সাবেক সংসদ সদস্য, জাতীয় সংসদের হুইপ ও সাবেক কৃষি প্রতিমন্ত্রী প্রয়াত সৈয়দ মো. কায়সারের ছোট ছেলে সৈয়দ মো. গালিব (৫৫) মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তিনি স্ত্রী ও এক ছেলে, এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

বুধবার সকালে সৈয়দ মো.

গালিবের চাচা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. শাহজাহান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, সৈয়দ মো. গালিব মঙ্গলবার বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে গতকাল রাতে ইন্তেকাল করেছেন।

সৈয়দ গালিবের মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন হবিগঞ্জের বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন, ব্যবসায়ী ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ সর্বসাধারণ। তার মৃত্যুর সংবাদ গ্রামের বাড়ি নোয়াপাড়ায় ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।

সৈয়দ গালিবের চাচাতো ভাই সৈয়দ সাফকাত আহমেদ জানান, বুধবার রাতে এশার নামাজের পর ঢাকার গুলশান কেন্দ্রীয় আজাদ মসজিদে তার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে বৃহস্পতিবার বাদ জোহর নোয়াপাড়ায় গ্রামের বাড়িতে গালিবের দ্বিতীয় জানাজা নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম ধবপ র

এছাড়াও পড়ুন:

ছত্তিশগড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে ১৬ মাওবাদী গেরিলা নিহত

ভারতের ছত্তিশগড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে গোলাগুলিতে অন্তত ১৬ মাওবাদী গেরিলা নিহত হয়েছে। শনিবার সকালে সুকমা জেলায় এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে রাজ্য পুলিশের ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ডের (ডিআরজি) দুই সদস্য আহত হয়েছেন। খবর-এনডিটিভি

পুলিশ জানিয়েছে, সুকমা-দান্তেওয়াড়া জেলার সীমানায় উপমপল্লি কেরলাপাল এলাকায় জঙ্গলে আশ্রয় নেয় মাওবাদীদের একদল সদস্য- এমন খবর পেয়ে শুক্রবার রাতে সিআরপিএফ, ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি) ও পুলিশের যৌথবাহিনী ওই এলাকায় তল্লাশি অভিযানে নামে। পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে তল্লাশি চালানো হয়। 

পুলিশের বস্তার রেঞ্জের আইজিপি সুন্দারাজের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেখানে একটি জঙ্গলে শনিবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টার দিকে দুইপক্ষের গোলাগুলি শুরু হয়। নিরাপত্তা বাহিনী পরে মাওবাদীদের বিপুল অস্ত্রও জব্দ করেছে। এ নিয়ে চলতি বছর কেবল ছত্তিশগড়েই নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ১৩২ মাওবাদী গেরিলা নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে 

গত ১৯ মার্চ দান্তেওয়াড়া জেলার সীমানার কাছে বীজাপুরের গঙ্গালুর থানা এলাকায় রাজ্য পুলিশের টাস্ক ফোর্স এবং ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ডের যৌথ বাহিনীর সঙ্গে মাওবাদীদের গুলিতে ২৬ জন সন্দেহভাজন মাওবাদীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার হয়। ওই অভিযানে ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ডের এক জওয়ানেরও মৃত্যু হয়েছিল। 

গত ১৯ জানুয়ারি থেকে ছত্তিশগড়, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা রাজ্যে অভিযান চালাচ্ছে যৌথবাহিনী। এরই মধ্যেই সংঘর্ষে ২০০ এর বেশি মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে ওই তিন রাজ্যে। নিহতদের তালিকায় রয়েছেন মাওবাদী কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জয়রাম ওরফে চলপতি। আত্মসমর্পণ করেছেন নিহত মাওবাদী নেতা মাল্লোজুলা কোটেশ্বর রাও ওরফে কিষেণজির ভ্রাতৃবধূ বিমলা। তার স্বামী মাল্লোজুলা বেণুগোপাল রাও ওরফে ভূপতি ওরফে বিবেক ওরফে সোনু নিষিদ্ধ সংগঠন সিপিআই এর (মাওবাদী) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। ২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে দেশ ‘মাওবাদীমুক্ত’ করার ঘোষণা আগেই দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

 

 

সম্পর্কিত নিবন্ধ