Samakal:
2025-03-29@16:25:43 GMT

এনসিপির ইফতারে আ.লীগ নেতা

Published: 26th, March 2025 GMT

এনসিপির ইফতারে আ.লীগ নেতা

জয়পুরহাটে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ইফতার অনুষ্ঠানে যোগ দেন আওয়ামী লীগ নেতা কাজী রাব্বীউল হাসান মোনেম। অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েই এনসিপিকে সমর্থন জানিয়ে বক্তব্য দেওয়ায় ফেসবুকে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। সোমবার শহরের স্বপ্নছায়া কমিউনিটি সেন্টারে এ আয়োজন করা হয়। 

আওয়ামী লীগ নেতা কাজী রাব্বীউল হাসান একসময় জয়পুরহাট-২ আসনের জাসদ মনোনীত সংসদ সদস্য ছিলেন। পরে জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। এরপর আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হন। ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনীতিবিদ, শহীদ, আহত পরিবারের সদস্য, পেশাজীবী, আলেম-ওলামা ও বিশিষ্টজনদের সম্মানে ইফতার ও দোয়া মাহফিলে বিভিন্ন দল ঘুরে আসা এই নেতার উপস্থিতি ও বক্তব্য দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা আহ্বায়ক হাসিবুল হক সানজিদ। 

ফেসবুকে সানজিদ ওই নেতার দুটি ছবি যুক্ত করে একটি পোস্ট দিয়েছেন। একটি সাবেক হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আরিফুর রহমানসহ দলটির জেলা নেতাদের সঙ্গে রাব্বীউল হাসান আছেন। অন্যটিতে এনসিপির ইফতার মাহফিলে রাব্বীউল হাসান বক্তব্য দিচ্ছেন।

পোস্টে সানজিদ উল্লেখ করেন, ‘জয়পুরহাটে জাতীয় নাগরিক পার্টির স্বঘোষিত সংগঠকদের নিমন্ত্রণে ইফতার মাহফিলে এসেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি ও জাসদের সাবেক সাংসদ কাজী রাব্বীউল হাসান মোনেম। একটি কুচক্রী মহল নাগরিক পার্টির নাম খারাপ করে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতেছে, এটা কি আপনাদের চোখে পড়বে না? আশা করি, সদুত্তর পাব। জয়পুরহাটের বুকে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন হতে দেব না ইনশাআল্লাহ।’

হাসিবুলের পোস্টে আজ বুধবার দুপুর ২টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত ৯২ জন লাইক ও ২৯ জন মন্তব্য করেছেন। কাফায়েত কাউছার রুমি মন্তব্য করেছেন, ‘কথিত সমন্বয়ক তুমি যাদের নিয়ে পথ চলছো সে ব্যাখ্যা দাও।’ 

মো.

রাশেদুল ইসলাম নামে একজন লিখেছেন, ‘যারা এই আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনে জড়িত তাদের কোনো রাজনৈতিক দলকে দেখতে চাই না। আশা করি শক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’ 

খালেদ নামে আরেকজন লিখেছেন, ‘কাকে কী বলব ভাই?’ 

এ বিষয়ে কাজী রাব্বীউল হাসান বলেন, ‘আমি আমন্ত্রণ পেয়ে গিয়েছিলাম। আমাকে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ দিলে নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টিকে স্বাগত জানিয়েছি। আমাকে যে কোনো দল দাওয়াত করলে সেখানে যাব। আমাকে নিয়ে অযথা অপ্রচার করা হচ্ছে।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা আহ্বায়ক হাসিবুল হক বলেন, কাজী রাব্বীউল হাসান আওয়ামী লীগ নেতা। এনসিপির ইফতার অনুষ্ঠানে তাকে নিমন্ত্রণ করে আনা হয়েছে। আওয়ামী লীগ নেতাদের পুনর্বাসন করতে ছাত্র-জনতা রক্ত দেয়নি। এটা সাংঘর্ষিক।

জাতীয় নাগরিক কমিটির জেলা সংগঠক ওমর আলী বলেন, বিশিষ্ট নাগরিক হিসেবে কাজী রাব্বীউল হাসানকে দাওয়াত করা হয়েছিল। তিনি ইফতার অনুষ্ঠানে এসেছিলেন। বক্তব্যও দিয়েছেন। তাঁর নাম আওয়ামী লীগের কমিটিতে নেই। এটা নিয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এনস প ইফত র আওয় ম ল গ র ব ব উল হ স ন অন ষ ঠ ন এনস প ইফত র আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

জুয়েলার্স ব্যবসায়ীদের জানমালের নিরাপত্তা চাইলেন বাজুস নেতারা

সরকারের কাছে জুয়েলার্স ব্যবসায়ীদের জানমালের নিরাপত্তা চেয়েছেন বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) নেতারা।

জুয়েলার্স সমিতির নেতারা বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই ও ব্যবসায়ীদের ওপর সরাসরি আক্রমণের ঘটনা বাড়ছে। পাশাপাশি জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের হত্যা, হত্যাচেষ্টা ও অপহরণ চেষ্টা তাঁদের জানমালের নিরাপত্তাহীনতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এমনকি বাসাবাড়িতেও জুয়েলারি ব্যবসায়ী ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা নিরাপদ বোধ করছে না। আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইয়ের ঘটনা বাড়তে পারে—এমন আশঙ্কা করছেন তাঁরা।

রাজধানীর মগবাজারে জুয়েলার্স সমিতির কার্যালয়ে আজ শুক্রবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সংগঠনের নেতারা। তাঁরা জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের জানমালের নিরাপত্তা প্রদানে সরকারের আরও সহযোগিতা চান।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জুয়েলার্স সমিতির সহসভাপতি মো. নিপনুল হাসান। আরও উপস্থিত ছিলেন জুয়েলার্স সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গুলজার আহমেদ, সহসভাপতি এম এ হান্নান আজাদ, সহসভাপতি মাসুদুর রহমান, জয়নাল আবেদীন, সমিত ঘোষ প্রমুখ। সমিতির পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানা যায়।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গত বুধবার (২৬ মার্চ) ভোর ৫টায় জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান অলংকার নিকেতনের কর্ণধার ও জুয়েলার্স সমিতির সহসভাপতি এমএ হান্নান আজাদের বাসায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয় ও ছদ্মবেশী ২৫-৩০ জনের একটি সংঘবদ্ধ ডাকাতদল হামলা চালায়। এ সময় তাঁর বাসা ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এমনকি এম এ হান্নান আজাদকে অপহরণের চেষ্টা করে। চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি বাজুসের কার্যনির্বাহী সদস্য মো. ওয়াহিদুজ্জামান সুজনের ওপর ও তাঁর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলার চেষ্টা হয়, যা স্থানীয় ব্যবসায়ীদের প্রচেষ্টায় ব্যর্থ হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ২৬ মার্চ পর্যন্ত প্রায় ২৩টি জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানে চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে ঢাকা মহানগরীতে ১১টি, আশুলিয়া সাভারে ১টি, মুন্সিগঞ্জে ১টি, খুলনায় ৪টি, কুমিল্লায় ১টি, পটুয়াখালীতে ২টি, ময়মনসিংহে ১টি, সিলেটে ১টি ও হবিগঞ্জে ১টি প্রতিষ্ঠানে চুরি ও ডাকাতি হয়। আশুলিয়া-সাভারে ডাকাতির সময় ডাকাতদের গুলিতে একজন জুয়েলারি ব্যবসায়ী নিহত হয়। বনশ্রীতে সোনা ছিনতাইয়ের ঘটনায় একজন জুয়েলারি ব্যবসায়ী গুরুতর আহত হয়েছেন। বিগত এক বছরে এই চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় দেশের ২৩টি জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান প্রায় ৪৪ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।

লিখিত বক্তব্যে রিপনুল হাসান বলেন, ‘জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় আছেন। এ জন্য জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানে সরকারের আলাদা দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সশস্ত্র প্রহরার পাশাপাশি রাজধানীসহ দেশের সব জেলার জুয়েলারি মার্কেটে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা দাবি জানাচ্ছি।’ এ ছাড়া জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানে চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই হওয়া অলংকার উদ্ধার এবং অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলন থেকে জুয়েলার্স সমিতির নেতারা অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা রোধে জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানের মালিকদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন, প্রতিষ্ঠানের ভেতরে ও বাইরে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা নিশ্চিত, নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিষ্ঠান বন্ধ, এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সোনা পরিবহনে প্রয়োজনে পুলিশের সহায়তা নেওয়ার পরামর্শ দেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দুইশ’ পরিবারকে ঈদ উপহার তুলে দিল জাবালে নূর ওয়েলফেয়ার
  • ট্রাম্প প্রশাসনের ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থী ধরপাকড়ের মধ্যেই কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ
  • আজীবন ন্যায়ের পক্ষে কথা বলেছেন সত্যেন সেন
  • স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের জানমালের নিরাপত্তা চায় বাজুস
  • জুয়েলার্স ব্যবসায়ীদের জানমালের নিরাপত্তা চাইলেন বাজুস নেতারা
  • পেপার ও পেপার বোর্ড আমদানিতে শুল্ক ৫ শতাংশ চান ব্যবসায়ীরা