মোগড়াপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির ইফতার ও দোয়া মাহফিল
Published: 26th, March 2025 GMT
মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনায় সোনারগাঁওয়ে আলোচনা সভা, দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার বিকেলে উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়ন ২ নং ওয়ার্ড বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে হাবিবপুর ঈদগা মাঠে এলাকায় ১ হাজার সাধারণ জনগণকে সাথে নিয়ে এ ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
মোগরাপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কাজী নজরুল ইসলাম টিটুর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমানের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটি সদস্য ও সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান।
প্রধান বক্তা হিসাবে হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোশারফ হোসেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সোনারগাঁও পৌর বিএনপির সভাপতি হাজী শাহজাহান মেম্বার, নারায়ণগঞ্জ জেলা আহবায়ক কমিটির সদস্য হাজী সেলিম হক, সোনারগাঁও পৌর বিএনপির সাধারন সম্পাদক মোতালেব কমিশনার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির রফিক, সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি রফিকুল ইসলাম, তাজুল ইসলাম সরকার।
অনুষ্ঠানে সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আব্দুর রউফ, এডভোকেট সাদ্দাম হোসেন নারায়ণগঞ্জ জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মজিবুর রহমান, সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সহ সাধারণ সম্পাদক ডাক্তার মিজানুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক ফজল হোসেন, প্রচার সম্পাদক সেলিম হোসেন দিপু, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা ওমর ফারুক, সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সদস্য বিএম ডালিম, সোনারগাঁও উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক কাউসার, যুবদল নেতা রাকিব হাসান, সোহেল রানা,ইমরান ফারুক মোগরাপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি মোঃ ইকবাল হোসেন, মোগরাপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক শামীম হোসেনসহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ইফত র উপস থ ত ছ ল ন ব এনপ র স ন ব এনপ র ও উপজ ল ল ইসল ম র রহম ন স ন রগ
এছাড়াও পড়ুন:
পোশাকশ্রমিকদের ঈদভাবনা: নেওয়ার চেয়ে পরিবারকে দিতে পারাই বেশি আনন্দের
বাবা অর্থনৈতিকভাবে খুব সচ্ছল ছিলেন না। তবু ঈদ এলে নতুন জামা দেওয়ার চেষ্টা করতেন। কোনো কোনো সময় তা-ও পারতেন না। এ জন্য মন খারাপ হতো। এখন বুঝতে পারেন, যতটা না তাঁদের মন খারাপ হতো, সন্তানদের নতুন জামা দিতে না পারায় মা–বাবার বেশি খারাপ লাগত। আসলে নেওয়ার চেয়ে পরিবারকে দিতে পারার মধ্যেই বেশি আনন্দ। পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে পারাটাই বেশি আনন্দের।
কথাগুলো বলছিলেন নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার একটি ডাইং কারখানায় সহকারী সুপারভাইজার মো. জুয়েল (৩০)। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ডে তাঁর সঙ্গে কথা হয়। নোয়াখালীর চর আলেকজান্ডারে পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে বাড়িতে যাচ্ছিলেন।
ঈদযাত্রার অভিজ্ঞতা বলতে গিয়ে জুয়েল ফিরে যান শৈশবে। তিনি জানান, শৈশব-কৈশোর পেরিয়ে যখন উপার্জন করতে শুরু করেছেন, তখনই তাঁর ঈদের উপলব্ধি বদলে গেছে। শৈশবে ঈদের উপহার না পেলে যতটা যন্ত্রণা হতো, বড় হওয়ার পর পরিবারকে পছন্দমতো দিতে না পারলে তার চেয়ে বেশি মন খারাপ হয়।
জুয়েলের ঈদভাবনার কথা শোনার সময় পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন তাঁর সহকর্মী মো. রাহীম। জুয়েলের আলাপে মাথা নাড়িয়ে সায় দিচ্ছিলেন তিনি। মা–বাবা, চাচা-ভাতিজার জন্য ঈদের উপহার নিয়ে তিনি নরসিংদীতে গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। অর্থনৈতিক দৈন্যদশায় উচ্চমাধ্যমিক শেষ করতে না পারা রাহীম জুয়েলের সঙ্গে ফতুল্লার মেট্রো নিটিং অ্যান্ড ডাইং কারখানায় অপারেটর সহকারীর কাজ করেন।
রাহীম বলেন, তাঁর কাছে এখনো ঈদ মানে হাতে মেহেদি দেওয়া। মা–বাবাকে সালাম করে তাঁদের কাছ থেকে সালামি নেওয়া। তাই প্রতিবারই কষ্ট করে হলেও গ্রামে ঈদ করতে যান।
তৈরি পোশাক কারখানার এই দুই শ্রমিক জানান, মার্চ মাসের বেতন ও ঈদ বোনাস পরিশোধের পর বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁদের কারখানা ছুটি হয়েছে। সব মিলিয়ে আট দিনের ছুটি পেয়েছেন। সময়মতো বেতন, বোনাস ও লম্বা ছুটি এবার তাঁদের ঈদের আনন্দ বাড়িয়ে দিয়েছে।
তবে নিজেরা বেতন-বোনাস পেলেও অনেক শ্রমিক বেতন না পাওয়ায় তাঁদের এখনো আন্দোলন করতে হচ্ছে বলে জানান। জুয়েল বলেন, ‘সারা বছর আমরা নানাভাবে কষ্ট করে দিন কাটাই। আশা থাকে ঈদ-পার্বণে পরিবার নিয়ে আনন্দ-উৎসব কাটানোর। পরিবারের মুখে হাসি ফোটানোর। কিন্তু যখন বেতন–বোনাস হয় না, তখন শ্রমিকদের আর ঈদ বলতে কিছু থাকে না।’
জুয়েল ও রাহীম জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে গাড়ির টিকিট পেতে কোনো সমস্যা হয়নি। তবে নরসিংদীর টিকিটের জন্য ১০ টাকা ও নোয়াখালীর জন্য প্রতিটি টিকিটে ৫০ টাকা বেশি দিতে হয়েছে তাঁদের।
বৃহস্পতিবার বিকেলের পর সাইনবোর্ড ও শিমরাইল মোড়ে আসা অধিকাংশ শ্রমিকই জুয়েল, রাহীমের মতো নারায়ণগঞ্জের তৈরি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। ঈদের লম্বা ছুটি পেয়ে তাঁরা প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ করতে বাড়িতে ফিরছেন। পরিবারের মুখে হাসি ফোটানোটাই তাঁদের ঈদের আনন্দ।