অভিনয় ছাড়ার ঘোষণা নায়িকার, বর্ষার সমালোচনায় পরীমণি
Published: 26th, March 2025 GMT
সন্তানরা বড় হচ্ছে। সেই সন্তানদের কথা চিন্তা করে অভিনয় ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চিত্রনায়িকা আফিয়া নুসরাত বর্ষা। সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে অভিনয় ছাড়ার ঘোষণা দেন তিনি। সেখানে বর্ষা বলেন, সন্তানরা বড় হলে নায়িকা হিসেবে তাদের মাকে কীভাবে নেবে, সেই চিন্তা থেকেই অভিনয় থেকে দূরে আসার সিদ্ধান্ত
বর্ষার এই মন্তব্য শোবিজাঙ্গনের মানুষ ভালোভাবে নিচ্ছেন না। যে যার মত করে বর্ষার মন্তব্যের বিপরীতে কথা বলছেন। এবার মুখ খুললেন পরীমণি। বুধবার (২৬ মার্চ) সকালে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে অনন্ত জলিলের স্ত্রীকে রীতিমতো ধুয়ে দিয়েছেন পরী। তবে স্ট্যাটাসে কোথাও বর্ষার নাম উল্লেখ করেননি তিনি।
পরী তার স্ট্যাটাসের শুরুতেই লিখেছেন, জ্বি ছোট্ট আপা, একদম ঠিক! সঠিক বলেছেন আপনি। কিন্তু আপা, আপনার বাচ্চা বড় হওয়ার সাথে পর্দাতে হিরোইন লাগার কোন ব্যাপারই নেই। কারণ আপনি এটা করার অপচেষ্টা যে করে গেছেন সেটা আজীবনই রয়ে যাবে।
বর্ষা জানিয়েছেন, তার হাতে থাকা তিনটি সিনেমার কাজ শেষে করেই অভিনয়কে বিদায় জানাবেন তিনি। সেই প্রসঙ্গ টেনে এনে পরীমণি লেখেন, ‘আপনি এতই বাস্তববাদী যে আপনার হাতে আটকানো সিনেমাগুলো শেষ হলেই ইন্ডাস্ট্রি ছাড়তে চাইছেন! যদি সত্যিই এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন, তাহলে এখনই ছেড়ে দিন, নয়তো আজীবন বহন করুন।’
বর্ষাকে কটাক্ষ করে পরী লেখেন, ‘এই যে আপনি এত যুগ পরে এসে আপনার বাচ্চার দোহাই দিচ্ছেন এটা খুবই খামখেয়ালিপনা। এই যে আপনি বলছেন, আপনার বাচ্চাদের কারো দশ বছর হয়ে যাবে কারো সাত বছর হয়ে যাবে। কিন্তু আপা আপনি কি একবারও ভেবেছেন আপনার বয়সে, আপনার ক্যারিয়ারে আপনি কাকে কত বছর ধরে জিম্মি করে রেখেছেন? সেটা একবার ভাবেন তো আপা! কত বছর ধরে এই ইন্ডাস্ট্রি ডুবাচ্ছেন সেটা একবার ভাবেন।
এখানেই থামলেন না পরীমণি। একের পর এক প্রশ্ন ছুঁড়ে তিনি লেখেন, ‘আপনার বাচ্চাদের যদি আপনাকে দেখতে নাই ভালো লাগে, যে মা নায়িকা হলে তারা তার মাকে গ্রহণ করতে পারবে না লজ্জায়! তাহলে অন্তত এইটুকু গ্যারান্টি দেন যে তারা ভুলতে পারবে, কোনদিন আপনি একজন নায়িকা ছিলেন? কোন একদিন নাচাগানা করেছেন? কোন একদিন নাভি দেখেছিলেন পর্দায়? কোন একদিন আপনার হাটুর কাপড় উড়ে গিয়েছিল কোন এক ফ্রেমে? কোন একদিন ঠোঁটের কোণে কামড় দিয়েছিলেন ক্যামেরার অ্যাকশনে? যা দেখে শিস বাজিয়েছিলো সিনেমা হলের রিক্সাচালক দর্শক? সেগুলো অন্তত ভুলিয়ে দেন আমাদেরকে। তারপর আপনার বাচ্চাদের নিয়ে চিন্তা করেন।’
বর্ষা সেই সংবাদ সম্মেলনে নিজের স্বামী অনন্ত জলিলের প্রশংসা করেছিলেন। যেখানে স্বামীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেছিলেন, অনন্তকে যদি কোনো মেয়েদের বাজারেও ছেড়ে দেওয়া হয়, তাহলে সেখানে ঘুরে কারো দিকে নজর না দিয়ে স্ত্রীর কাছেই ফিরে আসবেন।
অনন্তের স্ত্রীর সেই মন্তব্যেও আপত্তি জানিয়েছেন পরী। চাঁচাছোলা ভাষায় তিনি বললেন, আপনি যে বলেছেন মেয়েদের বাজার! এএএএইইই.
‘শোনেন, এরকম একটা বয়সের পরে আমি কেন,আমরা কেন, পৃথিবীর সমস্ত মেয়েরাই (প্রিন্সেস ডায়না হলেও) তার পার্টনারকে এরকম বাজারে ছেড়ে দিতে পারে। কারণ ওই মহিলা জানেন, জীবনের কোন বয়সে তার জামাইকে যে কোনো জায়গায় ছেড়ে দেওয়া যায়।’
পরীমণির এই স্ট্যাটাস নিয়ে ইতোমধ্যে নানা আলোচনা শুরু হয়েছে। কেউ তার খোলামেলা বক্তব্যের প্রশংসা করেছেন, আবার কেউ নায়িকার ভাষা ও কটাক্ষের জন্য সমালোচনা করছেন। তবে পরী বরাবরই স্পষ্টভাষী, এই স্ট্যাটাসেও তার প্রমাণ মিলল।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: বর ষ আপন র ব চ চ ক ন একদ ন বর ষ র ক ন এক ন আপন অনন ত
এছাড়াও পড়ুন:
কুয়াকাটায় জলকেলিতে মাতলেন রাখাইন তরুণ-তরুণীরা
পবিত্র জলে গাঁ ভিজিয়ে পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় শুরু হয়েছে রাখাইনদের শত বছরের ঐতিহ্যবাহী সাংগ্রাই জলকেলি উৎসব।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শ্রী মঙ্গল বৌদ্ধ বিহার সংলগ্ন রাখাইন মার্কেটে তিন দিনব্যাপী এ উৎসবের উদ্বোধন করেন কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রবিউল ইসলাম।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসনের প্রতিবাদে এক মিনিট নিরবতা পালন করেন রাখাইন জনগোষ্ঠী।
আরো পড়ুন:
বৈশাখে চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের উচ্ছ্বাস
রঙে-আলোয় উজ্জ্বল বর্ষবরণ
বর্ষবরণের জলকেলি উৎসব উপলক্ষে নাচে-গানে মাতোয়ারা হয়ে ওঠেন রাখাইন তরুণ-তরুণীরা। পরে তারা মাঠের মধ্যে রাখা একটি নৌকার পানি একে অপরের শরীরে ছিটিয়ে জলকেলিতে মেতে ওঠেন।
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করা অং চো বলেন, “কক্সবাজার থেকে এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য এসেছি। নাচ, গান আর জলকেলি উৎসবে অংশগ্রহণ করেছি। দিনটি আমাদের দারুন কেটেছে। প্রতিবছর এ অনুষ্ঠানের ধারাবাহিকতা রক্ষা করার অনুরোধ জানাচ্ছি।”
কেরানিপাড়ার রাখাইন তরুণী ম্যাসুয়েন বলেন, “বর্ষবরণ উপলক্ষে দিনভর নানা আয়োজন ছিল। এখানে সব অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছি। বিশেষ করে জলকেলির সঙ্গে নাচ আর গান দারুনভাবে উপভোগ করেছি। এমন আয়োজন করার জন্য উপজেলা প্রশাসনসহ সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।”
কলাপাড়ার ইউএনও রবিউল ইসলাম বলেন, “উপজেলা প্রশাসনের অর্থায়নে ও রাখাইনদের সহযোগিতায় তিন দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়েছে। রাখাইনদের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি ধরে রাখার জন্য সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। এ অনুষ্ঠানের নিরাপত্তার জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশ, নৌ-পুলিশ ও থানা পুলিশের পাশাপাশি উপজেলা প্রশাসন তৎপর রয়েছে।”
পটুয়াখালী রাখাইন বুড্ডিস ওয়েলফেয়ার এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এমং তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- সরকারি মোজাহার উদ্দিন অনার্স কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. ফাতেমা হেরেন, কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ রিজিয়নের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান, মহিপুর থানার ওসি তরিকুল ইসলাম ও কুয়াকাটা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান।
ঢাকা/ইমরান/মাসুদ