্থাপিত হয়েছে কি না, সেগুলো সরেজমিন দেখবে দলগুলো। পুনঃস্থাপনের সঙ্গে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী বা কোনো ঠিকাদার জড়িত কি না, তা–ও চিহ্নিত করা হবে।

সূত্রগুলো জানায়, গত ২৫ জানুয়ারি থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত ২ মাসে ৭০ কিলোমিটার অবৈধ পাইপলাইন উচ্ছেদ করা হয়েছে। আর অবৈধ আবাসিক বার্নার বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে প্রায় ২৭ হাজার। এ সময় ৯৬টি মোবাইল কোর্টসহ ও ১ হাজার ১৮৮টি মোবাইল কোর্ট ছাড়া অভিযান করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ২০২৬ বিশ্বকাপ খেলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানালেন মেসি
  • নিজের প্রতি সৎ থেকে ২০২৬ বিশ্বকাপ খেলতে চাই: মেসি 
  • ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে নিজের সঙ্গে ‘সৎ’ থাকতে চান মেসি
  • ট্রাম্পের শুল্কঝড়ে কমবে জ্বালানি তেলের চাহিদা: ওপেক
  • নতুন পথনকশায় ১৪ মাসে ৬১ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে