চারজন বসতির সেই গ্রাম বিক্রি হলো ১৫ লাখ টাকায়
Published: 26th, March 2025 GMT
চারজন জনসংখ্যা নিয়ে গড়ে উঠা ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার আলোচিত সেই উমানাথপুর গ্রাম বিক্রি হয়ে গেছে মাত্র ১৫ লাখ টাকায়। গ্রামের পুরো জমির মালিক ছিলেন মো. সিরাজুল হক। ৪ মাস আগে আব্দুল মন্নাছের কাছে এই গ্রামটি বিক্রি করেন তিনি। তবে বুধবার বিকেলে গ্রামটি বিক্রির ঘটনা প্রকাশ পায়।
স্থানীয়রা জানায়, ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার রাজিবপুর ইউনিয়নের উমানাথপুর নামক গ্রামে বসতি ছিলো সিরাজুল হকের পরিবারের। ছোট এই গ্রামের মোট জমির পরিমাণ ২৫ শতক।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, উত্তরাধিকার সূত্রে সিরাজুল হক স্ত্রী সন্তানসহ মোট ৪ জন নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন। দুটি থাকার ঘর, একটি গরুর ঘর, একটি ছোট পুকুর ও একটি টয়লেট আছে এই বাড়িতে।
জানা যায়, ৬০ বছর যাবত বসবাস করা সিরাজুল হক সাবরেজিস্ট্রি অফিসে দলিল লেখক হিসেবে কাজ করেন। তিনি পুরো একটি গ্রামের মালিক হিসেবে ময়মনসিংহ জেলায় পরিচিত ছিলেন।
উমানাথপুর গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে ব্রহ্মপুত্র নদ। উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এটি। এর আশপাশে গ্রামগুলো হলো- উত্তরে রামগোবিন্দপুর, দক্ষিণে হরিপুর, পূর্বে উদয়রামপুর ও পশ্চিমে রামগোবিন্দপুর ও হরিপুর।
সিরাজুল হক জানান, নিজের জন্য এত বড় বাড়ি প্রয়োজন নেই। তাই বিক্রি করে রাস্তার পাশে জমি কিনেছিলাম। কিন্তু এখন হিতে বিপরীত হয়েছে। নতুন জমিতে ঘর বাধতে দিচ্ছে না একটি পক্ষ। বিদ্যুতের জন্য আবেদন করেও পাচ্ছিনা। ইফতার এবং সেহরি করতে হচ্ছে মোমবাতির আলোতে। একটি টিউবওয়েল পর্যন্ত স্থাপন করতে পারছি না।
বাড়ি বা গ্রামটি কিনেছেন পাশের গ্রামের উদয়রামপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল মন্নাছ। তিনি পরিবারসহ ঢাকায় ব্যবসা করেন।
আব্দুল মন্নাছ বলেন, বাড়িটি ক্রয় করেছি ১৫ লাখ টাকায়। কাগজপত্রসহ খরচ পড়েছে ১৭ লাখ টাকা। আপাতত পরিবার নিয়ে নতুন বাড়িতে উঠেছি।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ময়মনস হ স র জ ল হক পর ব র
এছাড়াও পড়ুন:
ময়মনসিংহে স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটির ৮ সদস্যের অনাস্থা
ময়মনসিংহে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের ২ নম্বর ওয়ার্ড কমিটিতে বিতর্কিতদের পদ দেওয়ার অভিযোগে ৮ সদস্য অনাস্থা প্রস্থাব দিয়েছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে এই অনাস্থা প্রস্তাবের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নবগঠিত কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. হান্নান মিয়া।
এই অনাস্থা প্রস্তাবে স্বাক্ষর করেছেন নবগঠিত কমিটির ৮ সদস্য। তারা হলেন- যুগ্ম আহবায়ক মো. খোকন মিয়া, খরিল মিয়া, রাসেল মিয়া, আনোয়ার হোসেন, সদস্য- জুয়েল মিয়া, জিয়াউর রহমান ও মো: লিমন।
অনাস্থা প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়, নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক সনিরুল হাসান খান তোয়া কখনো বিএনপি বা স্বেচ্ছাসেবক দলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিল না। সে বিগত সময়ে অন্যদলের নেতাদের সঙ্গে চলাফেরা করত। আমরা তোয়াকে কখনো দলীয় কর্মকাণ্ডে পাইনি। অথচ তাকে স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক করা হয়েছে। এ কারণে আমরা কমিটির আহ্বায়কের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করছি।
নবগঠিত কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. হান্নান মিয়া ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দল না করেও পদ পাওয়া যায়, এটা তোয়া প্রমাণ করেছে। অথচ ৫ আগস্টের আগে তাদেরকে কখনো দলে দেখিনি। তোয়া ছাড়াও এই কমিটিতে কৃষকদলের ওয়ার্ডের আহ্বায়ক প্রকৌশলী সবুজকে কোনো যাচাই-বাছাঁই না করেই স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য করা হয়েছে।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ময়মনসিংহ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মো. আমিনুল ইসলাম ফয়সাল।
তিনি বলেন, এই কমিটির বিষয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দও অবগত। যাচাই-বাঁছাই করে নিয়ম মেনে কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির আহ্বায়ক তোয়াকে নিয়ে জাতীয় পার্টির এক নেতার সঙ্গে যে ছবি প্রকাশ হয়েছে সেটা সামাজিক ছবি, দলীয় কর্মকাণ্ডের নয়।
এই বিষয়ে জানতে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক সনিরুল হাসান খান তোয়াকে ফোন করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।