আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৬ সালে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোতে অনুষ্ঠিতব্য ফিফা বিশ্বকাপে জায়গা করে নিয়েছে ইরান। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) রাতে উজবেকিস্তানের বিপক্ষে ২-২ গোলে ড্র করে তারা টানা চতুর্থবার বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ নিশ্চিত করে। সব মিলিয়ে এ নিয়ে সপ্তমবারের মতো ইরান বিশ্বকাপে নাম লেখালো।  

এশিয়া অঞ্চলের বাছাইপর্বে ‘এ’ গ্রুপের শীর্ষে রয়েছে ইরান। এখন পর্যন্ত ৮ ম্যাচে ৬ জয় ও ২ ড্রয়ে ২০ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে দলটি। উজবেকিস্তান ১৭ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছে এবং তারাও বিশ্বকাপে খেলার পথে ভালোভাবেই এগিয়ে রয়েছে।  

বিশ্বকাপে জায়গা করে নিতে মাত্র একটি পয়েন্ট প্রয়োজন ছিল ইরানের। এদিন আজাদি স্টেডিয়ামে উজবেকিস্তান শুরুতেই লিড নেয়, ম্যাচের ১৬তম মিনিটে খোজিমত এরকিনভ গোল করেন। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ইরান সমতা ফেরায়, মেহেদি তারেমির গোলে ৫২ মিনিটে।

আরো পড়ুন:

৬৬ বছর পর আর্জেন্টিনার কাছে এতো বড় ব্যবধানে হারল ব্রাজিল

বড় হারের পর ক্ষমা চাইলেন ব্রাজিল অধিনায়ক

উজবেকিস্তান এক মিনিট পরই আবার লিড নেয় আব্বোসবেক ফয়জুল্লায়েভের গোলে। স্কোরলাইন হয় ২-১। তবে ইরান হাল ছাড়েনি। ৮৩ মিনিটে ইন্টার মিলান তারকা তারেমি আবার গোল করে দলকে সমতায় ফেরান এবং এই ড্র-ই ইরানকে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করে দেয়।

ইরান ছাড়াও ইতোমধ্যে আরও ছয়টি দেশ জায়গা করে নিয়েছে ২০২৬ বিশ্বকাপে। তার মধ্যে রয়েছে তিন আয়োজক দেশ— যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডা।

আয়োজকের বাইরে বাছাইপর্ব খেলা দলগুলোর মধ্যে সবার আগে বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করে জাপান। এরপর নিউজিল্যান্ডও নিশ্চিত করে তাদের জায়গা। এছাড়া মঙ্গলবার দিবাগত রাতে উরুগুয়ে ও বলিভিয়ার ম্যাচটি ড্র হলে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনাও নিশ্চিত করে ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলা।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল ফ ফ ব শ বক প ন শ চ ত কর ব শ বক প

এছাড়াও পড়ুন:

নতুন পথনকশায় ১৪ মাসে ৬১ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে

গ্যাসের সিস্টেম লস (কারিগরি ত্রুটি) কমাতে পথনকশা তৈরি করেছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ। ৭টি গ্যাস কোম্পানিকে ২০২৬ সালের জুন মাস পর্যন্ত সিস্টেম লস কমানোর লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছে এ বিভাগ। বিভাগটি বলেছে, কোম্পানিগুলোকে এ সময়ের মধ্যে কমপক্ষে অর্ধেকের নিচে নামিয়ে আনতে হবে গ্যাসের সিস্টেম লস। কাজটি না পারলে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের ভোগ করতে হবে শাস্তি।

সচিবালয়ে আজ বুধবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ পথনকশা চূড়ান্ত করা হয়। জ্বালানিসচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামসহ কোম্পানিগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকেরা (এমডি) এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক সূত্র জানায়, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বর্তমানে যে পরিমাণ সিস্টেম লস হয়, তার আর্থিক মূল্য ১০০ কোটি মার্কিন ডলার। আগামী বছরের জুনের মধ্যে পথনকশা বাস্তবায়নের মাধ্যমে সিস্টেম লস অর্ধেকে নেমে এলে অন্তত ৫০ কোটি মার্কিন ডলার সাশ্রয় হবে। বর্তমান বাজার মূল্যে এর পরিমাণ ৬১ হাজার কোটি টাকা।

দেশীয় কোম্পানি, আন্তর্জাতিক কোম্পানি ও চট্টগ্রামের মহেশখালীতে থাকা দুই তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) টার্মিনাল থেকে মিটারিংয়ের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ করা হয় গ্যাস ট্রান্সমিশন পিএলসি লিমিটেডে (জিটিসিএল)।

জিটিসিএল পরে মিটারিংয়ের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ করে ছয় কোম্পানিকে। এগুলো হচ্ছে তিতাস, বাখরাবাদ, কর্ণফুলী, জালালাবাদ, সুন্দরবন ও পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি। এসব কোম্পানিই পরে গ্যাস সরবরাহ করে গ্রাহকদের। সিস্টেম লসের মধ্যে তিতাস ও বাখরাবাদ গ্যাসেরই বেশি, যা সুন্দরবন গ্যাস ও পশ্চিমাঞ্চল গ্যাসের নেই বললেই চলে।

এখন থেকে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে কোন কোম্পানি কোন মাসে সিস্টেম লস কতটা নামিয়ে আনবে, তা বেঁধে দেওয়া হয়েছে পথনকশায়। পথনকশা অনুযায়ী কাজ হচ্ছে কি না, তিন মাস পর তা আবার খতিয়ে দেখবেন উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান।

তিতাস গ্যাসের গত জানুয়ারি মাসে সিস্টেম লস ছিল ১০ দশমিক ৫৩ শতাংশ। ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে কোম্পানিটিকে এ হার ৫ দশমিক ৫ শতাংশে এবং ডিসেম্বরে ৫ শতাংশে নামিয়ে আনার কথা বলা হয়েছে। একইভাবে বাখরাবাদের জানুয়ারিতে ১৩ দশমিক ৬০ শতাংশ সিস্টেম লস থাকলেও আগামী বছরের জানুয়ারি ও ডিসেম্বরেও কোম্পানিটিকে এ হার ৫ শতাংশে নামিয়ে আনতে হবে।

পথনকশায় সিস্টেম লস কমিয়ে আনার ব্যাপারে তিতাসের ৩৯১ ও বাখরাবাদের ১৩৩ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া কর্ণফুলী গ্যাসে ২০০, জালালাবাদে ৬৪ এবং পশ্চিমাঞ্চল গ্যাসে ৩৬ জনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

সিস্টেম লস কমাতে সাতটি ভিজিল্যান্স দল গঠন করা হয়েছে। অবৈধ বিতরণ পাইপলাইন অপসারণ, অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা এবং বিচ্ছিন্ন করার পর এগুলো আবার পুনঃস্থাপিত হয়েছে কি না, সেগুলো সরেজমিন দেখবে দলগুলো। পুনঃস্থাপনের সঙ্গে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী বা কোনো ঠিকাদার জড়িত কি না, তা–ও চিহ্নিত করা হবে।

সূত্রগুলো জানায়, গত ২৫ জানুয়ারি থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত ২ মাসে ৭০ কিলোমিটার অবৈধ পাইপলাইন উচ্ছেদ করা হয়েছে। আর অবৈধ আবাসিক বার্নার বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে প্রায় ২৭ হাজার। এ সময় ৯৬টি মোবাইল কোর্টসহ ও ১ হাজার ১৮৮টি মোবাইল কোর্ট ছাড়া অভিযান করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ২০২৬ বিশ্বকাপ খেলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানালেন মেসি
  • নিজের প্রতি সৎ থেকে ২০২৬ বিশ্বকাপ খেলতে চাই: মেসি 
  • ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে নিজের সঙ্গে ‘সৎ’ থাকতে চান মেসি
  • ট্রাম্পের শুল্কঝড়ে কমবে জ্বালানি তেলের চাহিদা: ওপেক
  • নতুন পথনকশায় ১৪ মাসে ৬১ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে