তিন শহীদ বোনের স্মৃতি নিয়ে শুরু শিল্প প্রদর্শনী
Published: 26th, March 2025 GMT
মুক্তিযুদ্ধে সাধারণ মানুষের আত্মত্যাগ, যাঁরা যুদ্ধের নির্মম বাস্তবতার শিকার হয়েছিলেন, তাঁদের প্রতীক হিসেবে তিন বোনের করুণ পরিণতির বিস্মৃত গল্পগুলো নিয়ে শুরু হলো শিল্প প্রদর্শনী ‘ত্রিবেণী’। জাতীয় শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালার গ্যালারিতে আজ বুধবার দুপুর থেকে শুরু হওয়া এ প্রদর্শনীতে উঠে এসেছে আসমা, নাজমা ও ফাতেমা নামে তিন বোনের একসঙ্গে মৃত্যুর মর্মান্তিক ঘটনা। ১৯৭১ সালের ৩ এপ্রিল চট্টগ্রামে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর মর্টার শেলের আঘাতে প্রাণ হারান এই তিন বোন। সেই হামলায় তাঁদের সঙ্গে প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৬ জন।
বুধবার দুপুরে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, আসমা বেগম, নাজমা বেগম ও ফাতেমা বেগম একসঙ্গে শাহাদাত বরণ করেন। তাঁদের পরিবারের অন্য সদস্যরাও আহত হয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধের এমন আত্মত্যাগের ঘটনাগুলোও ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করলে জুলাই বিপ্লবের শহীদ আবু সাঈদের প্রতি যথেষ্ট সম্মান প্রদর্শন করা হবে।
এই প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে ততোধিক নামে একটি সংস্থা। কিউরেট করেছেন তরুণ শিল্পনির্দেশক ওয়ারেসু ফাওমি। তিনি বলেন, এই প্রদর্শনী মুক্তিযুদ্ধের সময় ত্যাগ স্বীকার করা মানুষের অজানা গল্পের প্রতিফলন। এটি শুধু শিল্পের জন্য নয়, বরং বিস্মৃত স্বপ্ন, সাহস ও স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর অনন্য প্রয়াস। ফাওমি জানান, এই প্রদর্শনীতে উপস্থাপন করা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ওই তিন বোনের ব্যবহৃত পোশাক।
শহীদ তিন বোনের বড় ভাই বিশিষ্ট জনস্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞ এবং বাংলাদেশ পাবলিক হেলথ ফাউন্ডেশনের (পিএইচএফবিডি) প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক মুজাহেরুল হক এই প্রদর্শনীর উদ্যোগ নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আগের প্রজন্মের ত্যাগের কথা কি আমরা মনে রেখেছি? মুক্তিযুদ্ধের সময়ের প্রথম দিকের শহীদ আমার তিন বোন। কিন্তু কোনো দিন তাঁদের কথা কেউ তুলে ধরেনি। এই প্রথমবারের মতো তাঁদের স্মৃতি স্মরণ করা হচ্ছে জনসমক্ষে।’
ত্রিবেণী প্রদর্শনীতে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনাদের মর্টার শেলের হামলায় একসঙ্গে শহীদ হওয়া তিন বোনের স্মৃতি তুলে ধরা হয়েছে চিত্রকলা, ইনস্টলেশন, ভিজ্যুয়াল মাধ্যম এবং তাদের ব্যবহৃত পোশাকের প্রদর্শনীর মাধ্যমে। স্থান পেয়েছে মোট ৪৫টি শিল্পকর্ম।
বক্তব্য দেন শহীদ তিন বোনের বড় ভাই বিশিষ্ট জনস্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞ এবং বাংলাদেশ পাবলিক হেলথ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক মুজাহেরুল হক.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
আংটি পরে জর্জিনা লিখলেন ‘আমিন’, তবে কি বিয়ে করছেন রোনালদো
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো এবং জর্জিনা রদ্রিগুয়েজ একসঙ্গে বাবা ও মা হয়েছেন। এই জুটির একসঙ্গে দুটি সন্তান আছে। তারা হলো- আলানা মার্টিন ও বেলা এসমেরেল্ডা। তবে দীর্ঘদিন প্রেম করার পরও আনুষ্ঠানিক বিয়ে করেননি তারা। পাঁচ সন্তানের বাবা রোনালদো এবার বিয়েটা করেই ফেলবেন কিনা এমন প্রশ্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাড়া ফেলেছে।
কারণ তার আর্জেন্টাইন সঙ্গী জর্জিনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে একটি ছবি পোস্ট করেছেন। তাতে তার বাঁ-হাতের দ্বিতীয় আঙুলে আংটি পরা আছে। বাগদান হলেই মূলত ওই আঙুলে আংটি পরতে দেখা যায়।
জর্জিনা ওই ছবি পোস্ট করে আরবি হরফে ক্যাপশন দিয়েছেন, ‘এবং বদনজর থেকে আমাদের দূরে রাখুন, আমিন।’ তার এই ক্যাপশন আরও বেশি সাড়া ফেলেছে। এর আগে রোনালদো দ্রুতই বিয়ের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। একে একে দুই মিলিয়ে দিতে তাই সময় নেননি ভক্তরা।
রোনালদো কিছুদিন আগে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘জর্জিনাকে আমি বিয়ে করছি, এটা ১০০০ ভাগ নিশ্চিত। হয়তো সেটা এক বছরে, ছয় মাসে কিংবা এক মাসেও হতে পারে। এটা ঘটবেই।’ তবে সম্প্রতি রোনালদো ও জর্জিনা জুটি হুমকির মুখে পড়েছেন। এই বার্তা সে কারণেও হতে পারে।
রোনালদোর বিয়ের গুঞ্জনের মধ্যে তাই ভিন্ন খবরও সামনে এসেছে। অন্য সংবাদ মাধ্যম দাবি করেছে, বিয়ে নয় রোনালদোর নজর আপাতত এক হাজার গোলের দিকে। যে সংখ্যা থেকে এখনো তিনি ৬৭ গোল পিছিয়ে। রোনালদো এবং জর্জিনা প্রায় ১০ বছর ধরে প্রেম করছেন। ২০১৬ সালে তাদের প্রেমের পর থেকে একসঙ্গে থাকছেনও।