বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টার জাতির উদ্দেশে মঙ্গলবারের (২৫ মার্চ) ভাষণে আমি অত্যন্ত হতাশ হয়েছি, তিনি নির্বাচনের রোডম্যাপের কথা বলেননি। তিনি স্বাধীনতার ঘোষক বীর উত্তম জিয়াউর রহমানের নাম একবারও উচ্চারণ করেননি।

বুধবার সকাল ৯টায় মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে জিয়া উদ্যানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা হতাশ হয়েছি যে, প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে তিনি স্বাধীনতার ঘোষক বীর উত্তম জিয়াউর রহমানের নাম একবারও উচ্চারণ করেননি। অথচ এটাই সত্য ইতিহাস।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা আবারও চাই না আওয়ামী লীগ যে ইতিহাস বিকৃত করেছে সে ইতিহাস আবারও বিকৃত হউক। প্রকৃত সত্যকে উদঘাটিত করে জনগণের যে আকাঙ্ক্ষা একটি গণতান্ত্রিক সরকার, সেই গণতান্ত্রিক সরকারে যত দ্রুত ফিরে যাওয়া যাবে আমাদের সমস্যাগুলো ততই সমাধান হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।

ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের নির্যাতনের বিবরণ তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, একটা ফ্যাসিস্ট সরকার হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ এই জাতির ওপর নির্যাতন চালিয়েছে, হত্যা করেছে, গুপ্ত হত্যা করেছে, গুম-খুন করেছে। জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আমরা আবার গণতন্ত্রকে ফিরে পাওয়ার সুযোগ পেয়েছি। আমরা আশা করবো, অন্তর্বর্তী সরকার দ্রুত নির্বাচনের জন্য প্রয়োজন ন্যূনতম সংস্কারগুলো করে নির্বাচনের ঘোষণা দেবেন।

আগামী ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে নির্বাচনের কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা, এই নিয়ে বিএনপির মতামত জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা অত্যন্ত স্পষ্ট কথা, ডিসেম্বর থেকে জুন ৬ মাস, এটা কোনো রোডম্যাপ দেওয়া হয়নি। আমরা বারবার বলে আসছি যে, স্পষ্ট রোডম্যাপ এবং দ্রুত নির্বাচন, তা না হলে যে সংকটগুলো সৃষ্টি হচ্ছে এই সংকটগুলো কাটবে না। আমরা বিএনপি ক্ষমতায় যাবার জন্য নির্বাচনের কথা বলছি না, বিএনপি জাতির স্বার্থে, জাতিকে রক্ষা করার স্বার্থে, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করার স্বার্থেই বিএনপি নির্বাচনের কথা বলছে। নির্বাচিত সংসদ ও সরকারের কথা বলছে।

এসময় তিনি বিএনপি, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে দেশবাসীকে মহান স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানান।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম র জ ফখর ল ইসল ম আলমগ র স ব ধ নত ব এনপ সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

বড় ভাইয়ের হাতুড়ির আঘাতে ছোট ভাইয়ের মৃত্যু

পাবনার ঈশ্বরদীতে বড় ভাই মনিরুল ইসলাম সরদারের হাতুড়ির আঘাতে ছোট ভাই জিপু সরদারের নিহতের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার উপজেলার লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের লক্ষীকুন্ডা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার একদিন পরও এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়নি।

নিহত জিপু সরদার (৩০) ও আহত মনিরুল ইসলাম সরদার (৩৮) ওই গ্রামের রিকাত আলী সরদারের দুই ছেলে।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম শহিদ এ ঘটনা নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, পারিবারিক বিভিন্ন বিরোধ, বাড়ির সীমানা ও জমিজমা নিয়ে প্রায়ই দুই ভাইয়ের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লাগতো। আগের ঝগড়ার জের ধরে বৃহস্পতিবার তাদের মধ্যে আবার ঝগড়া বাধে। ঝগড়া থেকে মারামারির এক পর্যায়ে বড় ভাই মনিরুলকে আঘাত করে জিপু, পরে জিপুর মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে মনিরুল। এতে দুজনই গুরুতর আহত হয়। মুমূর্ষু অবস্থায় দুই ভাইকে একই অ্যাম্বুলেন্সে করে রাজশাহীতে নেওয়ার পথে জিপু মারা যায়।

আহত বড় ভাই মনিরুলকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নিহত ও আহত দুই ভাইয়ের বাবা রিকাত আলী সরদার বলেন, দুজনই আমার সন্তান। দুজনের মধ্যে আগে থেকেই বনিবনা ছিল না। কিন্তু এভাবে একজন আরেক জনকে হত্যা করবে তা আমি মেনে নিতে পারছি না। আমি কী করবো তাও ভেবে পাচ্ছি না। এদিকে আহত বড় ভাই মনিরুল ইসলাম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকাকালে তার ছোট ভাইয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গেছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম শহিদ এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে তাকে সেখানে পাওয়া যায়নি। ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত জিপুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পোস্টমর্টেম করার পর মরদেহ দাফন করার অনুমতি দেওয়া হয়।

এ ঘটনায় এখনো কেউ অভিযোগ দেয়নি বলে নিশ্চিত করে ওসি বলেন, লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

সম্পর্কিত নিবন্ধ