ভোট গণতন্ত্রের মূল স্তম্ভ। এই নাগরিক অধিকার নিয়ে কেউ ছিনিমিনি খেললে নিজেরা ঘরে বসে থাকবেন না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির বিশেষ সহকারী ইশরাক হোসেন।

আজ বুধবার সন্ধ্যার দিকে রাজধানীর গোপীবাগে সাদেক হোসেন খোকা স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে খালেদা জিয়ার সুস্বাস্থ্য কামনায় আয়োজিত এক দোয়া ও ইফতার মাহফিলে ইশরাক হোসেন এ কথাগুলো বলেন।

গণহত্যার বিচারের কথা বলে দ্বিচারিতা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন ইশরাক হোসেন। তিনি বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের আট মাস পার হলেও গণহত্যার বিচার হচ্ছে না। অথচ সব হত্যাকারীর ভিডিও ফুটেজ আছে। শেখ হাসিনার নির্দেশনার বক্তব্য রয়েছে। বিচারও করছেন না। আবার বলছেন বিচার না হলে নির্বাচন হবে না। এ দ্বিচারিতা জনগণ বোঝে।’

এই বিএনপি নেতা বলেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার বিষয় উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে উত্থাপিত হলে সেখানেও আপত্তি আসে। তার মানে তাঁদের ভেতরেও এ বিষয়টি নিয়ে বিভক্তি রয়েছে।

ইশরাক হোসেন বলেন, ‘৫ আগস্টের রক্তাক্ত বিপ্লবের পর দেশের অতীত ইতিহাস মুছে ফেলার চক্রান্ত হয়েছে। বলা হয়েছে, দেশ নতুন করে স্বাধীন হয়েছে। আসলে আমরা স্বাধীনতা ফেরত পেয়েছি। প্রকৃত স্বাধীনতা আমরা ’৭১ সালেই অর্জন করেছি। মূলত ’৭১-এর পরাজিত শত্রুরাই এগুলো বলে ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করছে। ’৭১ আর ’২৪ এক বিষয় নয়। বরং এসব বলে মুক্তিযুদ্ধের সময় নিহত লাখো শহীদ এবং যাঁদের সম্ভ্রমহানি হয়েছে, তাঁদের অসম্মান করা হয়েছে।’

ইশরাক বলেন, ‘কেউ কেউ বলছেন জুলাই বিপ্লবে তাঁরা একাই করেছেন, আর কেউ ছিল না। এগুলো ’৭১ সালের পরাজিত শক্তির বক্তব্য। বিএনপি ও ছাত্রদলই এ আন্দোলনে মুখ্য ভূমিকা রেখেছে। ’৭১-এর কৃতিত্ব যেভাবে হাসিনা এককভাবে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল, একই কায়দায় [চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে] কেউ কেউ নিজ কৃতিত্ব জাহির করার অপচেষ্টা করেছেন।’

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক পাভেল সিকদারের সভাপতিত্বে দোয়া ও ইফতার মাহফিলে বক্তব্য দেন বিএনপির সহস্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক পারভেজ রেজা, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শ্রমিক দলের আহ্বায়ক সুমন ভূঁইয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক রহিম ভূঁইয়া, বিএনপি নেতা সাজ্জাদ হোসেন সিদ্দিকী ও মাশরুল হোসেন প্রমুখ।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইশর ক হ স ন ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

প্রথমে বিচার, এরপর সংস্কার, তারপর নির্বাচন: রাশেদ খান

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেছেন, ‘আমাদের স্পষ্ট দাবি। প্রথমে গণহত্যার বিচার হতে হবে। এরপর রাষ্ট্র সংস্কার হতে হবে। তারপর নির্বাচন হতে হবে।’

গতকাল বুধবার বিকেলে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার রায়ডাঙা কবরস্থানে আবরার ফাহাদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও মোনাজাত শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘যদি সংস্কার আর বিচারের আগে নির্বাচন দিবেন না বলেন, তাহলে মানুষ মনে করবে আপনি নির্বাচন পিছাতে চান।’

রাশেদ খান আরও বলেছেন, ‘আগে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। আগামী এক মাসের মধ্যে শেখ হাসিনাকে ফাঁসির রায় দিতে হবে। দুই মাসের মধ্যে গণহত্যাকারীদের বিচার নিশ্চিত করে ছয় মাসের মধ্যে ফাঁসির রায় দিতে হবে। পরে সংস্কার করে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সহযোগী কর্মসংস্থানবিষয়ক সম্পাদক আহসান হাবিব, কুষ্টিয়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালেক, পৌর কমিটির সভাপতি ভিপি রঞ্জু, কুষ্টিয়া জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি রাসেদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব হোসেন, কুষ্টিয়া শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি মিলন মালিথা প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • উপদেষ্টাদের বিদেশ সফর কমিয়ে মানুষের কাছে যাওয়া উচিত: রাশেদ খান
  • সামনের নির্বাচন গণপরিষদ নির্বাচন হতে হবে: আখতার হোসেন
  • নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমূল সংস্কার দরকার: আখতার হোসেন
  • ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধের দাবিতে ঢাকায় বিক্ষোভ
  • গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবিতে বায়তুল মোকাররমের সামনে বিক্ষোভ
  • আল কুদস দিবস ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা
  • আপসকামী বিরোধী রাজনীতিবিদদের জন্য ৫ আগস্ট দ্বিতীয় স্বাধীনতা নয়: নাহিদ ইসলাম
  • প্রথমে বিচার, এরপর সংস্কার, তারপর নির্বাচন: রাশেদ খান