সন্তানরা বড় হচ্ছে। সেই সন্তানদের কথা চিন্তা করে অভিনয় ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন  চিত্রনায়িকা আফিয়া নুসরাত বর্ষা। সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে অভিনয় ছাড়ার ঘোষণা দেন তিনি। সেখানে বর্ষা বলেন,  সন্তানরা বড় হলে নায়িকা হিসেবে তাদের মাকে কীভাবে নেবে, সেই চিন্তা থেকেই অভিনয় থেকে দূরে আসার সিদ্ধান্ত 

বর্ষার এই মন্তব্য শোবিজাঙ্গনের মানুষ ভালোভাবে নিচ্ছেন না। যে যার মত করে বর্ষার মন্তব্যের বিপরীতে কথা বলছেন। এবার মুখ খুললেন পরীমণি। বুধবার (২৬ মার্চ) সকালে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে অনন্ত জলিলের স্ত্রীকে রীতিমতো ধুয়ে দিয়েছেন পরী।  তবে স্ট্যাটাসে কোথাও বর্ষার নাম উল্লেখ করেননি তিনি। 

পরী তার স্ট্যাটাসের শুরুতেই লিখেছেন, জ্বি ছোট্ট আপা, একদম ঠিক! সঠিক বলেছেন আপনি। কিন্তু আপা, আপনার বাচ্চা বড় হওয়ার সাথে পর্দাতে হিরোইন লাগার কোন ব্যাপারই নেই। কারণ আপনি এটা করার অপচেষ্টা যে করে গেছেন সেটা আজীবনই রয়ে যাবে। 

বর্ষা জানিয়েছেন, তার হাতে থাকা তিনটি সিনেমার কাজ শেষে করেই অভিনয়কে বিদায় জানাবেন তিনি। সেই প্রসঙ্গ টেনে এনে পরীমণি লেখেন, ‘আপনি এতই বাস্তববাদী যে আপনার হাতে আটকানো সিনেমাগুলো শেষ হলেই ইন্ডাস্ট্রি ছাড়তে চাইছেন! যদি সত্যিই এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন, তাহলে এখনই ছেড়ে দিন, নয়তো আজীবন বহন করুন।’

বর্ষাকে কটাক্ষ করে পরী লেখেন, ‘এই যে আপনি এত যুগ পরে এসে আপনার বাচ্চার দোহাই দিচ্ছেন এটা খুবই খামখেয়ালিপনা। এই যে আপনি বলছেন, আপনার বাচ্চাদের কারো দশ বছর হয়ে যাবে কারো সাত বছর হয়ে যাবে। কিন্তু আপা আপনি কি একবারও ভেবেছেন আপনার বয়সে, আপনার ক্যারিয়ারে আপনি কাকে কত বছর ধরে জিম্মি করে রেখেছেন? সেটা একবার ভাবেন তো আপা! কত বছর ধরে এই ইন্ডাস্ট্রি ডুবাচ্ছেন সেটা একবার ভাবেন। 

এখানেই থামলেন না পরীমণি। একের পর এক প্রশ্ন ছুঁড়ে তিনি লেখেন, ‘আপনার বাচ্চাদের যদি আপনাকে দেখতে নাই ভালো লাগে, যে মা নায়িকা হলে তারা তার মাকে গ্রহণ করতে পারবে না লজ্জায়! তাহলে অন্তত এইটুকু গ্যারান্টি দেন যে তারা ভুলতে পারবে, কোনদিন আপনি একজন নায়িকা ছিলেন? কোন একদিন নাচাগানা করেছেন? কোন একদিন নাভি দেখেছিলেন পর্দায়? কোন একদিন আপনার হাটুর কাপড় উড়ে গিয়েছিল কোন এক ফ্রেমে? কোন একদিন ঠোঁটের কোণে কামড় দিয়েছিলেন ক‍্যামেরার অ্যাকশনে? যা দেখে শিস বাজিয়েছিলো সিনেমা হলের রিক্সাচালক দর্শক? সেগুলো অন্তত ভুলিয়ে দেন আমাদেরকে। তারপর আপনার বাচ্চাদের নিয়ে চিন্তা করেন।’ 

বর্ষা সেই সংবাদ সম্মেলনে নিজের স্বামী অনন্ত জলিলের প্রশংসা করেছিলেন। যেখানে স্বামীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেছিলেন, অনন্তকে যদি কোনো মেয়েদের বাজারেও ছেড়ে দেওয়া হয়, তাহলে সেখানে ঘুরে কারো দিকে নজর না দিয়ে স্ত্রীর কাছেই ফিরে আসবেন। 

অনন্তের স্ত্রীর সেই মন্তব্যেও আপত্তি জানিয়েছেন পরী। চাঁচাছোলা ভাষায় তিনি বললেন, আপনি যে বলেছেন মেয়েদের বাজার! এএএএইইই.

...মেয়েদের বাজার কি? কি বোঝাতে চাইলেন কচি আপা? এটা আম, মুলা, আলু, কচু? তাহলে আপনি কি? আর বাজার হলে কি সমস্যা? যদি সেই বাজারের খরিদ্দার নাই বা ছিলো কোনোদিন? তারা ছিল বলেই বাজার হয়েছে। মেয়েদেরকে বাজাইরা কে বা কারা বানিয়েছে আপনার জানতে মন চায় নাই কখনো, কোনোদিন? 

‘শোনেন, এরকম একটা বয়সের পরে আমি কেন,আমরা কেন, পৃথিবীর সমস্ত মেয়েরাই (প্রিন্সেস ডায়না হলেও) তার পার্টনারকে এরকম বাজারে ছেড়ে দিতে পারে। কারণ ওই মহিলা জানেন, জীবনের কোন বয়সে তার জামাইকে যে কোনো জায়গায় ছেড়ে দেওয়া যায়।’

পরীমণির এই স্ট্যাটাস নিয়ে ইতোমধ্যে নানা আলোচনা শুরু হয়েছে। কেউ তার খোলামেলা বক্তব্যের প্রশংসা করেছেন, আবার কেউ নায়িকার ভাষা ও কটাক্ষের জন্য সমালোচনা করছেন। তবে পরী বরাবরই স্পষ্টভাষী, এই স্ট্যাটাসেও তার প্রমাণ মিলল।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: বর ষ আপন র ব চ চ ক ন একদ ন বর ষ র ক ন এক ন আপন অনন ত

এছাড়াও পড়ুন:

আমরা জনগণের বন্ধু হতে চাই : ওসি আড়াইহাজার 

আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এনায়েত বলেন, আমি আমার মান্যবর ডিসি মহাদয়কে অনুরোধ করব, আমরা জনগণের বন্ধু হতে চাই। আমরা জনগণকে প্রতিনিয়ত সেবা দিয়ে যাচ্ছি। রাষ্ট্র এমন কাজ না করে, যেন আমরা খলনায়ক হিসাবে জনসাধারণের মাঝে উপস্থিত হই। 

রাষ্ট্র আমাদেরকে দিয়ে এমন অন্যায় কাজ না করোর, যাতে আমরা এরকম দিন এরকম সময় আমাদের মাঝে বারবার ফিরে না আসে। আমরা অতিব দুঃখের সহিত জানাচ্ছি আমাদেরকে প্রতিনিয়ত রাষ্ট্র আমাদেরকে ব্যবহার করে।

বৃহস্পতিবার আড়াইহাজার উপজেলা প্রশাসন ও আড়াইহাজার পৌরসভার উদ্যোগে আয়োজিত ‘জুলাই-২৪ গণঅভ্যুত্থানে আহত ও নিহতদের পরিবারের মাঝে অর্থ অনুদান ও ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলার জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞার উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন। 

এসময় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘আমরা যেন একটি সয়ংসম্পূর্ণ একটি শায়িত্ব শাসিত আমাদের স্বতন্ত্র পুলিশ সংস্থা গঠিত হোক। যাতে পুলিশী পলিসি হিসাবে জনগণকে সেবা দিয়ে যেতে পারি। আসলে এই দিনটা আমার জন্যও লজ্জা লাগে, কারণ আমি এক সময় দাঁড়িয়েছি জনগণের বিরুদ্ধে। আজকে আমি দাঁিড়য়ে একথা বলছি।

আড়াইহাজার উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজ্জাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নইমউদ্দিনের সঞ্চালনায় এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার হাবিবুর রহমান, আড়াইহাজার থানা বিএপির সভাপতি ইউছূফ আলী ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক জুয়েল আহমেদ, আড়াইহাজার উপজেলা হেফজাত ইসলামীর সাধারণ সম্পাদক মাও. আইয়ুব ও আড়াইহাজার পৌরসভা জামায়াত ইসলামীর দক্ষিণের আমীর মাও. হাদিউল ইসলামসহ আরো অনেকে। এসময় ‘জুলাই-২৪ গণঅভ্যুত্থানে আহত ১৬ জনকে আর্থিক অনুদান ও ৪ জন নিহতের পরিবারের কাছে অর্থ অনুদান প্রদান করা হয়। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আমরা জনগণের বন্ধু হতে চাই : ওসি আড়াইহাজার