সরকার নির্ধারিত সময়ের পর বগুড়ার মহাস্থান জাদুঘরে ঢুকতে দিতে দেরি করায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা–কর্মী পরিচয়ে জাদুঘরের এক নিরাপত্তাকর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ সময় এনসিপির নেতা পরিচয়ে জাদুঘরের কাস্টোডিয়ান রাজিয়া সুলতানাসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরিচ্যুত হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে মহাস্থান জাদুঘর–সংলগ্ন জাহাজঘাটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আজ বুধবার মহাস্থান জাদুঘরের কাস্টোডিয়ান রাজিয়া সুলতানা স্থানীয় শিবগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। তবে অভিযোগের ব্যাপারে এনসিপির কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

শাহিনুজ্জামান জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মহাস্থান জাদুঘরের কাস্টোডিয়ান জিডিতে এনসিপির নেতা–কর্মী পরিচয়ে নিরাপত্তাকর্মীর ওপর হামলা ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরিচ্যুত করার অভিযোগ করলেও কারও নাম পরিচয় উল্লেখ করেননি। এ বিষয়ে তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জাদুঘর সূত্রে জানা যায়, সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক পবিত্র রমজান মাসে মহাস্থান জাদুঘর ও মহাস্থান প্রত্নস্থল সকাল ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকে। সেই অনুযায়ী গতকাল বিকেল সাড়ে ৪টায় মহাস্থান জাদুঘরসহ জাহাজঘাটা ও গোবিন্দভিটা প্রত্নস্থল বন্ধ হয়ে যায়।

দলীয় সূত্র জানায়, গতকাল বগুড়ার একটি পাঁচ তারকা হোটেলে এনসিপির পক্ষ থেকে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাসহ চার শতাধিক ব্যক্তি আমন্ত্রিত ছিলেন। ইফতার মাহফিলে এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব গাজী সালাহউদ্দিন তানভীর অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসা কয়েকজন তরুণের বিরুদ্ধে নির্ধারিত সময়ের পর মহাস্থান জাদুঘর ঘুরতে গিয়ে নিরাপত্তাকর্মীকে মারধরের অভিযোগ ওঠে।

জাদুঘরের কাস্টোডিয়ান রাজিয়া সুলতানা প্রথম আলোকে বলেন, জাদুঘর ও প্রত্নস্থল বন্ধ হওয়ার প্রায় আধা ঘণ্টা পর বিকেল পাঁচটার দিকে ২০ থেকে ২৫ জন তরুণ নিজেদের এনসিপির নেতা–কর্মী পরিচয় দিয়ে জাহাজঘাটা প্রত্নস্থলে প্রবেশ করতে চান। জাদুঘর থেকে বেশ দূরে হওয়ায় চাবি নিয়ে জাহাজঘাটা প্রত্নস্থলে গিয়ে খুলে দিতে পাঁচ মিনিটের মতো দেরি হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁরা ভেতরে প্রবেশ করে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা জাদুঘরের কর্মচারী বাপ্পী মিয়ার ওপর হামলা করেন এবং এলোপাতারি মারধর করেন। এরপর হামলাকারীদের একজন মুঠোফোনে তাঁকে কল করে জাদুঘরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরিচ্যুত করার হুমকি দেন। এ ঘটনায় থানায় একটি জিডি করা হয়েছে।

এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব গাজী সালাহউদ্দিন তানভীরের বাড়ি বগুড়ায়। অভিযোগের বিষয়ে আজ বুধবার বিকেলে তাঁর মুঠোফোন নম্বরে কল করলে তিনি কেটে দেন। পরে একাধিকবার কল করলেও তিনি ধরেননি। এ বিষয়ে জেলার দায়িত্বশীল কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: জ দ ঘর র ক স ট ড য় ন এনস প র ন ত কর মকর ত ম রধর

এছাড়াও পড়ুন:

জিনদের আহার্য

মহানবী (সা.) একবার তার সাহাবি আবু হুরায়রা (রা.)-কে বললেন কিছু পাথর নিয়ে আসতে। তবে হাড় বা গোবর আনতে নিষেধ করলেন। আবু হুরায়রা (রা.) কাপড়ে করে কিছু পাথর এনে সেগুলো নবীজি (সা.)-এর পাশে রেখে চলে গেলেন। নবীজি (সা.) কাজ সেরে ফিরে আসার পর আবু হুরাইরা জিজ্ঞেস করলেন, আল্লাহর রাসুল, হাড় ও গোবরে সমস্যা কী? তিনি উত্তরে বললেন, সেগুলো জিনদের খাবার। নাসিবিন শহরে (সিরিয়া ও ইরাকের মধ্যে আলজাযিরার একটি নগরী) জিনদের একটি প্রতিনিধি দল এসেছিল। তারা সবাই খুব ভালো জিন। আমার কাছে খাবার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিল। আমি আল্লাহর কাছে তাদের জন্য দোয়া করি। তাই তারা যে হাড় বা গোবরের পাশ দিয়ে যাবে, তাতেই নিজেদের জন্য খাবার খুঁজে পাবে। (বুখারি, হাদিস: ৩,৫৭৮)

আরও পড়ুনইবলিস কি জিন নাকি ফেরেশতা১৬ মার্চ ২০২৫

তাই কেউ যদি বিসমিল্লাহ বলে খাবার খায় এবং হাড় থেকে মাংস খাওয়ার পর নাপাক স্থানে না ফেলে, মুমিন জিনেরা সেই হাড় হাতে নিলে তাতে গোশত ফিরে আসবে। (তিরমিজি, হাদিস: ৩,২৫৮)

আর দুষ্ট জিন ও শয়তানরা খায় এমন খাবার, যাতে আল্লাহর নাম উচ্চারণ করা হয় না। যেসব খাবারের শুরুতে বিসমিল্লাহ বলা হয়, সেগুলো তারা ছুঁয়েও দেখে না।

গোবরে জিনদের পশুদের জন্য খাবার জমা হয়। তার মানে জিনদের পোষা প্রাণী আছে এবং তারা তাতে আরোহণ করে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘গোবর বা হাড় নাপাকি পরিষ্কারের কাজে ব্যবহার করো না। কারণ এগুলো তোমাদের ভাই জিনদের খাবার।’ (তিরমিজি, হাদিস: ১৮)

আরও পড়ুনকোরআন শুনে একদল জিন ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন০৬ আগস্ট ২০২৩

সম্পর্কিত নিবন্ধ