নিজ এলাকায় এসে ব্যাটারিচালিত ভ্যানে করে গ্রামে গ্রামে ঘুরে বাড়ি বাড়ি এবং ক্ষেতখামারে গিয়ে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার আলোয়াখোয়া ইউনিয়নের রাখালদেবী, বামনকুমার, বালিয়া, লক্ষ্মীত্থানসহ বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে মানুষের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। 

এদিন দুপুরে সারজিস আলম তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে গ্রামে ঘুরে মানুষের সঙ্গে কথা বলা নিয়ে ছবি পোস্ট করে স্ট্যাটাস দিয়েছেন।

আরো পড়ুন:

জারার বক্তব্যের জবাব দিলেন সারজিস

হাসিনার দোসররা উৎপাত করলে ছাড় নয়: সারজিস

স্ট্যাটাসে সারজিস আলম লিখেছেন, ‘‘জীবনের প্রথম ১৭ বছর এই মাটি ও মানুষের সঙ্গে থেকে বেড়ে উঠেছি। এখানেই যেন চিরপ্রশান্তি। সরু আইল দিয়ে হেঁটে চলা, মাচায় বসে গল্প করা, ভ্যানে করে এক গ্রাম থেকে আরেক গ্রামে যাওয়া, এগুলো যেন আমাদের চিরচেনা গল্প। এই গল্পগুলো শুনতে, শোনাতে এবং বাঁচিয়ে রাখতে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’’

কৃষকের আজকের দাবি নিয়ে সারজিস আলম আরো লিখেছেন, ‘‘কৃষক এখন বাজারে প্রতি কেজি আলু পাইকারি ১০ টাকা করে বিক্রি করে। প্রতি কেজি আলু উৎপাদনে কৃষকের খরচ হয় গড়ে ২০ টাকা। এবার কৃষক আলুতে প্রায় অর্ধেক লস করছে। সেই জায়গায় অন্তত কেজিপ্রতি তারা যদি ২৫ টাকা পেত তাহলে তাদের জীবন চলা সম্ভব হতো। মাঠে কৃষকের উৎপাদন খরচ এবং দেশব্যাপী গ্রাহকের কেনার সামর্থের মধ্যে সামঞ্জস্য প্রয়োজন। অন্তর্বর্তী সরকারকে এই দায়িত্ব পালন করতে হবে। কৃষক যদি তাদের দাম না পায়, তাহলে চাষের আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। পণ্যসংকট তৈরি হবে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাবে। সেই হিসেবে কৃষক অন্তত ২৫ টাকা দরে আলু বিক্রি করতে পারলে বাজারে খুচরা ৩০ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাবে। এই সামঞ্জস্য অতি জরুরি।’’ 

সোমবার (২৪ মার্চ) দুপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) গঠনের পর প্রথমবারের মতো নিজ জেলা পঞ্চগড়ে আসেন সারজিস আলম। প্রথমে ঢাকা থেকে উড়োজাহাজে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে নামেন তিনি। সেখান থেকে তিনি সড়কপথে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ যান। দেবীগঞ্জ থেকে শতাধিক গাড়ির বহর নিয়ে তিনি নিজ জেলার বোদা, পঞ্চগড় সদর, তেঁতুলিয়া ও আটোয়ারী উপজেলা সফর করেন। সারজিস আলমের বাড়ি আটোয়ারী উপজেলায়। রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব পাওয়ার পর বাড়ি ফেরার পথে সারজিস আলমের এই ‘শোডাউন’ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা আলোচনা-সমালোচনা চলছে। 

ঢাকা/নাঈম/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

টঙ্গীতে ফ্ল্যাটে ঢুকে ভাই-বোনকে কুপিয়ে হত্যা

গাজীপুরের টঙ্গী এলাকার একটি ফ্ল্যাটে ভাই-বোনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টার দিকে পুলিশ তাদের মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহতদের বাবা-মাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়েছে পুলিশ।

স্বজনদের ধারণা, আজ বিকেল ৪টা থেকে ৫টার মধ্যে সন্ত্রাসীরা ফ্ল্যাটে ঢুকে ভািই-বোনকে হত্যা করে পালিয়ে যায়। 

নিহতরা হলো- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর থানার তাতুয়াকান্দি এলাকার আ. বাতেন মিয়ার ময়ে মালিহা আক্তার (৬) ও ছেলে মো. আবদুল্লাহ (৪)। 

আরো পড়ুন:

ফরিদপুরে স্ত্রীর হাতে কৃষকদল নেতা খুন

মেয়েকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বাবাকে হত্যা

এলাকাবাসী ও নিহতদের স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে, টঙ্গীর আরিচপুর জামাইবাজার এলাকার সেতু ভিলা নামে ৮ তলা একটি ভবনের তৃতীয় তলার ফ্ল্যাটে পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকেন আ. বাতেন মিয়া। তার তিন সন্তানের মধ্যে বড় মেয়ে নানার বাড়িতে আছে।

আজ শুক্রবার দুপুরে মাথা ব্যথার ওষুধ খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন মালিহা ও আবদুল্লাহর মা। বিকেলে ঘুম থেকে উঠে তিনি ঘরের মেঝেতে তার ছেলে ও মেয়ের রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পান। 

টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি মো. ফরিদুল ইসলাম বলেন, “দুই শিশুকে হত্যার ঘটনাটি রহস্যজনক মনে হচ্ছে। নিহতদের মা ও বাবা দুই রকমের তথ্য দিচ্ছেন। তাদের কথা অসংলগ্ন। এ কারণে তাদের দুইজনকেই পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাবাদ করা হচ্ছে।” 

ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ