‘মব’ তৈরি করে ছাত্র ফেডারেশনের কর্মীকে ছাত্রলীগ বলে মারধর
Published: 26th, March 2025 GMT
বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের চট্টগ্রাম মহানগর সংগঠক শওকত ওসমানকে ছাত্রলীগ বলে ‘মব’ তৈরি (দলবদ্ধ বিশৃঙ্খলা) করে মারধর করা হয়েছে। বুধবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ থানার মিমি সুপার মার্কেটসংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, টিউশন করে বাসায় ফিরেছিলেন শওকত ওসমান। ওই সময় মিমি সুপার মার্কেটের সামনে গলিতে তাঁকে পেয়ে ছাত্রলীগ বলে লোকজন জড়ো করেন নগরের ওমর গণি এমইএস কলেজ শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব মির্জা ফারুকসহ কয়েকজন। তাঁরা শওকতকে মারধর করেন। ইতিমধ্যে পুলিশের জরুরি সেবা ৯৯৯ থেকে কল পেয়ে পাঁচলাইশ থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে শওকতকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমানে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির রাজনৈতিক শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক শ্রীধাম শীল প্রথম আলোকে বলেন, এমইএস কলেজ ছাত্রদল নেতা মির্জা ফারুক ও তাঁর সহযোগীরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মির্জা ফারুক সাংবাদিকদের বলেন, ছাত্রলীগের এক ছেলের সঙ্গে চেহারায় মিল থাকায় শওকত ওসমানকে মারধর করা হয়েছে।
পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সোলাইমান প্রথম আলোকে বলেন, মির্জা ফারুকসহ দুজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম রধর
এছাড়াও পড়ুন:
সুনামগঞ্জে পূর্ব বিরোধের জেরে সংঘর্ষে আহত ২০
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে পূর্ব বিরোধের জেরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। বুধবার বিকেলে উপজেলার আশারকান্দি ইউনিয়নের কালনীরচর গ্রামের এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কালনীরচর গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী আব্দুল হক ও একই গ্রামের স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য শওকত আলীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন বিষয়ে বিরোধ চলে আসছে। ওইসব বিষয় নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে একাধিক মামলা মোকদ্দমাও রয়েছে।
সম্প্রতি একটি মামলায় ইউপি সদস্য শওকত আলীকে গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। ৮ দিন পর গত মঙ্গলবার জামিনে বের হন শওকত আলী। এরই জেরে বুধবার বিকেলে উভয় পক্ষের লোকজন বাগ্বিতণ্ডা ও পরে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে জগন্নাথপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আহতদের জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ওসমানীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজ ইমতিয়াজ ভূঞা বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।