তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি ও বৃষ্টির জন্য কিশোরগঞ্জে ইসতিসকার নামাজ আদায় করা হয়েছে। বুধবার (২৬ মার্চ) বেলা ১১টায় সদর উপজেলার কর্শাকড়িয়াইল ইউনিয়নের চিকনীরচর মধ্যপাড়া ভুরভুরিয়া বিলের উত্তর পাশে পতিত জমিতে নামাজ ও দোয়ার আয়োজন করা হয়।

নামাজে ইমামতি করেন স্থানীয় মসজিদে ইমাম মাওলানা হেলাল উদ্দিন দেওবন্দী। নামাজ শেষে খুতবা পাঠসহ সারা দেশে বৃষ্টির জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়।

চিকনীরচর মধ্য জামে মসজিদের সেক্রেটারি আনোয়ার হোসাইন বলেন, ‘‘তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি ও বৃষ্টির জন্য এলাকাবাসী ইসতিসকার নামাজের আয়োজন করেছিলেন। নামাজ ও দোয়া অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন অংশ নেন।’’

ঢাকা/রুমন/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব ষ ট র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

চায়ের দেশে মিনি সাজেক

চোখ জুড়ানো মন ভোলানো সবুজ চা বাগান। আছে টিলার পরে টিলা। আকাশের নীল দিগন্তে মিশে আছে সবুজের রেখা। মাঝখানে লাল টিলায় ছোট্ট ঘর। দেখে মনে হয় চায়ের দেশে এক মিনি সাজেক। ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের অপেক্ষায় মৌলভীবাজারের এই মিনি সাজেক।

প্রকৃতির এমন দৃশ্য রয়েছে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার হিঙ্গাজিয়া চা বাগানের ভেতরের ১২নং সেকশনে। এখানে আরো রয়েছে টিলার ফাঁকে স্বচ্ছ জলের লেক।

মিনি সাজেক দেখার জন্য ভ্রমণ পিপাসুরা ছোটেন স্থানটিতে। দৃশ্য দেখে যাতায়াতের কষ্ট ভুলে যান তারা। নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি চায়ের রাজ্যে মৌলভীবাজারে লুকিয়ে থাকা মনোহরি কত দৃশ্য ধরা পড়ে ভ্রমণ পিপাসুদের চোখে। 

সরেজমিনে মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার ব্রহ্মণবাজারের কানু পট্টি হয়ে হিঙ্গাজিয়া চা বাগানের ভেতরে প্রায় ৩ কিলোমিটার সবুজ টিলার বুক পেরিয়ে ১২নং সেকশনে গিয়ে কথা হয় অনেকের সাথে। তারা বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হওয়ায় পর্যটকরা মিনি সাজেক দেখার জন্য পড়ন্ত বিকেলে এখানে আসেন।

বেড়াতে আসা একই বাগানের বাসিন্দা স্বপন মিশ্র বলেন, “হিঙ্গাজিয়া বাগানের ভেতরের ১২নং সেকশনের এই সুন্দরতম দৃশ্য দেখে অনেকেই মিনি সাজেকের স্বাদ অনুভব করেন। তাই এলাকায় এটি মিনি সাজেক হিসেবে প্রকাশ পাচ্ছে।”

পড়ন্ত বিকেলে দেখা হয় পর্যটক শুভ যাদবের সাথে। তিনি বলেন, “এখানে এলে মনে সাজেকের ভাব আসে। আকাশের সাথে মেঘের ভেলা বা কুয়াশার মিতালী। প্রকৃতির এমন দৃশ্য দর্শনার্থীদের মন চুরি করে।”

এসময় কথা হয় ভ্রমণ পিপাসু কামরানের সাথে। তিনি বলেন, “মিনি সাজেক মনে করে এসে খুব ভালো লেগেছে। দেখার মত সুন্দর একটা স্পট। যারা ঈদের ছুটিতে মৌলভীবাজার চায়ের দেশে বেড়াতে আসবেন, তারা মিনি সাজেক দেখে যেতে পারেন।”

হিঙ্গাজিয়া চা বাগানের ব্যবস্থাপক মাসুম চৌধুরী বলেন, “চা বাগান হচ্ছে সংরক্ষিত এলাকা। এখানে জনসাধারণের যাতায়াতে সীমাবদ্ধতা রয়েছে। স্থানটিতে পানি নিষ্কাশনের জন্য লেক খনন করা হয়েছিল। এরপর লোকজনের আসা যাওয়াতে এটি হয়ে গেছে মিনি সাজেক। পর্যটক এলে আমরা নিষেধ করতে পারি না।”

ঢাকা/আজিজ/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ