জাতীয় স্বার্থে ঐকমত্য গঠন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: সৈয়দা রিজওয়ানা
Published: 26th, March 2025 GMT
জাতীয় স্বার্থে ঐকমত্য গঠন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, ‘জনগণের আস্থা অর্জনের জন্য রাজনৈতিক ও নীতিগত ঐকমত্য প্রয়োজন। জনগণের কল্যাণে প্রয়োজনীয় সংস্কারগুলো বাস্তবায়নে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।’
বুধবার মহান স্বাধীনতা দিবসে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধের শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘জাতীয় স্বার্থে দলীয় ও ব্যক্তিগত স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে ঐকমত্যে পৌঁছানো জরুরি। যদিও ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে, তবে মতপার্থক্য কমিয়ে জাতীয় স্বার্থে একত্রিত হওয়ার প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। তিনি বলেন, সুষ্ঠু বিচার ব্যবস্থার উন্নয়ন জনগণের আস্থা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ‘জনগণের প্রত্যাশা পূরণে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে কাজ করা হচ্ছে। এছাড়া, জুলাই-অগাস্টে ঘটে যাওয়া হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার করা এখন আমাদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা চেষ্টা করব, যেন জনগণ এই বিচারের মাধ্যমে ন্যায়বিচারের কিছুটা অনুভূতি পায় এবং আস্থার পরিবেশ সৃষ্টি হয়।’
উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করে বলেন, সবাই জাতীয় স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেবেন এবং সংস্কারগুলো জনগণের চাহিদার ভিত্তিতেই এগিয়ে নেওয়া হবে। তিনি বলেন, ‘সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সব পক্ষ একত্রিত হবে এবং দেশের অগ্রগতির জন্য প্রয়োজনীয় ঐকমত্য গড়ে তুলবে।’ এ প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিতে তিনি সংশ্লিষ্ট সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: পর ব শ উপদ ষ ট জনগণ র ঐকমত য
এছাড়াও পড়ুন:
চীনকে ভালো বন্ধু হিসেবে পেতে চাই: প্রেস সচিব
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বুধবার বিকেলে চার দিনের সফরে চীনে পৌঁছেছেন। হাইনান প্রদেশের ছিয়োংহাই বোআও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করলে সেখানে তাকে স্বাগত জানান হাইনানের ভাইস গভর্নর এবং বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. নাজমুল ইসলাম।
এদিকে দেশটির গণমাধ্যম সিজিটিএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, চীনের সঙ্গে সম্পর্ক আরো গভীর করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বাংলাদেশ।
দক্ষিণ চীনের হাইনান প্রদেশে অনুষ্ঠিতব্য বোআও ফোরাম ফর এশিয়া-২০২৫ বার্ষিক সম্মেলনের আগে এই মন্তব্য করেন তিনি।
মঙ্গলবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত উচ্চপর্যায়ের এই সম্মেলন চলবে।
সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, নিঃসন্দেহে আমাদের অবস্থান হলো চীনের সঙ্গে সম্পর্ক আরো গভীর করা। আমরা চীনকে ভালো বন্ধু হিসেবে দেখতে চাই, যাতে বিদ্যমান সব ক্ষেত্রে আমাদের সম্পর্ক আরো বিস্তৃত হয়।’
তিনি বলেন, চীনা বিনিয়োগ আকর্ষণ, জনগণের মধ্যে বিনিময় বৃদ্ধি এবং প্রযুক্তিগত সহযোগিতা জোরদার করতে চায় বাংলাদেশ।
‘‘আমরা চাই বাংলাদেশে আরো বেশি চীনা বিনিয়োগ আসুক, আরো বেশি সহযোগিতা হোক এবং জনগণের মধ্যে সম্পর্ক আরো ঘনিষ্ঠ হোক। চীন একটি সুপারপাওয়ারের মতো জেগে উঠেছে। এটি একটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি-সমৃদ্ধ দেশ। আমরা অবশ্যই এসব ক্ষেত্রে সম্পর্ক আরো শক্তিশালী করতে চাই’’- যোগ করেন শফিকুল আলম।
ঢাকা/হাসান/এনএইচ