স্বাধীনতা দিবসে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দিয়ে ‘পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার চেষ্টার’ অভিযোগে তিনজনকে আটক করেছে আশুলিয়া থানা পুলিশ। আজ বুধবার সকাল ১১টার দিকে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ কমপ্লেক্সের ভেতর থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটকরা হলেন- মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম লীগের মহাসচিব সিরাজগঞ্জ জেলার সেলিম রেজা (৪৭), মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম (৫০) ও আশুলিয়ার দক্ষিণ গাজীরচট সোহেল পারভেজ (৪১)।

জানা গেছে, সকাল সাড়ে ১১টার দিকে জাতীয় স্মৃতিসৌধের শহীদ বেদিতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান কয়েকজন। এ সময় তারা হাতে লাল পতাকা নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন। পরে উপস্থিত জনতা তাদের ধাওয়া দিয়ে কয়েকজনকে মারধর করে। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আওয়ামী লীগ সন্দেহে ওই তিনজনকে আটক করে। 

ঢাকা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) শাহিনুর কবির বলেন, উস্কানিমূলক স্লোগান দিয়ে মহান স্বাধীনতা দিবসে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করছিল কয়েকজন। এ সময় তিনজনকে আটক করে আশুলিয়া থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তারা সবাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আওয় ম ল গ

এছাড়াও পড়ুন:

চিত্রশিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়িতে আগুনের ঘটনায় তদন্ত কমিটি

বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রায় মোটিফ বানানো চিত্রশিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়িতে আগুন লাগার ঘটনায় ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসন। এতে মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাজমুল হোসেন খানকে প্রধান করা হয়েছে।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এদিকে, ওই ঘটনায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করার তথ্য দিয়েছে পুলিশ। 

আরো পড়ুন:

হাসপাতালে পবিপ্রবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু, তদন্ত কমিটি গঠন

খুলনার দিঘলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান হায়দারের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) রাত আড়াইটার দিকে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গড়পাড়া ঘোষের বাজার এলাকায় অবস্থিত মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়িতে আগুন দেয় সন্ত্রাসীরা বলে অভিযোগ ওঠে। আগুনে পুড়ে যায় বাড়িটির টিনশেড ঘরে রাখা মানবেন্দ্র ঘোষের দীর্ঘদিনের শিল্পকর্ম, একটি মোটরসাইকেল ও আসবাবপত্র।

এবার ঢাকায় বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুখের আদলে ‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার মোটিফ’ বানানো হয়। এলাকাবাসীর ধারণা, মোটিফ তৈরির কাজে যুক্ত থাকার কারণে মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়িতে আগুন দেওয়া হতে পারে। 

ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত আড়াইটার দিকে বাড়িতে থাকা দোকানের কর্মচারীরা আগুন লেগেছে বলে চিৎকার করতে থাকেন। পরে আশপাশের লোকজন উপস্থিত হয়ে আগুন লেভানোর চেষ্টা করে। ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে এসে প্রায় দেড় ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

চিত্রশিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষ দাবি করেন, ‍পহেলা বৈশাখের পর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং ইনডাইরেক্ট ভাবে তিনি হুমকির মধ্যে ছিলেন। বিষয়টি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানোর পর মঙ্গলবার রাতে সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন তিনি।

তিনি বলেন, “নববর্ষের শোভাযাত্রায় শেখ হাসিনার যে মুখাকৃতি তৈরি হয়েছে সেটাতে অনেকেই জড়িত ছিল। এটি প্রশাসনের চাহিদার জন্য করা হয়েছে। কোনো শিল্পী নিজ উদ্যোগে সেগুলো তৈরি করেনি। এখানে শিল্পীদের কোনো দায় নেই। প্রশাসন যেভাবে নির্দেশনা দিয়েছে শিল্পীরা সেভাবেই কাজ করেছে।”

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার মোছা. ইয়াছমিন খাতুন। তিনি বলেন, “এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করা হয়েছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।”

মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লা বলেন, “আমরা গতকাল রাতে জানতে পেরেছি চিত্রশিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুনের কারণ এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাজমুল হোসেন খানকে প্রধান করে ছয় সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে।”

ঢাকা/চন্দন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চট্টগ্রামে যুবলীগের ঝটিকা মিছিল, ফুটেজ দেখে আটক ৩
  • বটির কোপে স্ত্রীকে ও ছেলেকে শ্বাসরোধে হত্যা, আদালতে জবানবন্দি
  • বটি কোপে স্ত্রীকে ও ছেলেকে শ্বাসরোধে হত্যা, আদালতে জবানবন্দি
  • স্ত্রীকে দায়ের কোপে ও সন্তানকে শ্বাসরোধে হত্যা, আদালতে আসামির স্বীকারোক্তি
  • চিত্রশিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়িতে আগুনের ঘটনায় তদন্ত কমিটি