ঈদে আসছে শাকিবের ‘অন্তরাত্মা’, প্রকাশ পেল প্রথম গান
Published: 26th, March 2025 GMT
শুরু থেকেই শোনা যাচ্ছিল, এই ঈদে শাকিব খানের একটি সিনেমাই মুক্তি পাবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সমীকরণ উল্টো হয়ে হলে। মুক্তির মিছিলে যোগ হয়েছে শাকিব অভিনীত আরেক সিনেমা ‘অন্তরাত্মা’। ফলে ‘বরবাদ’ সিনেমার সঙ্গে নিজেরই প্রতিযোগিতা বাড়ল শাকিবের। আজ মুক্তি পেয়েছে সিনেমার টাইটেল গান ‘অন্তরাত্মা’।
গীতিকবি রবিউল ইসলাম জীবনের লেখা গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন ভারতের জনপ্রিয় শিল্পী জুবিন নটিয়াল। ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্তের সংগীতায়জনে গানটিতে রীতিমত দেখা গেছে শাকিব খান ও দর্শনা বণিকের প্রেমের কিছু অংশ।
২০২১ সালে অনেকটা ঢাকঢোল পিটিয়ে ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খানকে নিয়ে ‘অন্তরাত্মা’ সিনেমার শুটিং শুরু হয়। মহরতের আগেই সিনেমাটি সে বছর রোজার ঈদে মুক্তির পরিকল্পনায় ছিল বলে নিশ্চিত করেন নির্মাতা ওয়াজেদ আলী সুমন। বিভিন্ন কারণে তা হয়ে ওঠেনি। সবশেষে গেল রোববার বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ডে প্রদর্শনের জন্য পাঠানো হয়। সেখান থেকে ছাড়পত্র পেয়েই এখন ঈদে মুক্তির প্রস্ততি চলছে ‘অন্তরাত্মা’ টিমের।
‘অন্তরাত্মা’ সিনেমাটির মুক্তির প্রসঙ্গে প্রযোজক সোহানী হোসেন বলছেন, ‘দীর্ঘ ৪ বছরের প্রতীক্ষার অবসান হচ্ছে। অবশেষে আমরা সিনেমাটি দর্শকদের সামনে নিয়ে আসছি। এটা ঈদুল ফিতরেই মুক্তি পাবে। সেন্সর সার্টিফিকেশন বোর্ডের সদস্যরা সিনেমাটি দেখে প্রশংসা করেছে। সেইসঙ্গে আমরা মুক্তির অনুমতি পেয়েছি। এখন হলমালিক থেকে শুরু করে সবার সঙ্গে কথা হচ্ছে। আশাকরি ঈদে সবার সঙ্গে অনন্দ ভাগ করে নিতে পারবো।’
সিনেমায় শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয় করেছেন কলকাতার অভিনেত্রী দর্শনা বণিক। সোহানী হোসেনের মূল গল্পে ফেরারী ফরহাদের চিত্রনাট্যে ‘অন্তরাত্মা’র অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করছেন শাহেদ শরীফ খান, অরুণা বিশ্বাস, ঝুনা চৌধুরী, এস এম মহসীন, মারুফ।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
শিল্পকলায় অনুষ্ঠিত হলো ‘সাধুমেলা’
মানবিকতা ও ঐক্যের শাশ্বত বার্তা সমাজের প্রতিটি হৃদয়ে পৌঁছে দিতে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের আয়োজনে গত ১৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় একাডেমির নন্দনমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয়েছে সাধুমেলা “মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি”।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের পরিচালক মেহজাবীন রহমান। সাধুমেলায় শুরুতে সমবেত কণ্ঠে লালনের ‘ভক্তিমূলক গান’ পরিবেশিত হয়। লালনসংগীত পরিবেশন করেন ফকির শামসুল সাঁই, ‘তিন পাগলে হলো মেলা’ পরিবেশন করেন মেহেরুন নেসা পূর্ণিমা। উপস্থাপনা করেন শেখ জামাল উদ্দিন টুনটুন। শ্রীকৃষ্ণ গোপাল পরিবেশন করেন ‘লীলার যার নাইরে সীমা’ এবং ‘দেখো দেখো মনো রায় হয়েছে’। গান পরিবেশন করেন দিপা মণ্ডল। ওমর আলী পরিবেশন করেন ‘আচলা ঝোলা তিলক মালা’। লালনসংগীত পরিবেশন করেন মোঃ মিরাজ সিকদার ‘আমি ওই চরণে দাসের যোগ্য নই’, আকলিমা ফকিরানী এবং লাভলী শেখ ‘রসো প্রেমে ঘাট ভাড়িয়ে তরী বেওনা’।
পরিবেশনা নিয়ে মঞ্চে আসেন মোঃ সমির হোসেন, ফারজানা আফরিন ইভা পরিবেশন করেন ‘আমায় রাখিলেন সেই কূপজল করে’ এবং লালনের গান ‘মন তোর এমন জনম আর কী হবে রে’ পরিবেশন করেন মোঃ মুক্তার হোসেন। এরপর লালনসংগীত পরিবেশন করেন মোসাঃ লিনা খাতুন ‘কোথায় সে অটল রূপে বারাম দেয়’, মনিরুল ইসলাম এবং আবু শাহীন খান ‘চিরদিন পুষলাম এক অচিন পাখি’। সবশেষে সমবেত কণ্ঠে পরিবেশিত হয় লালনের গান।