কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় চার বন্ধু গ্রেপ্তার
Published: 26th, March 2025 GMT
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় চার বন্ধুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার চার তরুণ হলেন- বাগাতিপাড়া উপজেলার কাকফো পুরাতনপাড়া গ্রামের সাদেক আলীর ছেলে মেহেদী হাসান, হাটদোল গ্রামের বিচ্চাদ আলীর ছেলে মেহেদী হাসান রনি, একই গ্রামের মান্নান আলীর ছেলে রাজিব হোসেন ও সিংড়া উপজেলার আগপাড়া-শেরকোল গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে গোলাম মোস্তফা।
পুলিশ ও ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে ভুক্তভোগী কিশোরীকে গত ৫ মার্চ রাতে বাড়ির পাশে আমবাগানে ডেকে নেন মেহেদী হাসান। সেখানে মেহেদী তাকে ধর্ষণ করেন। পরে মেহেদীর তিন বন্ধু রনি, রাজিব ও গোলাম মোস্তফাও ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর কিশোরীর মা বাদী হয়ে ২৫ মার্চ বাগাতিপাড়া মডেল থানায় অভিযোগ করেন। এর পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।
বাগাতিপাড়া মডেল থানার ওসি রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের আজ বুধবার আদালতে সোপর্দ করা হবে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
কারাগারে স্বামীকে দেখে ফেরার পথে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার তরুণী
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে কারাগারে স্বামীকে দেখে ফেরার পথে তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার রাতে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার তেঘরিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, এক তরুণী ঢাকা থেকে কেরানীগঞ্জস্থ কেন্দ্রীয় কারাগারে তার স্বামীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এসেছিলেন। সাক্ষাৎ শেষে বুধবার রাত ৮টার দিকে কারাগারের সামনে থেকে একটি সিএনজিতে উঠেন। সিএনজিতে আগে থেকে থাকা দুজন নারী যাত্রী কিছু দূর যাওয়ার পর নেমে যান। এরপর সিএনজিতে উঠানো হয় ২-৩ জন পুরুষ যাত্রীকে। চালক ও যাত্রীরা কৌশলে ভুক্তভোগীকে ঘুরিয়ে তেঘরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দক্ষিণ পাশের একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যান এবং সেখানে তাকে রাতভর ধর্ষণ করেন। এরপর ধর্ষণকারীরা বৃহস্পতিবার ভোররাতে তাকে রেখে পালিয়ে যান।
তরুণীটি আশপাশের লোজনের সহযোগিতায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা উপস্থিত হয়ে বিষয়টি পুলিশকে জানান।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘তরুণীর কাছ থেকে আমরা অভিযোগ নিয়েছি। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও আসামি শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। পরে তরুণীর মেডিকেল চেকআপ করে তদন্তপূর্বক মামলা গ্রহণ করা হবে।