খুলনা জেলা বিএনপির তিন সদস্যের আংশিক আহ্বায়ক কমিটিকে বর্ধিত করে ৬১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি করা হয়েছে। আজ বুধবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পোস্ট করা দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর এক বিজ্ঞপ্তিতে খুলনা জেলা বিএনপির আগের আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় কমিটি। গত ১৩ ডিসেম্বর খুলনা জেলা বিএনপির তিন সদস্যের নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। ওই কমিটিতে মো.

মনিরুজ্জামান ওরফে মন্টুকে আহ্বায়ক, শেখ আবু হোসেন ওরফে বাবুকে সদস্যসচিব এবং মো. মোমরেজুল ইসলামকে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়।

পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে আহ্বায়ক ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়কের বাইরে আরও ৯ জনকে যুগ্ম আহ্বায়ক এবং ৪৯ জনকে সদস্য রাখা হয়েছে। আগের জেলা কমিটির আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান ও  সদস্যসচিব এস এম মনিরুল হাসানকে (বাপ্পী) এবারে কমিটিতে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে।

কমিটির যুগ্ম আহ্বায়কেরা হলেন খান জুলফিকার আলী (জুলু), মোল্লা খায়রুল ইসলাম, মো. তৈয়েবুর রহমান, এস এম শামীম কবির, গাজী তফসির আহমেদ, কামরুজ্জামান, মনিরুল হক, অসিম কুমার সাহা ও এনামুল হক।

কমিটির সদস্যরা হলেন আমির এজাজ খান, এস এম মনিরুল হাসান, গাজী আবদুল হক, মোস্তফা উল বারী, শেখ আবদুর রশিদ, এস এ রহমান বাবুল, চৌধুরী কাওসার আলী, আশরাফুল আলম, সুলতান মাহমুদ, টিকু রহমান, শরিফুল ইসলাম জোয়াদ্দার, আবদুস সবুর, মোল্লা মাহবুবর রহমান, আনিসুর রহমান, শেখ আজগর আলী, আবদুস সাত্তার, শাকিল আহমেদ, মোল্লা এনামুল কবির, শামসুল আলম, নাজমুস সাকির, ওয়াহিদ ইমরান, সরোয়ার হোসেন, জি এম রফিকুল হাসান, মো. ইকবাল শরীফ, আরিফুর রহমান, সেলিম সরদার, রবিউল ইসলাম হোসেন, অহিদুজ্জামান রানা, হাফিজুর রহমান, শাহানুর রহমান, ইলিয়াস মল্লিক, মল্লিক আবদুস সালাম, মনির হাসান, জাফরী নেওয়াজ চন্দন, মনিরুজ্জামান লেলিন, আ. মালেক, এম শাহাদাত হোসেন, এম এ হাসান, মনিরুজ্জামান, সাইদ বিশ্বাস, আশরাফুল ইসলাম, আসাফুর রহমান, এস এম এমাদুল ইসলাম, নিত্যনন্দ, নাসিমা আক্তার, মোল্লা রিয়াজুল ইসলাম, আতিক নেওয়াজ, আছাফুর রহমান ও  শফিক আহমেদ।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ল ইসল ম সদস য র ব এনপ র র রহম ন

এছাড়াও পড়ুন:

সুনামগঞ্জে নৌকাডুবিতে প্রাণ গেল পাঁচজনের

সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জে যাত্রীবাহী নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে নারী ও শিশুসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার রাত নয়টায় উপজেলার বেহেলী ইউনিয়নের বৌলাই নদীতে এ নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে।

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করেছেন স্থানীয়রা। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য দেবাশীষ তালুকদার।

এদিকে ঘটনাস্থল দূরে হওয়ায় সেখানে পৌঁছাতে পারেনি পুলিশ। জামালগঞ্জ থানার ওসি জানিয়েছেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে যাচ্ছে। এছাড়া নৌ পুলিশও ঘটনাস্থলে যাচ্ছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য দেবাশীষ তালুকদার বলেন, মধ্যনগর উপজেলা সদরে শনিবার হাট ছিল। সেখানে কেনাকাটা শেষে নৌকায় ফিরছিলেন ৫০-৬০ যাত্রী। তাতে মালামালও ছিল। নৌকাটি মদনাকান্দি-দুর্গাপুরের কাছাকাছি নোয়াপাড়া এলাকায় এসে ডুবে যায়। এ সময় যাত্রীরা সাঁতরে পাড়ে উঠলেও নারী-শিশুসহ পাঁচজন ডুবে মারা যান। তাদের মধ্যে তিনজনের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন- নোয়াপাড়া’র বিউটি চক্রবর্ত্তী (৫০), মোহনগঞ্জের হাতনি গ্রামের কল্পনা সরকার (৪৫) ও কলমাকান্দা উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামের সুজিত সরকারের ছেলে গঙ্গা সরকার (৫)। বাকি দুজনের পরিচয় জানা যায়নি।

জামালগঞ্জ থানার ওসি মো. সাইফুল ইসলাম রাত সাড়ে ১১টার দিকে জানান, নৌকাডুবিতে চারজন মারা গেছেন। সবার নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি। ঘটনাস্থল থানা সদর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে। আমরা ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওয়ানা দিয়েছি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ