বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ প্রচার করায় বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা হামলা চালিয়ে একজনকে আহত ও মাইক ভাঙচুর করেছে। বুধবার (২৬ মার্চ) সকাল ৯টার দিকে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ভবনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে মাইকে শেখ মুজিবের ভাষণ চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। 

হামলায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের তত্ত্বাবধায়ক সাগর হোসেন আহত ও মাইকের কিছু অংশ নিয়ে গেছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা।

কালীগঞ্জ শহরের দেশ মাইক এন্ড অডিও এ্যাড প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী ইয়াকুব আলী জানান, সকালে মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত আলী এক হাজার টাকা ভাড়ায় একটি মাইক সেট মুক্তিযোদ্ধা ভবনে নিয়ে যান। তিনি শুনেছেন, ওই ভবনের তত্ত্বাবধায়ক সাগর হোসেন মাইকে শেখ মুজিবের ভাষণ বাজাচ্ছিলেন। এ সময় স্থানীয় কয়েকজন তাকে নিষেধও করেন। কিন্তু এরপরও মুজিবের ভাষণ চলতে থাকে। মাইকে এমন ভাষণ প্রচার শুনতে পেয়ে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা সকাল ৯টার দিকে মিছিল নিয়ে ওই ভবনে হামলা চালায়। তারা মুক্তিযোদ্ধা ভবনের তত্ত্বাবধায়ক সাগর হোসেনকে মারপিট করে আহত ও মাইক ভাঙচুর করে।

আরো পড়ুন:

৩২ নম্বরের বেজমেন্টে পানি ছাড়া ‘কিছু পাওয়া যায়নি’

৩২ নম্বরের নির্মাণাধীন ভবন থেকে সরানো হলো পানি

এ ঘটনার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত সাগর হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার হেলাল উদ্দিন জানান, হামলা বা মারপিট ঘটনার বিষয়টি তিনি কিছু জানেন না। মুক্তিযোদ্ধা ভবনের তত্ত্বাবধায়ক সাগর তাকে ভাষণ প্রচার নিয়ে কিছু বলেনি। কেউ বা দুষ্ট চক্র তাদের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে এমন ঘটনা ঘটাতে পারে।

ঢাকা/সোহাগ/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ খ ম জ ব র রহম ন

এছাড়াও পড়ুন:

প্রবল জোয়ার, সাগর উত্তাল, ফেরি আটকে গেছে সন্দ্বীপে

উত্তাল সাগর, স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় বেড়েছে জোয়ারের উচ্চতা। এমনই পরিস্থিতিতে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপকূলে আটকা পড়েছে ফেরি কপোতাক্ষ। আজ শনিবার সকাল নয়টার দিকে ফেরিটি সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়া ঘাটের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা ছিল। এ লক্ষ্যে যাত্রী ও যানবাহন তোলা হলেও বেলা একটা পর্যন্ত ফেরিটি ছাড়া সম্ভব হয়নি।

এর আগে সকাল সোয়া সাতটায় সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়া ফেরিঘাট থেকে যানবাহন ও যাত্রী নিয়ে সন্দ্বীপের গুপ্তছড়া ঘাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় ফেরি কপোতাক্ষ। ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ায় উভয় পাশে অর্ধশতাধিক যানবাহন আটকা পড়ে।

ফেরির মাস্টার মো. শামসুল আলম দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, সাগর খুবই উত্তাল। জোয়ারের পানির উচ্চতা বেড়ে গেছে। ফলে বাঁশবাড়িয়া ঘাটে ফেরি থেকে নামার রাস্তা ডুবে গেছে। যার কারণে ফেরি নিয়ে বাঁশবাড়িয়া ঘাটে পৌঁছালেও যানবাহন কিংবা যাত্রীরা নামতে পারবেন না। তাই সন্দ্বীপের উপকূল থেকে ফেরি ছাড়া হচ্ছে না।

মো. শামসুল আলম বলেন, গতকাল শুক্রবার জোয়ারের সময় সন্দ্বীপ থেকে বাঁশবাড়িয়া ঘাটে এসে বিপাকে পড়তে হয়েছিল। ফেরি থেকে নামার রাস্তা ডুবে যাওয়ায় প্রায় আড়াই ঘণ্টা যানবাহন ও যাত্রী নামানো যায়নি।

ঘাটসংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সকাল ১০টার দিকে বাঁশবাড়িয়া ঘাটে জোয়ার-ভাটার অবস্থা পর্যবেক্ষণে যান বিআইডব্লিউটিসি ও বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তারা। তাঁরা ফেরি থেকে নামার সড়ক ও র‍্যাম্প পরিদর্শন করেন। জানতে চাইলে বিআইডব্লিউটিএর উপপরিচালক মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, সাগর বেশি উত্তাল। এ সময়ে ফেরি চালানো অত্যন্ত ঝুঁকির। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বিস্তারিত তুলে ধরা হবে। এরপর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যে সিদ্ধান্ত দেবে সেটি বাস্তবায়ন করা হবে।

মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, ‘পরিদর্শনকালে দেখেছি জোয়ারের তীব্রতায় ফেরির পন্টুন এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করছে। একটি পন্টুনের দাম প্রায় তিন কোটি টাকা। বর্ষায় জোয়ার আরও বেড়ে গেলে তখন ঢেউয়ের তোড়ে পন্টুন ভেসে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে’।

বিআইডব্লিউটিসির উপমহাব্যবস্থাপক বাণিজ্য গোপাল চন্দ্র মজুমদার প্রথম আলোকে বলেন, যাত্রী ও যানবাহনের চাপ থাকায় তাঁরা দৈনিক দুই ট্রিপ ফেরি চালানোর চেষ্টা করছেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে ফেরি কয় ট্রিপ চালানো যাবে বা বন্ধ হয়ে যাবে কি না, তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ