তারাবি পড়ে ঘরে ফিরে দেখেন স্ত্রীর গলা কাটা লাশ
Published: 26th, March 2025 GMT
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে মুক্তা বেগম (৫৫) নামের এক নারীর গলা কাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) রাতে উপজেলার ছয়গাঁও ইউনিয়নের বাড়িজঙ্গল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত মুক্তা ওই এলাকার মান্নান গাজীর স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে তারাবির নামাজ পড়তে মসজিদে যান মান্নান গাজী। এ সময় মুক্তা বেগম ঘরে একাই ছিলেন। মান্নান গাজী নামাজ শেষে ঘরে ফিরে দেখেন, খাটের ওপর স্ত্রীর গলা কাটা মরদেহ পড়ে আছে।
এ ঘটনা জানাজানি হলে এলাকায় ডাকাত পড়েছে বলে স্থানীয় মসজিদে মাইকিং করা হয়। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
ভেদরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) পারভেজ হাসান সেলিম বলেন, ‘‘মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
ঢাকা/আকাশ/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ছোট্ট শিশুকে জিম্মি করে গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনায় যুবক গ্রেপ্তার
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় কোলের ছোট্ট শিশুকে জিম্মি করে গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনায় জাকারিয়া প্রকাশ নয়ন (৩০) নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১ ও র্যাব-৮। বৃহস্পতিবার রাতে বরিশাল জেলার কোতয়ালী থানাধীন নাজির মহল্লা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শুক্রবার বিকেলে র্যাব-১১ সিপিসি-১ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর অনাবিল ইমাম এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
গ্রেপ্তার জাকারিয়া প্রকাশ নয়ন মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান থানার মধ্যপাড়ার মো. ফারুকের ছেলে। র্যাব জানায়, ভিকটিমের বিয়ের পূর্বে মামলায় অভিযুক্ত মাহিমের সঙ্গে ভিকটিমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ভিকটিমের অন্যত্র বিয়ের পর বিভিন্ন সময় রাস্তা ঘাটে অভিযুক্ত মাহিম বিভিন্ন ভাবে উত্যক্ত করতেন ও কু-প্রস্তাব দিতেন। এরই ধারাবাহিকাতায় গত ৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সদর উপজেলার গাবতলী এলাকায় কোলের শিশুকে জিম্মি করে ভিকটিমকে দফায় দফায় ধর্ষণ করা হয়। ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে ও ভয়-ভীতি দেখিয়ে প্রায় এক মাস ধরে অভিযুক্ত মাহিম এজাহারনামীয় অন্যান্য আসামির সহায়তায় দফায় দফায় ভিকটিমকে ধর্ষণ করছিল। গত ৭ এপ্রিল সর্বশেষ ধর্ষণের পর ভিকটিম অসুস্থ হয়ে পড়েন।
ভিকটিমের স্বামী র্যাবকে জানান, রমজান শুরু হওয়ার আগে তার স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে ইসদাইর-গাবতলী লিংক রোড দিয়ে যাওয়ার সময় ইসদাইর বটতলা এলাকার সজিব ওরফে বদনা সজিব, গাবতলী মাজার এলাকার রাকিব ওরফে মাইন, জাকারিয়া প্রকাশ নয়ন ও নজরুলসহ অজ্ঞাত দুজন সহযোগী তার সন্তানকে জিম্মি করে স্ত্রীকে ধর্ষণ করে। এ সময় অভিযুক্তরা ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে। পরবর্তীতে ভিডিও ফাঁস করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে আরও কয়েক দফা ধর্ষণ করে। সর্বশেষ গত ৭ এপ্রিল তাকে পুনরায় ফতুল্লা মডেল থানাধীন গাবতলী প্রাইমারী স্কুলের পাশের পাঁচ তলা বাড়ির নিচ তলার রুমের ভেতরে ডেকে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় ভিকটিম বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।