ভারতের সঙ্গে এশিয়ান কাপের বাছাই ম্যাচ খেলে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। গতকাল শিলংয়ের জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করায় এক পয়েন্ট পায় হাভিয়ের কাবরেরার দল।

শিলং থেকে গুয়াহাটি-কলকাতা হয়ে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টার দিকে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পা রাখেন জামাল-হামজারা।

বাফুফে সূত্রের খবর, হামজা আজ রাতটা ঢাকাতেই থাকবেন। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামীকাল সকালেই তাঁর ইংল্যান্ডের বিমান ধরার কথা রয়েছে। বাকি খেলোয়াড়দের মধ্যে কেউ কেউ আপাতত নিজের ক্লাবে যাবেন। কেউ সরাসরি ঈদের ছুটিতে। অন্যরাও ক্লাব থেকে পরে ঈদের ছুটিতে যাবেন। ঈদের পরে আগামী ১১ এপ্রিল থেকে মাঠে গড়াবে ঘরোয়া ফুটবল, এর আগেই সবার ঢাকায় ফেরার কথা।

হামজা চৌধুরী আগামীকাল ইংল্যান্ডে ফিরে যাবেন.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

এক টাকায় ১৮ পণ্যের ঈদ উপহার 

গাইবান্ধায় ভিন্নধর্মী আয়োজন ‘এক টাকার বাজার’ নিয়ে অসহায়দের পাশে দাঁড়িয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন ‌‘আমাদের গাইবান্ধা’। শনিবার (২৯ মার্চ) শহরের ডিবি রোডের স্বাধীনতা রজতজয়ন্তী উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

এই বাজার থেকে জেলা সদরের বিভিন্ন এলাকার নিম্নবিত্ত ও সুবিধাবঞ্চিত ২৫০ জন ক্রেতা মাত্র ১ টাকায় একটি কুপন দিয়ে ১৮ ধরনের পণ্য কিনেছেন।

এক টাকার বাজার কর্মসূচির উদ্বোধন করেন গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক চৌধুরী মোয়াজ্জম আহম্মদ। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার নিশাত অ্যাঞ্জেলা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আমাদের গাইবান্ধা সংগঠনের সভাপতি সায়েম রহমানসহ উপদেষ্টা এবং সদস্যরা।

আরো পড়ুন:

১০ টাকার ঈদবাজারে ৪০০ পরিবারের মুখে হাসি

খোলা ট্রাক-পিকআপে ছুটছে ঘরমুখো মানুষ

এক টাকার প্রতীকী মূল্যে এ সব পণ্যের মধ্যে ছিল সোনালী মুরগি, আলু, বাঁধাকপি, বেগুন, চাল, সয়াবিন তেল, ডাল, সুজি, চিনি, নুডলস, সেমাই, গুড়া দুধ, লবণ, আলু, পেঁয়াজ, রসুন, মরিচ, লেবুসহ কয়েক পদের সবজি।

সরেজমিনে দেখা যায়, কেউ এক টাকার টোকেন নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন, কেউ আবার টোকেন দিয়ে বাজার করছেন। সবার চোখে মুখে আনন্দের ছাপ। ঈদ উপলক্ষে এক টাকায় প্রয়োজনীয় সবকিছু পেয়ে ভীষণ খুশি তারা।

এক টাকার বাজার করতে শহরের খানকা শরীফ এলাকা থেকে এসেছিলেন জহুরা বেগম ও আলেয়া বেগম। তারা জানান, প্রতিবছর এক টাকার বাজারের আয়োজন করা হয়। তিনি বলেন, ‘‘এক টাকাত  এতগুলা বাজার পায়া (পেয়ে) হামার খুব ভালো লাগতিছে।’’

এ বিষয়ে আয়োজক সদস্যরা জানান, প্রয়োজন অনুসারে বাছাই করে সেসব পণ্য দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে ‌‘আমাদের গাইবান্ধা’ সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মুসাভির রহমান রিদিম জানান, তাদের সংগঠনের অধিকাংশই শিক্ষার্থী। ঈদ উপলক্ষে তাদের এই বিশেষ আয়োজন। এর আগের কয়েকটি ঈদেও তারা এমন আয়োজন করেন। বাজার বসার আগে যারা সুবিধাবঞ্চিত তাদের খুঁজে এই টোকেন দেওয়া হয়।

আমাদের গাইবান্ধার সভাপতি সায়হাম রহমান বলেন, ভবিষ্যতেও এমন প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।

ঢাকা/মাসুম/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ