সিমিওনেরা গোল করলে হারে না আর্জেন্টিনা
Published: 26th, March 2025 GMT
দিয়েগো সিমিওনে এমনিতেই আবেগপ্রবণ। তাঁর কোচিংয়ে আতলেতিকো মাদ্রিদ যেমনই খেলুক, মাঠেই প্রতিক্রিয়া দেখান। মাঝেমধ্যে সংবাদ সম্মেলনে সেটার মাত্রা আরও বেড়ে যায়। অতি আবেগে কেঁদেও ফেলেন।
সিমিওনে ওই গোলটা দেখার পর আজও হয়তো কেঁদেছেন। সেই কান্না নিশ্চয় আনন্দের, গর্বের। কোন গোলের কথা বলা হচ্ছে, বুঝতেই পারছেন!
বুয়েনস এইরেসের মনুমেন্তাল স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে আজ ব্রাজিলকে নিয়ে স্রেফ ছেলেখেলা করেছে আর্জেন্টিনা। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা জিতেছে ৪-১ গোলে। কিন্তু যদি প্রশ্ন করা হয়, ম্যাচের সবচেয়ে সুন্দর ও দর্শনীয় গোল কোনটি—সবাই জুলিয়ানো সিমিওনের নামই বলবেন।
হ্যাঁ, দিয়েগো সিমিওনের ছোট ছেলে জুলিয়ানো সিমিওনে আজ আর্জেন্টিনার জার্সিতে নিজের প্রথম গোল পেয়েছেন।
উরুগুয়ের বিপক্ষে আর্জেন্টিনার আগের ম্যাচের নায়ক থিয়াগো আলমাদার বদলি নামেন জুলিয়ানো। ৬৮ মিনিটে নেমে ৭১ মিনিটেই সেই গোল। নিকোলাস তালিয়াফিকোর পাস থেকে বক্সের ডান পাশে ফাঁকায় বল পেয়েছিলেন জুলিয়ানো। কিন্তু দুরূহ কোণ থেকে বল জালে জড়ানো মোটেও সহজ ছিল না। জুলিয়ানো কঠিন কাজটিই করেছেন নিখুঁতভাবে।
আরও পড়ুনকেমন খেলল আর্জেন্টিনা, কেমন ‘ছেলেখেলা’র শিকার হলো ব্রাজিল১১ ঘণ্টা আগে২২ বছর বয়সী জুলিয়ানোর গোলে এই শতাব্দীতে নতুন এক কীর্তিও গড়ে সিমিওনে পরিবার। এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো এক পরিবারের কমপক্ষে তিন সদস্য আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের হয়ে গোল করলেন। প্রথমবার এমনটা ঘটেছিল বিংশ শতাব্দীর প্রথম দশকে। বিখ্যাত ব্রাউন পরিবারের চার ভাই আলফ্রেদো, এর্নেস্তো, এলিসিও ও হোর্হে ওই সময়ের মধ্যে আলবিসেলেস্তে জার্সিতে গোল করেছিলেন।
তবে একটা জায়গায় সিমিওনে পরিবার অনন্য কীর্তি গড়ে ফেলেছে। আরও স্পষ্ট করে বললে, বংশপরম্পরায় রেকর্ডটা অটুট রেখেছে। আর্জেন্টিনার জার্সিতে সিমিওনেরা গোল করেছেন, এমন কোনো ম্যাচে হারেনি আর্জেন্টিনা!
আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের হয়ে নিজের অভিষেক ম্যাচেই গোল করেন জিওভানি সিমিওনে (ডানে).উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আর জ ন ট ন পর ব র গ ল কর
এছাড়াও পড়ুন:
কয়রায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়কের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ, বহিষ্কার দাবি
খুলনার কয়রা উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক গোলাম রব্বানীর চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে তাঁকে বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রোববার বেলা ১১টায় উপজেলা সদরের তিন রাস্তার মোড় এলাকায় সাধারণ ছাত্র-জনতার ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বক্তারা সংগঠনবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত থাকায় তাঁকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন।
মানববন্ধনে নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী দেবব্রত দেবু, খুলনার সরকারি সিটি কলেজের শিক্ষার্থী আবিদ মাহমুদ, খুলনার বিএল কলেজের শিক্ষার্থী খলিলুর রহমান, জুলাই আন্দোলনে আহত মনিরুল ইসলাম, শিক্ষার্থী একরামুল হোসেন প্রমুখ বক্তব্য দেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আন্দোলনে অংশ না নিলেও গোলাম রব্বানীকে কয়রা উপজেলা কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে। এটা আন্দোলনে অংশ নেওয়া ছাত্রদের সঙ্গে বৈষম্যের শামিল। আহ্বায়ক হয়ে গোলাম রব্বানী জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ব্যানারে ইফতার মাহফিল আয়োজনের নামে ব্যক্তিগতভাবে চাঁদাবাজি করেছেন। তাঁর অনুসারী আবদুর রউফ একটি মাদ্রাসায় চাকরি করলেও ছাত্র সমন্বয়ক বলে দাবি করেন। তাঁর বিরুদ্ধেও চাঁদাবাজির অভিযোগ আছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারকে ব্যবহার করে তাঁরা দুজন বিভিন্ন সরকারি কার্যালয়ে তদবির করেন।
সম্প্রতি এনসিপির ব্যানারে অনুষ্ঠিত ইফতার মাহফিলের দাওয়াতপত্রে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়কের সঙ্গে আবদুর রউফের মুঠোফোন নম্বর থাকা ও আওয়ামী লীগের নেতাদের কাছে চাঁদা চাওয়ার বিষয়টি নিয়ে এলাকায় বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এ কারণে আহ্বায়কের বিরুদ্ধে করা অভিযোগ তদন্ত করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয় মানববন্ধনে।
অভিযোগের বিষয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা গোলাম রব্বানীর মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ধরেননি।