তামিমের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল, চলছে বিদেশে নেওয়ার প্রস্তুতি
Published: 26th, March 2025 GMT
জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালের শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল। সাভার থেকে ঢাকায় স্থানান্তরের পর স্বাভাবিক অবস্থায় আছেন তামিম। অল্পস্বল্প সলিড খাওয়া খেতে পারছেন। প্রাথমিক বিপদ কেটে যাওয়ার পর এখন সুস্থ হয়ে উঠছেন। গতকাল সকাল থেকে অল্পস্বল্প হাঁটা শুরু করেছিলেন।
সাভারের কেপিজে হাসপাতাল থেকে ঢাকার এভারকেয়ারে স্থানান্তরের পর তার শারীরিক পরীক্ষা করেছেন চিকিৎসকরা। সেখানে আশাব্যঞ্জক ফল পেয়েছেন তারা। খুব বেশি জটিলতা তাদের কাছেও ধরা পড়েনি। শুরুর চিকিৎসা প্রক্রিয়া ভালো হওয়ায় তামিম দ্রুত উন্নতি করছেন বলে মত দিয়েছেন। আপাতত দুয়েকদিন তামিম থাকবেন এভারকেয়ার হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণে। এরপর বাসায় ফিরতে পারেন।
তবে উন্নত চিকিৎসা, সেবা এবং রিহ্যাব প্রক্রিয়ার জন্য তামিমকে দেশের বাইরে নিয়ে যেতে চায় পরিবার। এজন্য ভিসা প্রক্রিয়ার কাজও শুরু হয়ে গেছে। সিঙ্গাপুরের ভিসা রয়েছে তার। থাইল্যান্ডের ভিসা করার প্রক্রিয়া চলছে। দুই দেশে তার যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অ্যাপয়েনমেন্ট পাওয়ার ওপর নির্ভর করছে তার বিদেশ যাত্রা। তবে ভালো খবর, আগের চেয়ে অনেক ভালো অবস্থায় আছেন তামিম।
আরো পড়ুন:
পরিবারের ইচ্ছায় ঢাকায় তামিমকে স্থানান্তর
‘আপনাদের ভালোবাসা ছাড়া আমি তামিম ইকবাল কিছুই না’
গত (২৪ মার্চ) বিকেএসপিতে ঢাকা লিগের ম্যাচ খেলতে নামার আগে প্রথমে মাইনর ও পরে ‘ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাকে’ অজ্ঞান হয়ে পড়েন তামিম। তাকে কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থা এতোটাই খারাপ হয়েছিল যে, ২২ মিনিট সময় ধরে সিপিআর ও তিনটি ডিসি শক দিতে হয়েছে। এরপর দ্রুত এনজিওগ্রাম করে শতভাগ ব্লক থাকা একটা আর্টারিতে রিং লাগিয়েছেন চিকিৎসকরা। অবিশ্বাস্য গতিতে হয়েছে সবকিছু। চিকিৎসকদের প্রতিটি সিদ্ধান্ত সময়মতো হওয়ায় তামিম পেয়েছেন নতুন এক জীবন।
গতকাল রাতে তামিমকে দেখতে হাসপাতাল গিয়েছিলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। একই সময়ে সেখানে হাজির হন বাংলাদেশ ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হকও।
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ত ম ম ইকব ল অবস থ
এছাড়াও পড়ুন:
হামজার চোট ও চেইন রিঅ্যাকশন
হামজার চোট ও চেইন রিঅ্যাকশন২০২২ সালের ১১ ডিসেম্বর। ইংল্যান্ডের ওয়াটফোর্ডের ভিকারেজ রোডে সেই দিনটার কথা কি মনে আছে হামজা চৌধুরীর! বাংলাদেশের ফুটবলের নতুন সেনসেশন তখন ধারে খেলছেন ইংলিশ ফুটবলের দ্বিতীয় স্তর চ্যাম্পিয়নশিপের দল ওয়াটফোর্ডে। ভিকারেজ রোডে সে দিন হামজার দলের প্রতিপক্ষ ছিল হাল সিটি। লেস্টার থেকে ধারে ওয়াটফোর্ডে যাওয়া হামজা ম্যাচের শুরুর দিকেই বলের দখল নিতে গিয়ে প্রতিপক্ষের দিমিত্রিওস পেলকাসের সঙ্গে সংঘর্ষে মারাত্মকভাবে আহত হন। ওই ঘটনায় হামজা ও পেলকাস দুজনই আর খেলা চালিয়ে যেতে পারেননি। এরপর যা হলো, সেটি অবিশ্বাস্যই। ১৫ মিনিটে হামজার বদলি হিসেবে নামলেন জোসেফ হাঙ্গবো। বাজে খেলায় সেই হাঙ্গবোকে উঠিয়ে ওয়াটফোর্ড কোচ স্লাভেন বিলিচ ৭১ মিনিটে নামালেন রেই মানাজকে। আহত হয়ে সেই মানাজও উঠে গেলেন যোগ করা সময়ে, এবার নামলেন ভাকুন বায়ো। বায়োর ভাগ্য ভালোই বলতে হবে, ম্যাচটি শেষ করেই তিনি মাঠ ছাড়তে পেরেছিলেন।চার অধিনায়কের ম্যাচএকটি ম্যাচে এক দলের হয়ে সর্বোচ্চ কতজনকে অধিনায়কের আর্মব্যান্ড পরতে দেখেছেন? অধিনায়ক বদলি হয়ে উঠে গেলে অন্য কাউকে অধিনায়কত্ব করতে দেখাটা নিয়মিত ঘটনাই। তবে ২০২২ সালে আর্জেন্টিনার ঘরোয়া ফুটবলে অধিনায়কত্ব নিয়ে অবিশ্বাস্য এক কাণ্ডই করে বসে নিউয়েলস ওল্ড বয়েজ। সান লরেঞ্জোর বিপক্ষে এক ম্যাচে দলটির অধিনায়কের আর্মব্যান্ড হাতে উঠেছিল চারজনের! অধিনায়ক পাবলো পেরেজ ১৫ মিনিটে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন। যাওয়ার আগে আর্মব্যান্ডটা ক্রিস্তিয়ান লেমাকে দিয়ে যান পেরেজ। সেন্টারব্যাক লেমা লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন ৬২ মিনিটে। ওল্ড বয়েজের অধিনায়কত্বের দায়িত্বটা এরপর বর্তায় হুলিয়ান ফার্নান্দেজের ওপর। ১৫ মিনিট পর অধিনায়কত্বের দায়িত্ব ছাড়েন এই মিডফিল্ডারও। কারণটা অবশ্য চোট কিংবা কার্ড পাওয়া নয়। আর্জেন্টিনার হয়ে তিনটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা লেফটব্যাক লিওনেল ভানিওনি বদলি হিসেবে মাঠে নামতেই সিনিয়রের প্রতি সম্মান দেখাতে তাঁর হাতে আর্মব্যান্ড পরিয়ে দেন ফার্নান্দেজ।