আবুধাবি এখন থেকে আফগানিস্তানের হোম ভেন্যু
Published: 26th, March 2025 GMT
দেশের রাজনৈতিক অবস্থার কারণে কোনো দলই আফগানিস্তানে গিয়ে খেলতে রাজি হয় না। তাই কখনও বা ভারতের নয়ডা, কখনও বা দেরাদুন, লক্ষ্ণৌ ঘুরে হোম ম্যাচ খেলতে হয়েছে রশিদ লতিফদের।
মাঝে আরব আমিরাতের আবুধাবিতেও হোম টেস্ট খেলেছেন আফগানরা। কিন্তু এভাবে আর কত দিন, অবশেষে আবুধাবিকেই ‘সেকেন্ড হোম’ বানিয়ে নিয়েছে আফগানিস্তান।
এখন থেকে আগামী পাঁচ বছর আবুধাবির মাঠেই নিজেদের সব হোম ম্যাচ খেলবে তারা। গতকাল আবুধাবি ক্রিকেট অ্যান্ড স্পোর্টস হাবের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে আফগান ক্রিকেট বোর্ডের। যেখানে বলা হয়েছে, জাতীয় দলের ট্রেনিং থেকে শুরু করে ‘এ’ দল এবং জাতীয় দলের সব ম্যাচে আফগানিস্তানের হোম ভেন্যু হবে আবুধাবি।
‘কয়েক বছর ধরেই আফগানিস্তানের ম্যাচ আমরা আয়োজন করে আসছি আমাদের মাঠে। তবে এবার এই চুক্তির পর আমরা বলতেই পারি আবুধাবি হচ্ছে আফগানিস্তানের দ্বিতীয় বাড়ি।’ বিবৃতিতে আবুধাবি ক্রিকেট অ্যান্ড স্পোর্টস হাবের প্রধান ম্যাট বাউচার এভাবেই নিজেদের খুশির কথা জানান।
দুবাই, আবুধাবি ছাড়াও শারজাহ; এই মুহূর্তে আরব আমিরাতে তিনটি আন্তর্জাতিক ভেন্যু রয়েছে। সেখানে আরব আমিরাত ক্রিকেট বোর্ড তাদের নিজেদের জন্য দুবাই আর শারজাহকে হাতে রেখেছে। আবুধাবি ছেড়ে দিয়েছে আফগানিস্তানের জন্য। এমনিতে আফগান দলের বেশির ভাগ খেলোয়াড়ই দুবাই ও আবুধাবিতে বাসা ভাড়া করে থাকেন। তাই তাদের জন্যও এই ভেন্যুর স্বীকৃতি খুশির খবরই বটে।
২০২৯ সাল পর্যন্ত আবুধাবিতে সব ধরনের ট্রেনিং ক্যাম্প করতে পারবেন তারা। আফগান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী নাসিব খান জানান, এখন চুক্তি তাদের ক্রিকেটের উন্নয়নের জন্য একটি টার্নিং পয়েন্ট। ‘আবুধাবিতে যে সুযোগ আমাদের সামনে আসবে, তা আফগান ক্রিকেটের জন্য টার্নিং পয়েন্ট হয়ে থাকবে। এখানে শুধু জাতীয় দলই নয়, বয়সভিত্তিক দলের ট্রেনিং ক্যাম্পও হবে। সেই সঙ্গে ক্রিকেটের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাব আমরা এখানে।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আফগ ন স ত ন ক র ক ট দল আফগ ন স ত ন র র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
বন্ধুগো শোনো...
শ্রোতা প্রাণ খুলে গাইছে, কখনও ফেটে পড়ছে উল্লাসে– এমন দৃশ্যের সাক্ষী হতে চান প্রায় সব শিল্পী। দিলশাদ নাহার কনা এর ব্যতিক্রম নন। নন্দিত এই শিল্পীর চাওয়া পূরণ হয়েছে বহু বছর আগেই; বরং তাঁর গাওয়া গানগুলোর সঙ্গে অনুরাগীদের উল্লাসে মেতে ওঠার দৃশ্য প্রতিনিয়ত দেখা যায়। শুধু তাই নয়, এমন অনেক গান আছে, যা দীর্ঘ সময় শ্রোতামনে অনুরণন তুলে যাচ্ছে। যার সুবাদে কনা নিজেও রপ্ত করে ফেলেছেন উৎসব আয়োজনগুলো জমকালো করে তোলার মন্ত্র। বেশি দূরের নয়, সদ্য পেরিয়ে আসা ঈদ আর বৈশাখী আয়োজনের দিকে যদি নজর দিই। তাহলে দেখা যাবে এই দুই উৎসবের জনপ্রিয় গানগুলোর বেশির ভাগই কনার গাওয়া। শ্রোতার মুখে মুখে ফিরছে ‘জ্বীন-৩’ সিনেমায় ইমরানের সঙ্গে গাওয়া তাঁর ‘কন্যা’ গানটি। পাশাপাশি ঈদের সিনেমা ‘জংলি’-তে নন্দিত সুরকার প্রিন্স মাহমুদের কথা-সুর ও সংগীতায়োজনে গাওয়া ‘বন্ধুগো শোনো’ গানটিও প্রশংসা কুড়িয়ে নিচ্ছে। এই গানেও কনার সহশিল্পী ইমরান। এর বাইরেও আসিফ আকবরের সঙ্গে দ্বৈত কণ্ঠে গাওয়া অডিও গান ‘ভীষণরকম ভালোবাসি’, আরিটিভির ‘আর মিউজিকে’ অনুষ্ঠানে গাওয়া ফিউশন গান ‘বাউলা কে বানাইলো রে’, ‘মন দিতে চাই’ নাটকে ইমরানের সঙ্গে গাওয়া ‘ভালোবাসা এমনই হয়’, ‘পায়েল’ নাটকে সালমান জাইমের সঙ্গে গাওয়া ‘বুকে লাগে টান’, ‘মন দুয়ারী’ নাটকে নাজির মাহমুদের সঙ্গে গাওয়া ‘তোমার ব্যথায় আমি’ এবং ‘হৃদয়ে রেখেছি গোপনে’ নাটকে ইমরানের সঙ্গে গাওয়া ‘তুই আমার ভালোবাসা’সহ আর বেশ কিছু গান শ্রোতার মনোযোগ কেড়ে নিয়েছে। তাই সময়টা যে এখনও কনার দখলে, তা নতুন করে বলার প্রয়োজন পড়ে না। প্রায় দুই দশক ধরে গানের ভুবনে কনার বিচরণ। দীর্ঘ সংগীত সফরে শিশুশিল্পী থেকে হয়ে উঠেছেন একজন পরিণত ভার্সেটাইল শিল্পী। তা সম্ভব হয়েছে গানের প্রতি অগাধ ভালোবাসা আর নিরলস সংগীতচর্চার মধ্য দিয়ে। শ্রোতার কাছে তার সব নিবেদন। সে কারণে আমরা তাঁকে দেখি, দিনমান দেশ-বিদেশের মঞ্চে ছুটে বেড়াতে। গানে গানে সিনেমা, নাটক, অ্যালবাম, বিজ্ঞাপনের জিঙ্গেল থেকে শুরু করে রেডিও, টিভি আয়োজনসহ সব মাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছেন তাঁর কণ্ঠ। খ্যাতির মোহে নাকি সাত সুরের মায়াজালে বাঁধা পড়েছেন বলে এই ব্যস্ততা? সে প্রশ্ন করলে কনা হেসে বলেন, ‘খ্যাতির মোহে না, শিল্পী পরিচয় ভালোবাসি বলেই সংগীতে ডুবে আছি। শ্রোতার ভালোবাসা পেয়েছি বলে তাদের প্রত্যাশা পূরণের দায় অনুভব করি। তাই শ্রোতা যতদিন নতুন কিছু চাইবেন এবং চেষ্টা করে যাব তাদের নতুন কিছু দেওয়ার।’ প্রত্যাশা পূরণ করতে গিয়ে এসব মাধ্যমে সরব থাকার চেষ্টা, তা কি মনের মধ্যে বাড়তি কোনো চাপ তৈরি করে না? ‘একদমই না। কারণ যখন যা করি, তা আনন্দ নিয়েই করি। তাই কোনো কাজে আলাদা কোনো চাপ অনুভব করি না। তা ছাড়া জনপ্রিয়তার মোহে যে কোনো কাজ করার ইচ্ছা কখনও ছিল না। তাই প্রতিটি কাজে থাকে যত্ন ও ভালোবাসার ছাপ।’ কনার এ কথায় বোঝা গেল, সংগীতের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কটা নিবিড় ভালোবাসার। তাই দিনরাত গানের আয়োজন নিয়ে ব্যস্ত থাকতে ভালোবাসেন। এ কারণে গায়কীতে বারবার নিজেকে ভেঙে নতুনভাবে উপস্থাপন করে চলেছেন। সে কারণে আধুনিক মেলো-রোমান্টিক গান থেকে শুরু করে রক, পপ, টোকনো, ফোক ফিউশনসহ বিভিন্ন ধাঁচের গান তাঁর কণ্ঠে শোনার সুযোগ পান সংগীতপ্রেমীরা। আগামীতেও সেই সুযোগ পাবেন– সেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কনা নিজে।