একাত্তরে অর্জিত স্বাধীনতা রক্ষার যে লড়াই তার অন্যতম ধাপ ছিল চব্বিশ- এমন মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তিনি বলেন, একাত্তরে অর্জিত স্বাধীনতাকে রক্ষা করার লড়াইয়ের অন্যতম ধাপ হচ্ছে চব্বিশ। রক্তক্ষয়ী গণঅভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে আমরা তা অর্জন করেছি। বাংলাদেশের এই স্বাধীনতা অক্ষুণ্ণ থাকবে। স্বাধীন ভূখণ্ডে আর কখনোই কেউ পরাধীনতা বোধ করবে না।

আজ বুধবার সকালে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

আসিফ মাহমুদ বলেন, ১৯৭১ সাল একটি স্বাধীন দেশের জন্ম দিয়েছে। আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। আমরা মনে করি, ২০২৪ সেই স্বাধীনতাকে রক্ষা করেছে।

তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার যে কনসেপ্ট, তা বিগত ১৬ বছরে নষ্ট করা হয়েছে। আমরা মনে করি, দেশের প্রতিটি নাগরিক যতক্ষণ না মনে করবে- সে স্বাধীন, তার বাক-স্বাধীনতা আছে, ততক্ষণ পর্যন্ত ভূখণ্ড স্বাধীন হয়ে কোনো লাভ নেই। চব্বিশ সেই স্বাধীনতাকে রক্ষা করেছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ব ধ নত গণঅভ য ত থ ন স ব ধ নত

এছাড়াও পড়ুন:

১০ টাকার ঈদবাজারে ৪০০ পরিবারের মুখে হাসি

কিশোরগঞ্জে মাত্র ১০ টাকায় বাজারে মিলছে এক লিটার সোয়াবিন তেল, এক কেজি পোলাও চাল, এক কেজি চিনি, এক কেজি পিঁয়াজ, এক কেজি আলু, এক হালি ডিম কিংবা ভালো মানের সেমাই। 

ঈদকে সামনে রেখে কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলায় ব্যতিক্রমী এমন দৃশ্য চোখে পড়ে।

উপজেলা সদরের আনন্দ বাজারে টেবিলের ওপর থরে থরে সাজানো নানা সামগ্রী। এসব কেনার জন্য বিকেল থেকে ক্রেতাদের লম্বা লাইন। হাতের টোকেন দেখিয়ে আনন্দ বাজার থেকে ১০ টাকায় প্রতিটি পণ্য কিনে নিচ্ছে ক্রেতারা। ৭০ টাকায় ব্যাগভর্তি বাজার নিয়ে বাড়িতে ফিরছেন। 

আরো পড়ুন:

খোলা ট্রাক-পিকআপে ছুটছে ঘরমুখো মানুষ

রাজশাহীতে ঈদের প্রধান জামাত সকাল ৮টায়

সবার মাঝে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে দরিদ্র মানুষের জন্য নামমাত্র দামে এমন বাজারের আয়োজন করে ‘করিমগঞ্জ মানবিক সংগঠন’। তারা প্রতিটি আইটেম ১০ টাকা করে ৭০ টাকায় কিনতে পারছেন পোলাও চাল, চিনি, সেমাই, তেল, পেঁয়াজ, আলুসহ ৭টি পণ্য। যা বাজার থেকে কিনতে গুনতে হতো অন্তত ৬০০ টাকা। আর হাতের কাছে এমন সুযোগ পেয়ে খুশি সাধারণ মানুষ।

ঈদ বাজারে আসা ষাটোর্ধ্ব রমজান মিয়া জানান, এমন ব্যতিক্রম উদ‌্যোগে ঈদবাজার তারা আর কখনো দেখেননি। ঈদের আগে ৬০০ টাকার পণ্য নামমাত্র মূল্যে কিনতে পেরে তারা অনেক খুশি।

১০ টাকার ঈদবাজারের আয়োজক ইয়াসিন আরাফাত জানান, পকেটের খরচ বাঁচিয়ে এবং বন্ধু-বান্ধবসহ স্বচ্ছল ব্যক্তিদের কাছ থেকে সহযোগিতা নিয়ে গত ৭ বছর ধরে ঈদের সময় এমন মানবিক বাজার বসাচ্ছেন তারা। এলাকার দরিদ্র মানুষ চিহ্নিত করে আগে বাড়িতে গিয়ে তাদের হাতে টোকেন তুলে দেন সংগঠনের কর্মীরা। ওই টোকেন নিয়ে মানবিক বাজার থেকে নামমাত্র দামে ঈদসামগ্রী কেনার সুযোগ পান দরিদ্র মানুষ।

এবার ১০ টাকায় ঈদবাজার কেনার সুযোগ পান ৪০০ মানুষ। আগামী ঈদে এক হাজার মানুষ এমন সুযোগ পাবেন বলে জানান আয়োজকরা।

ঢাকা/রুমন/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ