বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছাত্রদল নেতাকে বহিষ্কার
Published: 26th, March 2025 GMT
শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় রাজশাহীর বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছাত্রদল নেতা শিবলী নোমানী ইসলাম নিলয়কে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে।
এছাড়া তিন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে সাময়িক বহিষ্কার এবং দুই শিক্ষার্থীকে প্রাথমিকভাবে সতর্ক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন ও শৃঙ্খলা কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী শিবলী নোমানী ইসলাম নিলয়ের আচরণ হয়ে উঠেছিল অত্যন্ত বেপরোয়া।
শাস্তি পাওয়া অন্য তিন শিক্ষার্থী হলেন- আইন ও মানবাধিকার বিভাগের শিক্ষার্থী ফারারুজ্জামান বাধন, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের নূর-ই আলম সিদ্দিকী ও রিজওয়ান তানভীর মীম।
এর মধ্যে, বাধনকে দুই সেমিস্টার ও নূর-ই আলমকে এক সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। রিজওয়ানের পড়াশোনা শেষ হয়ে যাওয়ায় তার সনদ ছয়মাসের জন্য অকার্যকর ঘোষণা করা হয়েছে।
এছাড়া ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী সোয়াইব হোসেন ও মুরশিদা মেহেরিন হাসিকে কঠোরভাবে সতর্ক করা হয়েছে।
ছাত্রদল নেতা শিবলী নোমানী ২০২৩ সালের সামার সেমিস্টারে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। তার বাবা শফিকুল ইসলাম রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবলী ছাত্রদলের কমিটি করার চেষ্টা করছিলেন।
জানা গেছে, বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ। তারপরও ছাত্রদল নেতা শিবলী নোমানী সেখানে রাজনীতি শুরু করেছিলেন। তিনি শিক্ষার্থীদের দিয়ে জোরপূর্বক ছাত্রদলের ফরম পূরণ করতে বাধ্য করতেন। এছাড়া কথায় কথায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, বিচার বিভাগ এমনকি পুলিশ-প্রশাসনকে কটূক্তি করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন শিবলী। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছিল।
ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী না হলেও গত ২৮ নভেম্বর শিবলী ওই বিভাগের একটি অনুষ্ঠানে যান এবং এক শিক্ষার্থীকে হুমকি-ধামকি দেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ১ ডিসেম্বর ক্যাম্পাসে ওই শিক্ষার্থীকে মারধর করা হয়। এতে ওই শিক্ষার্থীর চোয়ালের হাড় ভেঙে যায়। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে ওই শিক্ষার্থীর চিকিৎসায় বাধা দেওয়া হয়। পরবর্তীতে এ ঘটনায় চন্দ্রিমা থানায় একটি মামলা করে আহত শিক্ষার্থীর পরিবার।
এ মামলায় জামিন না দিলে একজন ম্যাজিস্ট্রেটকে নিয়েও ফেসবুকে আপত্তিকর স্ট্যাটাস দেন শিবলী নোমানী। এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তার বিরুদ্ধে এ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মো.
এ বিষয়ে কথা বলতে বুধবার (২৬ মার্চ) শিবলী নোমানী ইসলাম নিলয়ের মোবাইলে কয়েকদফা ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
ঢাকা/কেয়া/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ত রদল ন ত ব যবস ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
পার্বত্য উপদেষ্টার সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতসহ চার বিদেশি
পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রকৃতি ও সংস্কৃতির সাথে পরিচিত হওয়ার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতসহ চার বিদেশি প্রতিনিধিদল শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বান্দরবান জেলা পরিদর্শনে আসেন।
প্রতিনিধিদল বান্দরবানের নীলাচলে এসে পৌঁছালে সেখানে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূত (অব.) সুপ্রদীপ চাকমার সঙ্গে তারা সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন।
পার্বত্য চট্টগ্রামের অপার সৌন্দর্যের বিষয়ে উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা প্রতিনিধিদলকে ধারণা দেন এবং বান্দরবান জেলার পর্যটন স্পট নীলাচল, মেঘলা ও পর্যটনের রূপবৈচিত্র্যময় অপার সৌন্দর্যের ভিউগুলো তাদের ঘুরিয়ে দেখান।
আরো পড়ুন:
‘নয় মাসে অর্জন করেছি এক চিমটি ঘৃণা, একমুঠো অবিশ্বাস ও এক আকাশ ভালোবাসা’
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিবের সাক্ষাৎ
আমাদের সম্পর্ক হিমায়িত ছিল, বাধা অতিক্রম করতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা
ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, ইতালিয়ান, নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের প্রতিনিধিদের মধ্যে ইইউই অ্যাম্বাসেডর মাইকেল মিলার ও মিজ ক্যাটেরিনা মিলার, ইতালিয়ান নাগরিক আন্তেনিও আলেসান্দ্রো ও পাওলা বেনিফিওর এবং ডাচ আইনজীবী এন্ড্রে কার্স্টেন্স উপস্থিত ছিলেন।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, উপদেষ্টা পার্বত্য চট্টগ্রামে পাঁচ দিনের সরকারি সফরে বৃহস্পতিবার বান্দরবান এসে পৌঁছান।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে পার্বত্য উপদেষ্টার সহধর্মিণী নন্দিতা চাকমা, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক থানসামা লুসাই, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ কুমার মহোত্তম, যুগ্ম সচিব কঙ্কন চাকমা, বান্দরবান জেলা পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহ কাওছার, উপদেষ্টার একান্ত সচিব (উপসচিব) খন্দকার মুশফিকুর রহমান, সহকারী একান্ত সচিব (সিনিয়র সহকারী সচিব) শুভাশিস চাকমা, বান্দরবান জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/হাসান/সাইফ