একুশে পদকপ্রাপ্ত লোকসঙ্গীত শিল্পী সুষমা দাশ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। বুধবার (২৬ মার্চ) বিকেলে সিলেটের হাওলাদার পাড়ার নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর। বেশ কিছু দিন ধরে বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন অসুস্থতায় ভুগছিলেন এই গুণী কণ্ঠশিল্পী।

পরিবারসূত্রে জানা যায়, গত ১৩ মার্চ গুরুতর অসুস্থ হয়ে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে চলে যান সুষমা দাশ। এরপর অবস্থার অবনতি হলে তাকে বাসাতে রাখা হয়। বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী সুষমা দাশ বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিম, বাউল দুর্বিন শাহ, বাউল আলী হোসেন সরকার, বাউল কামাল পাশাসহ দেশের প্রবীণ শিল্পীদের সঙ্গে গান গেয়েছেন।

লোকসঙ্গীতে অবদানের জন্য ২০১৭ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন সুষমা দাশ। এছাড়াও অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন লোকসঙ্গীতের এই সাধক শিল্পী।

সুষমা দাশ ১৯২৯ সালে সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ জেলার শাল্লা উপজেলার পুটকা গ্রামে জন্ম নেন। এই মহিয়সীর বাবা প্রখ্যাত লোককবি রশিকলাল দাশ এবং মা লোককবি দিব্যময়ী দাশ। ছয়-ভাইবোনের মধ্যে সুষমা দাশ ছিলেন সবার বড়। তার ছোট ভাই একুশে পদকপ্রাপ্ত পণ্ডিত রামকানাই দাশ ছিলেন শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে এক মহাপুরুষ। এছাড়াও পরিবারের অনেক সদস্যই সঙ্গীতের সঙ্গে জীবনযাপন করছেন। তার মৃত্যুতে সিলেটের সংস্কৃতি অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

আজ বুধবার (২৬ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য লাশ আনা হয়। 
 

ঢাকা/নুর/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

কুয়েটে গ্রাফিতি ও দেয়াললিখনে উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি আন্দোলনকারীদের

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) দেয়ালে দেয়ালে আঁকা গ্রাফিতিতে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি করেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ শুক্রবার বিকেলে ‘শোকের গ্রাফিতি এক দফার ডাক’ শিরোনামে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

কর্মসূচির অংশ হিসেবে ক্যাম্পাসজুড়ে নানা ধরনের গ্রাফিতি ও দেয়াললিখন করা হয়। এতে উপাচার্যের পদত্যাগের এক দফা দাবি, শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলার নিন্দা, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধসহ বিভিন্ন দাবি উত্থাপন করা হয়।

কুয়েটে দেয়ালে দেয়ালে আঁকা গ্রাফিতিতে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি জানানো হয়। খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ১৮ এপ্রিল

সম্পর্কিত নিবন্ধ