বায়তুল মোকাররমে ঈদুল ফিতরের ৫ জামাত
Published: 26th, March 2025 GMT
প্রতি বছরের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মোকাররমে পর্যায়ক্রমে পাঁচটি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এক ঘণ্টা পরপর প্রথম চারটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে এবং সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে ৪৫ মিনিট পরে। বুধবার ইসলামিক ফাউন্ডেশন এক বিজ্ঞপ্তিতে বায়তুল মোকাররমের ঈদ জামাতের এ তথ্য জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঈদের প্রথম জামাত হবে সকাল ৭টায়। এতে ইমাম থাকবেন বায়তুল মোকাররম মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মুহিববুল্লাহিল বাকী। মুকাব্বির থাকবেন অবসরপ্রাপ্ত মুয়াজ্জিন হাফেজ মো.
দ্বিতীয় জামাত হবে সকাল ৮টায়। মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মিজানুর রহমান এ জামাতে ইমাম থাকবেন। মুকাব্বির থাকবেন প্রধান খাদেম মো. নাসির উল্লাহ।
সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে তৃতীয় জামাত। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুহাদ্দিস ড. মাওলানা মুফতি ওয়ালিউর রহমান খান এই জামাতের ইমাম থাকবেন। আর এ জামাতে মুকাব্বিরের দায়িত্বে থাকবেন মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।
চতুর্থ জামাত হবে সকাল ১০টায়। এ জামাতের ইমাম ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অনুবাদ ও সংকলন বিভাগের সম্পাদক ড. মুশতাক আহমদ। মুকাব্বির থাকবেন খাদেম মো. আলাউদ্দীন।
পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতি মো. আব্দুল্লাহ এ জামাতে ইমামতি করবেন। তার সঙ্গে মুকাব্বির হবেন মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।
এছাড়া বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, এই পাঁচ জামাতে কোনও ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মো. জাকির হোসেন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ঈদ র জ ম ত জ ম ত হব মসজ দ র ক ররম
এছাড়াও পড়ুন:
ইফতার মাহফিলের প্যান্ডেলে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ
জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করে দোয়া ও ইফতার মাহফিলের প্যান্ডেলে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে পাঁচবিবি পৌর শহরের দানেজপুর ডিগ্রি কলেজে মাঠে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় পাঁচটি জীবিত গরু ও একটি জবাই করা গরুর মাংস, তেল, মসলা-চাল লুট করা হয়েছে।
এ ঘটনায় আজ শনিবার পাঁচবিবি উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. ডালিম হোসেন (৫৫), জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম হোসেন (৩৭), পাঁচবিবি উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ফয়সাল আপেলকে (৩৬) আসামি করে একটি মামলা করা হয়েছে। পৌর শহরের দানেজপুর মহল্লার সোহেল রানা বাদী হয়ে মামলাটি করেন। তবে মামলার এজাহারে আসামিদের দলীয় পদবি উল্লেখ করা হয়নি। মামলায় অজ্ঞাতনামা ১৫০ থেকে ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে এখনো কোনো আসামি গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
পাঁচবিবি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাবেকুন নাহার শিখা বলেন, ‘আমার শিখা ট্রাস্ট ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করে শনিবার দোয়া ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করতে চেয়েছিলাম। এরই মধ্যে শুক্রবার রাতে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ডালিম হোসেনের নেতৃত্বে জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম হোসেন, উপজেলা ছাত্রদলের নেতা ফয়সালসহ বিপুলসংখ্যক লোকজন অস্ত্র নিয়ে দানেজপুর ডিগ্রি কলেজ মাঠে গিয়ে দেখভালের দায়িত্বে থাকা ফারুক হোসেনকে মারধর করেন। এতে তিনি প্রাণ ভয়ে পালিয়ে যান। এরপর ডালিম হোসেন ও তাঁর লোকজন ডেকোরেটের আসবাব ভাঙচুর করে তাতে আগুন দেন। সেখানে জবাই করতে আনা পাঁচটি গরু, একটি জবাই করা গরুর মাংস, তেল-মসলা লুট করে নিয়ে যান। খবর পেয়ে রাতেই থানা-পুলিশ ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছে।’
অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ডালিম হোসেন বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ছাত্র বিশাল হত্যা মামলার আসামি গোপনে ইফতার পার্টি করতে চেয়েছিলেন। এটি জানার পর বিক্ষুব্ধ লোকজন মিছিল নিয়ে শুক্রবার রাতে ইফতার মাহফিলের আয়োজন পণ্ড করে দিয়েছেন। আমাকেসহ বিএনপির লোকজনদের আসামি করা হয়েছে। আমি ঘটনার সময় ছিলাম না।’
জেলা ছাত্রদলের সাবেক নেতা শামীম হোসেন বলেন, পাঁচবিবি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাবেকুন নাহার শিখা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে একটি হত্যাসহ দুটি মামলার আসামি। তিনি ইফতার মাহফিলের নামে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের পুনর্বাসন করছিলেন। ক্ষুব্ধ লোকজন শিখার ইফতার মাহফিল আয়োজন পণ্ড করে দিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মইনুল ইসলাম বলেন, দোয়া ও ইফতার মাহফিল প্যান্ডেল হামলা-ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ ও ইফতারির পণ্য চুরির ঘটনায় থানা মামলা হয়েছে। পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে।