লক্ষ্মীপুরে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের (২৩) অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলার প্রধান আসামি জামাল আহমেদ সনিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যায় নোয়াখালী জেলা শহরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জামাল আহমেদ জেলার রামগতি উপজেলার চরগাজী ইউনিয়নের টুমচর গ্রামের শফি আলমের ছেলে। র‌্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক (ভারপ্রাপ্ত) মিঠুন কুমার কুণ্ডু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার ওই গৃহবধূ প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘর থেকে বের হলে জামাল তাকে ধর্ষণ করে। এ সময় ভুক্তভোগী ডাক-চিৎকার করলে অভিযুক্ত পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় রাতে ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে মামলা করেছেন।

আরো পড়ুন:

রাজশাহীতে ভগ্নিপতিকে হত্যায় সম্বন্ধি গ্রেপ্তার

খুলনায় সীমা হত্যা নাটকে এসআই শাহ আলমের কারাদণ্ড

রামগতি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কবির হোসেন বলেন, ‘‘ধর্ষণের অভিযোগে এক গৃহবধূ মামলা করেছেন। পরে অভিযান চালিয়ে র‌্যাব তাকে গ্রেপ্তার করেছে। আসামিকে থানায় হস্তান্তর করা হবে।’’

ঢাকা/লিটন/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

১০ টাকার ঈদবাজারে ৪০০ পরিবারের মুখে হাসি

কিশোরগঞ্জে মাত্র ১০ টাকায় বাজারে মিলছে এক লিটার সোয়াবিন তেল, এক কেজি পোলাও চাল, এক কেজি চিনি, এক কেজি পিঁয়াজ, এক কেজি আলু, এক হালি ডিম কিংবা ভালো মানের সেমাই। 

ঈদকে সামনে রেখে কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলায় ব্যতিক্রমী এমন দৃশ্য চোখে পড়ে।

উপজেলা সদরের আনন্দ বাজারে টেবিলের ওপর থরে থরে সাজানো নানা সামগ্রী। এসব কেনার জন্য বিকেল থেকে ক্রেতাদের লম্বা লাইন। হাতের টোকেন দেখিয়ে আনন্দ বাজার থেকে ১০ টাকায় প্রতিটি পণ্য কিনে নিচ্ছে ক্রেতারা। ৭০ টাকায় ব্যাগভর্তি বাজার নিয়ে বাড়িতে ফিরছেন। 

আরো পড়ুন:

খোলা ট্রাক-পিকআপে ছুটছে ঘরমুখো মানুষ

রাজশাহীতে ঈদের প্রধান জামাত সকাল ৮টায়

সবার মাঝে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে দরিদ্র মানুষের জন্য নামমাত্র দামে এমন বাজারের আয়োজন করে ‘করিমগঞ্জ মানবিক সংগঠন’। তারা প্রতিটি আইটেম ১০ টাকা করে ৭০ টাকায় কিনতে পারছেন পোলাও চাল, চিনি, সেমাই, তেল, পেঁয়াজ, আলুসহ ৭টি পণ্য। যা বাজার থেকে কিনতে গুনতে হতো অন্তত ৬০০ টাকা। আর হাতের কাছে এমন সুযোগ পেয়ে খুশি সাধারণ মানুষ।

ঈদ বাজারে আসা ষাটোর্ধ্ব রমজান মিয়া জানান, এমন ব্যতিক্রম উদ‌্যোগে ঈদবাজার তারা আর কখনো দেখেননি। ঈদের আগে ৬০০ টাকার পণ্য নামমাত্র মূল্যে কিনতে পেরে তারা অনেক খুশি।

১০ টাকার ঈদবাজারের আয়োজক ইয়াসিন আরাফাত জানান, পকেটের খরচ বাঁচিয়ে এবং বন্ধু-বান্ধবসহ স্বচ্ছল ব্যক্তিদের কাছ থেকে সহযোগিতা নিয়ে গত ৭ বছর ধরে ঈদের সময় এমন মানবিক বাজার বসাচ্ছেন তারা। এলাকার দরিদ্র মানুষ চিহ্নিত করে আগে বাড়িতে গিয়ে তাদের হাতে টোকেন তুলে দেন সংগঠনের কর্মীরা। ওই টোকেন নিয়ে মানবিক বাজার থেকে নামমাত্র দামে ঈদসামগ্রী কেনার সুযোগ পান দরিদ্র মানুষ।

এবার ১০ টাকায় ঈদবাজার কেনার সুযোগ পান ৪০০ মানুষ। আগামী ঈদে এক হাজার মানুষ এমন সুযোগ পাবেন বলে জানান আয়োজকরা।

ঢাকা/রুমন/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ