খুলনার দাকোপ উপজেলার লাউডোব ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী ‘আর্য্য হরিসভা মন্দির’ থেকে একটি মূর্তি চুরি হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত তিনটার দিকে মন্দিরের দুটি তালা কেটে দুষ্কৃতকারীরা মূর্তিটি চুরি করে নিয়ে যায়।

আর্য্য হরিসভা পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব বাপী রায় জানান, মন্দিরটির বাইরের অংশে সিসিটিভি ক্যামেরা থাকলেও কোনো নিরাপত্তা প্রহরী ছিলেন না। গতকাল রাত ৯টার দিকে মন্দিরের প্রাত্যহিক কার্যক্রম শেষে সেবায়েত ও ভক্তরা মন্দিরের গেটে তালা লাগিয়ে চলে যান। পরে গভীর রাতে মন্দিরের তালা কেটে পিতলের কৃষ্ণমূর্তি চুরি করে নিয়ে যান দুই ব্যক্তি।

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, জামা–প্যান্ট পরা দুই ব্যক্তি মন্দিরের দিকে যান। তাঁদের মুখ মাঙ্কি টুপি দিয়ে ঢাকা ছিল আর হাতে ছিল তালা কাটার যন্ত্র। মন্দিরের ভেতরে ঢুকে মাত্র আড়াই মিনিটের মধ্যেই মূর্তিটি নিয়ে তাঁদের বাইরে বের হতে দেখা যায়।

দাকোপ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে এ বিষয়ে কোনো মামলা হয়নি। অপরাধীদের ধরতে পুলিশ সব ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।

মন্দিরে ও এলাকায় চুরির ঘটনা বাড়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা জানান, কিছুদিন ধরে দাকোপ এলাকায় চোরের উপদ্রব বেড়েছে। প্রায় প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও চুরির ঘটনা ঘটছে। এমনকি দিনের বেলাতেও ফাঁকা বাড়িতে চুরি হচ্ছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: মন দ র র

এছাড়াও পড়ুন:

১০ টাকার ঈদবাজারে ৪০০ পরিবারের মুখে হাসি

কিশোরগঞ্জে মাত্র ১০ টাকায় বাজারে মিলছে এক লিটার সোয়াবিন তেল, এক কেজি পোলাও চাল, এক কেজি চিনি, এক কেজি পিঁয়াজ, এক কেজি আলু, এক হালি ডিম কিংবা ভালো মানের সেমাই। 

ঈদকে সামনে রেখে কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলায় ব্যতিক্রমী এমন দৃশ্য চোখে পড়ে।

উপজেলা সদরের আনন্দ বাজারে টেবিলের ওপর থরে থরে সাজানো নানা সামগ্রী। এসব কেনার জন্য বিকেল থেকে ক্রেতাদের লম্বা লাইন। হাতের টোকেন দেখিয়ে আনন্দ বাজার থেকে ১০ টাকায় প্রতিটি পণ্য কিনে নিচ্ছে ক্রেতারা। ৭০ টাকায় ব্যাগভর্তি বাজার নিয়ে বাড়িতে ফিরছেন। 

আরো পড়ুন:

খোলা ট্রাক-পিকআপে ছুটছে ঘরমুখো মানুষ

রাজশাহীতে ঈদের প্রধান জামাত সকাল ৮টায়

সবার মাঝে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে দরিদ্র মানুষের জন্য নামমাত্র দামে এমন বাজারের আয়োজন করে ‘করিমগঞ্জ মানবিক সংগঠন’। তারা প্রতিটি আইটেম ১০ টাকা করে ৭০ টাকায় কিনতে পারছেন পোলাও চাল, চিনি, সেমাই, তেল, পেঁয়াজ, আলুসহ ৭টি পণ্য। যা বাজার থেকে কিনতে গুনতে হতো অন্তত ৬০০ টাকা। আর হাতের কাছে এমন সুযোগ পেয়ে খুশি সাধারণ মানুষ।

ঈদ বাজারে আসা ষাটোর্ধ্ব রমজান মিয়া জানান, এমন ব্যতিক্রম উদ‌্যোগে ঈদবাজার তারা আর কখনো দেখেননি। ঈদের আগে ৬০০ টাকার পণ্য নামমাত্র মূল্যে কিনতে পেরে তারা অনেক খুশি।

১০ টাকার ঈদবাজারের আয়োজক ইয়াসিন আরাফাত জানান, পকেটের খরচ বাঁচিয়ে এবং বন্ধু-বান্ধবসহ স্বচ্ছল ব্যক্তিদের কাছ থেকে সহযোগিতা নিয়ে গত ৭ বছর ধরে ঈদের সময় এমন মানবিক বাজার বসাচ্ছেন তারা। এলাকার দরিদ্র মানুষ চিহ্নিত করে আগে বাড়িতে গিয়ে তাদের হাতে টোকেন তুলে দেন সংগঠনের কর্মীরা। ওই টোকেন নিয়ে মানবিক বাজার থেকে নামমাত্র দামে ঈদসামগ্রী কেনার সুযোগ পান দরিদ্র মানুষ।

এবার ১০ টাকায় ঈদবাজার কেনার সুযোগ পান ৪০০ মানুষ। আগামী ঈদে এক হাজার মানুষ এমন সুযোগ পাবেন বলে জানান আয়োজকরা।

ঢাকা/রুমন/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ